AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Election Commission of India: আধারে অনড় কিন্তু নাম দাখিলের সময়ে আরও ‘ছাড়’, রবির বৈঠকে কী বার্তা কমিশনের?

ECI Press Conference: কমিশনকে বিশেষ ও নিবিড় পরিমার্জনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় নথির মধ্যে ১২ নং নথি হিসাবে আধার কার্ডকে তালিকায় যোগ করার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। মুখ্য় নির্বাচন কমিশনারকে সেই সংযোজন নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, 'আধার কার্ড নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়, বরং একটা পরিচয় পত্র মাত্র।'

Election Commission of India: আধারে অনড় কিন্তু নাম দাখিলের সময়ে আরও  'ছাড়', রবির বৈঠকে কী বার্তা কমিশনের?
মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারImage Credit: PTI
| Updated on: Oct 05, 2025 | 4:14 PM
Share

নয়াদিল্লি: আধারে অনড় কমিশন। তবে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়া নাম দাখিলের ক্ষেত্রে সময়ের ছাড় দিতে এখনও রাজি তাঁরা। রবিবার বিহারের আসন্ন নির্বাচন নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করলেন দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার। দু’দিনের পটনা সফরের শেষ দিনে সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের উত্তর দিলেন তিনি। আধারে যে এখনও অনড় কমিশন, তাও বুঝিয়ে দিলেন স্পষ্টভাবেই।

সম্প্রতি কমিশনকে বিশেষ ও নিবিড় পরিমার্জনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় নথির মধ্যে ১২ নং নথি হিসাবে আধার কার্ডকে তালিকায় যোগ করার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। মুখ্য় নির্বাচন কমিশনারকে সেই সংযোজন নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আধার কার্ড নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়, বরং একটা পরিচয় পত্র মাত্র।’

এই গোটা বৈঠকজুড়ে আধার কার্ড ছাড়াও উঠে এসেছে সম্প্রতি শেষ হওয়া বিশেষ ও নিবিড় পরিমার্জন বা SIR-র কথাও। মুখ্য নিবার্চন কমিশনার বলেন, ‘ভোটের আগে আয়োজিত SIR সমস্ত নিয়ম মেনে, একেবারে স্বচ্ছভাবে করা হয়েছে। এমনকি খসড়া তালিকা প্রকাশের পর যাদের নাম বাদ পড়েছিল, তাদেরকেও নাম সংযোজনে যথেষ্ট সময় দেওয়া হয়েছে।’

তাঁর সংযোজন, ‘যদি কোনও রাজনৈতিক দলের মনে হয় তালিকা এখনও সম্পূর্ণ নয়, তা হলে তাঁরা সেই ভিত্তিতে আবেদন জমা দিতে পারে।’ অবশ্য, এই SIR পর্বের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কমিশনের কাছে পরিমার্জন সংক্রান্ত কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি বলেই এদিন জানিয়েছেন জ্ঞানেশ কুমার। পাশাপাশি, এখনও যদি কেউ বা কারা চূড়ান্ত তালিকা থেকে নাম বাতিল বা সংযোজন করাতে চান, তা হলে দশ দিনের মধ্য়ে আবেদন করতে পারবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যে এসআইআর প্রথম থেকে নানা ভাবে ‘ব্যাকফুটে’ ফেলছিল কমিশনকে। সেই এসআইআর-ই এখন হয়ে উঠেছে তাদের শক্তি কায়েমের ক্ষেত্র। স্বচ্ছ পরিমার্জন হয়েছে, এই দাবিতেই ‘মাথা উঁচু’ করেছে কমিশন। বলে রাখা প্রয়োজন, এসআইআর ছাড়াও বিহারের নির্বাচন নিয়েও ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা দিয়েছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, এই ‘স্বচ্ছ’ ভোটার তালিকা নিয়ে আগামী ২২ নভেম্বরের আগেই বিহারে বিধানসভা নির্বাচন করানো হবে। পাশাপাশি, সেই নির্বাচনের জন্য বুথ স্তরে নানা পরিবর্তন-সহ কমিশন তরফে মোট ১৭টি অভিনব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন জ্ঞানেশ।