Prajwal Revanna: এ কী দশা! প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর নাতি করছেন ৫২২ টাকা দিনমজুরির কাজ
Prajwal Revanna Got Job In Jail: অবশ্য, গ্রন্থাগারের কাজ রেভান্না চাননি। তার দাবি ছিল একটু বড়। তিনি চেয়েছিলেন জেলেরই কোনও প্রশাসনিক কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকতে। তবে কর্তৃপক্ষ তাকে ধরিয়ে দিয়েছেন গ্রন্থাগারের কাজ। পিটিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই নতুন দায়িত্ব পেয়ে একদিন কাজ করে ফেলেছেন প্রাক্তন সাংসদ।

বেঙ্গালুরু: প্রতিদিন মজুরি বাবদ পান ৫২২ টাকা। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর নাতির পরিণতি কার্যত দেখার মতো। ছিলেন সাংসদ, হলেন করণিক বা সহজ কথায় ক্লার্ক। কিন্তু কেন এমন হল? তিনি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচটি দেবগৌড়ার নাতি তথা প্রাক্তন জেডি (এস) সাংসদ প্রজ্জ্বল রেভান্না। গতমাসেই পরিচারিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে তাকে দোষী সাব্যস্ত করেছে বেঙ্গালুরুর বিশেষ আদালত। সাজা হয়েছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের। আর এখন সেই সাজাই ভুগছেন রেভান্না। বর্তমানে তাকে কর্নাটকেরই পারাপ্পানা অগ্রহারা জেলে রাখা হয়েছে।
সেখানেই একটি কাজও পেয়েছেন প্রাক্তন সাংসদ। রেভান্নাকে জেলের গ্রন্থাগারের করণিক হিসাবে নিযুক্ত করেছেন কর্তৃপক্ষ। প্রতিদিনের দিনমজুরি বাবদ পাবেন ৫২২ টাকা। কোনও বন্দি সংশোধনাগার থেকে বই নিতে চাইলে, তাকে সেই বই দেওয়ার দায়িত্ব রেভান্নারই। এছাড়াও, ক’টা বই রয়েছে, কাকে বই দেওয়া হয়েছে, এই সকল যাবতীয় রেকর্ডও বজায় রাখতে হবে রেভান্নাকে।
রবিবার সংশোধনাগারের এক আধিকারিক সংবাদসংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, ‘জেলে থাকা যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের কোনও না কোনও কাজ করতেই হয়। এটাই নিয়ম। প্রত্যেকের দক্ষতা ও কর্মক্ষমতার ভিত্তিতে সেই দায়িত্ব দেওয়া হয়। তেমনভাবেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রেভান্নাকেও। ৫২২ টাকা দিনমজুরির ভিত্তিতে গ্রন্থাগারের দায়িত্ব সামলাবেন তিনি।’
অবশ্য, গ্রন্থাগারের কাজ রেভান্না চাননি। তার দাবি ছিল একটু বড়। তিনি চেয়েছিলেন জেলেরই কোনও প্রশাসনিক কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকতে। তবে কর্তৃপক্ষ তাকে ধরিয়ে দিয়েছেন গ্রন্থাগারের কাজ। পিটিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই নতুন দায়িত্ব পেয়ে একদিন কাজ করে ফেলেছেন প্রাক্তন সাংসদ।
