Supreme Court: কাঠুয়া গণধর্ষণকাণ্ডে মূল চক্রীকে প্রাপ্তবয়স্ক হিসাবেই বিচার করা হবে : সুপ্রিম কোর্ট

Supreme Court: ২০১৮ সালের ১০ জানুয়ারি জম্মু ও কাশ্মীরের কাঠুয়ায় ৮ বছরের এক নাবালিকাকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করা হয়। তারপর তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়।

Supreme Court: কাঠুয়া গণধর্ষণকাণ্ডে মূল চক্রীকে প্রাপ্তবয়স্ক হিসাবেই বিচার করা হবে : সুপ্রিম কোর্ট
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 16, 2022 | 8:20 PM

নয়া দিল্লি: কাঠুয়া গণধর্ষণকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত নাবালক নয়, সাবালক হিসাবেই বিবেচনা করা হবে। বুধবার নিম্ন আদালতের রায় খারিজ করে দিয়ে এমনই জানাল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। অর্থাৎ কাঠুয়া গণধর্ষণকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্তকে প্রাপ্তবয়স্ক হিসাবেই বিচার করা হবে বলে জানিয়ে দিল বিচারপতি অজয় রাসতোগি এবং জে.বি পারদিওয়ালার ডিভিশন বেঞ্চ।

এদিন কাঠুয়া গণধর্ষণকাণ্ডের মূল অভিযুক্তকে নাবালক নাকি সাবালক হিসাবে বিচার হবে, সে বিষয়ে রায় গিতে গিয়ে বিচারপতি অজয় রাসতোগি এবং জে.বি পারদিওয়ালার ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, অভিযুক্তের বয়স সম্পর্কে নির্দিষ্ট প্রমাণ না থাকলে চিকিৎসকের মতামতই বিবেচনা করা উচিত। যদিও বয়স নির্ধারণের ক্ষেত্রে শারীরিক পরীক্ষার উপর ভরসা করা যায় কি না তা নির্ভর করে প্রমাণের গুরুত্বের উপর।

২০১৮ সালের ২৭ মার্চ জম্মু ও কাশ্মীর হাইকোর্ট কাঠুয়া গণধর্ষণকাণ্ডের মূল অভিযুক্তকে নাবালক হিসাবে ঘোষণা করে এবং জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডের অধীনে বিচার করার নির্দেশ দেয়। এদিন জম্মু ও কাশ্মীর হাইকোর্টের দেওয়া সেই রায় খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। সেই রায়ের প্রসঙ্গ টেনে এদিন বিচারপতি পারদিওয়ালা বলেন, “আমরা কাঠুয়া সিজেএম এবং হাইকোর্টের রায় একপাশে সরিয়ে রাখছি এবং অপরাধের সময় অভিযুক্ত নাবালক ছিল না হিসাবেই গণ্য করছি।”

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ১০ জানুয়ারি জম্মু ও কাশ্মীরের কাঠুয়ায় ৮ বছরের এক নাবালিকাকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করা হয়। তারপর তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। সেই ঘটনায় দেশজুড়ে তোলপাড় পড়ে যায়। কিছুদিন পর অভিযুক্তরা গ্রেফতার হয় এবং সকলের সাজা ঘোষণা হলেও মূল অভিযুক্তকে নাবালক হিসাবে গণ্য করে জম্মু ও কাশ্মীর আদালত। জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডের অধীনেই তার বিচার হবে বলে হাইকোর্ট জানায়। তারপর তৎকালীন জম্মু ও কাশ্মীর সরকার তাকে নাবালক গণ্য করা নিয়ে হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যায়। জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডে সাংরার বিচার শুরু হওয়ার আগেই ২০২০ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট স্থগিতাদেশ দেয়। তারপর এদিন নিম্ন আদালতের রায় খারিজ করে দিয়ে মূল অভিযুক্তকে প্রাপ্তবয়স্ক হিসাবেই বিবেচনা করে বিচার করার নির্দেশ দিল শীর্ষ আদালত।