কলকাতা ও নয়াদিল্লি: তাঁর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে শোকজ করল নির্বাচন কমিশন। একইসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েনের চিঠির জবাব দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না করার অভিযোগ খারিজ করল। তৃণমূলের অভিযোগের ২০ ঘণ্টার মধ্যে পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে জানাল কমিশন।
শনিবার নির্বাচন কমিশনে যায় তৃণমূলের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল। সুকান্ত মজুমদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে স্মারকলিপি জমা দেয়। তৃণমূলের অভিযোগ, সম্প্রতি পুলিশকে অশোক স্তম্ভ সরিয়ে হাওয়াই চটির প্রতীক লাগানোর কথা বলেছেন সুকান্ত। তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, এই মন্তব্য করে অশোক স্তম্ভকে অপমান করা হয়েছে। সুকান্ত মজুমদারের বিরুদ্ধে কমিশনকে পদক্ষেপ করার আর্জি জানান তৃণমূলের প্রতিনিধিরা।
এদিন কমিশনের তরফে তৃণমূলকে জানানো হয়, সুকান্ত মজুমদারকে শোকজ করা হয়েছে। সোমবার রাত ৮টার মধ্যে জবাব দিতে বলা হয় তাঁকে। কমিশনের শোকজ নিয়ে এদিন সুকান্ত বলেন, “আমাকে ২টা ১৬ মিনিটে মেইল পাঠিয়েছে। আমি জবাব দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে সময় চেয়েছি। আমি সময় হলেই উত্তর দেব। আমি তো সব সময় মেইল খুলে বসে থাকি না।” এর আগে শনিবার তৃণমূলের অভিযোগ নিয়ে তিনি বলেছিলেন, “আমি এখনও বলছি, যেসব পুলিশ অফিসার জনগণের টাকা নিয়ে একটি বিশেষ দলের দালালি করে, তাঁদের অশোক স্তম্ভ রাখার নৈতিক অধিকার নেই। অশোক স্তম্ভ রাখতে গেলে নিরপেক্ষ হতে হয়।”
সুকান্তকে শোকজ করা নিয়ে তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, “অত্যন্ত খারাপ কথা বলেছেন। নির্বাচনের ক্ষেত্রে নির্বাচন আচরণবিধি একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তার অপমান করা ঠিক নয়। আমি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, আমায় কেউ ছুঁতে পারবে না, এই মনোভাব ঠিক নয়। কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন গণতান্ত্রিকভাবেই তাঁকে শোকজ করেছে। এটা দেখে বিজেপির কিছু শেখা উচিত।”
তবে নির্বাচন কমিশনের এই নোটিশ নিয়ে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সাকেত গোখলে। এক্স হ্যান্ডলে তিনি লেখেন, “নির্বাচন কমিশন মিথ্যা কথা বলছে। তারা মিডিয়ায় বলছে, ২০ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এটা একদম ঠিক নয়। শনিবার নির্বাচন কমিশনে গিয়ে অভিযোগ জমা দেওয়া হয়। তৃণমূলের ৫ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে কমিশনের কেউ দেখাও করেননি। আর আজ বিকেল ৫টার সময় প্রচার যখন শেষ, তখন তারা নাটক করছে।” আবার নির্বাচনের কমিশনের জবাবের প্রেক্ষিতে ফের চিঠি দিয়েছে তৃণমূল।