Karnataka: থেঁতলে গিয়েছে যৌনাঙ্গ, বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আগেই নির্মমভাবে খুন নেতা
Ex-JD(S) leader brutally killed in Karnataka: বুধবার ভোরে কর্ণাটকের কালাবুর্গিতে জনতা দল (সেকুলার)-এর এক প্রাক্তন নেতাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্য পা বাড়িয়েই রেখেছিলেন তিনি।
নয়া দিল্লি: বুধবার ভোরে কর্ণাটকের কালবুর্গিতে জনতা দল (সেকুলার)-এর এক প্রাক্তন নেতাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে মল্লিকার্জুন মুথিয়াল নামে ওই নেতার যৌনাঙ্গ পাথরের আঘাতে পিষে দেওয়া হয়েছে। প্রাক্তন এই জেডি (এস) নেতা বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্য পা বাড়িয়েই রেখেছিলেন। হত্যার একদিন আগেই, সোমবার, কালবুর্গী জেলায় মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাইয়ের সঙ্গে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। ওই দিনই তাঁর বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সময়াভাবে যোগ দেওয়া হয়নি। ঠিক হয়েছিল, কয়েকদিন পরই তিনি বিজেপিতে যোগ দেবেন। তার আগেই রহস্যজনক পরিস্থিতিতে মৃত্যু হল তাঁর।
পুলিশ জানিয়েছে, মল্লিকার্জুন মুথিয়ালের একটি বৈদ্যুতিন সামগ্রীর দোকান ছিল। রাতে সেই দোকানেই ঘুমোতেন তিনি। বুধবার সকালে তিনি বাড়ি না ফেরায়, তাঁর খোঁজ করতে দোকানে এসেছিলেন তাঁর পুত্র শ্রীনিবাস। দোকানের পিছনে রক্তাক্ত অবস্থায় মুথিয়ালের মৃতদেহ পাওয়া যায়। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারার অধীনে হত্যার একটি মামলা নথিভুক্ত করে এবং তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কালাবুর্গির পুলিশ সুপার ইশা পন্থ অবশ্য এই হত্যার পিছনে কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই বলেই মনে করছে। ইশা পন্থ বলেছেন, “প্রাথমিক দৃষ্টিতে এটা রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড বলে মনে হচ্ছে না। তবে আমরা সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছি।” দোকান থেকে কিছু নগদ অর্থও পাওয়া যাচ্ছে না। যা থেকে ডাকাতির ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মুথিয়ালের ছেলে শ্রীনিবাস বলেন, “এক বছর আগে আমাদের দোকানে ডাকাতি হয়েছিল। সেই থেকেই বাবা দোকানে ঘুমোতেন। আমার সন্দেহ, এই ঘটনার পিছনে নিশ্চয়ই তাদেরই হাত আছে। তার কোনও চেনা শত্রু ছিল না। বাবা কাউকে ভয় পেত না। আমাদের সন্দেহ, ঘুমন্ত অবস্থাতেই বাবার উপর হামলা করা হয়েছিল।”
রাজনৈতিক দিক থেকে এলাকায় মল্লিকার্জুন মুথিয়ালের যথেষ্ট প্রভাব ছিল। তিনি ছিলেন, সেদাম কোলি কাব্বালিগা সম্প্রদায়ের কালবুর্গী জেলার সাম্মানিক সভাপতি। কর্নাটকে সেদাম কোলি কাব্বালিগা সম্প্রদায় অত্যন্ত শক্তিশালী। ভোক্কালিগা, লিঙ্গায়ত এবং কুরুবা সম্প্রদায়ের পরই এই সম্প্রদায়ের স্থান।