AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Kuno Chitah Death: ফের কুনো জাতীয় উদ্যানে মিলল চিতার দেহ, গত ৫ মাসে নবম মৃত্যু

বুধবার (২ অগস্ট) কুনো জাতীয় উদ্যানের পার্কের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এদিন সকালে ধত্রি নামে এক মহিলা চিতার মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে। মৃত্যুর কারণ এখনও জানা যায়নি।

Kuno Chitah Death: ফের কুনো জাতীয় উদ্যানে মিলল চিতার দেহ, গত ৫ মাসে নবম মৃত্যু
কুনো জাতীয় উদ্যানে চিতাদের মৃত্যু নিয়ে উদ্বিগ্ন সরকার।Image Credit: Twitter
| Edited By: | Updated on: Aug 02, 2023 | 2:55 PM
Share

ভোপাল: ফের মৃত্যু হল চিতার, মধ্য প্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যানে। এই নিয়ে গত পাঁচ মাসে নবম চিতার মৃত্যু হল। বুধবার (২ অগস্ট) কুনো জাতীয় উদ্যানের পার্কের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এদিন সকালে ধত্রি নামে এক মহিলা চিতার মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে। মৃত্যুর কারণ এখনও জানা যায়নি। তার জন্য দেহের ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে। ২০২২-এর সেপ্টেম্বরে, মোদী সরকারের ‘প্রোজেক্ট চিতা’র আওতায় নামিবিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে মোট ২০টি প্রাপ্তবয়স্ক চিতা আনা হয়েছিল। কুনো জাতীয় উদ্যানে তাদের রাখা হয়েছিল। লক্ষ্য ছিল ভারতে নতুন করে চিতার সংখ্যা বৃদ্ধি করা। প্রসঙ্গত, প্রায় সাত দশক আগে ভারত থেকে অবলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল চিতা।

কুনো জাতীয় উদ্যানে আফ্রিকা থেকে আসা চিতাগুলি চারটি শাবকের জন্মও দিয়েছিল। তবে, গত কয়েক মাসে একের পর এক চিতার মৃত্যু হয়েছে। চার শাবকের মধ্যে তিনটিরই মৃত্যু হয়েছে। গত মাসেও মাত্র চার দিনের ব্যবধানে কুনো জাতীয় উদ্যানে দুটি পুরুষ চিতার মৃত্যু হয়েছিল। ১১ জুলাই মৃত্যু হয়েছিল তেজসের, আর ১৪ জুলাই সুরজ নামে আরও একটি চিতার।

এই চিতাগুলির মৃত্যুর পিছনে বিভিন্ন কারণ রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তেজসের দেহের ময়নাতদন্তে জানা গিয়েছিল, এক মহিলা চিতার সঙ্গে তার তীব্র লড়াই হয়েছিল । সেই লড়াইয়ের মানসিক এবং শারীরিক আঘাত থেকে আর সুস্থ হয়ে উঠতে পারেনি সে। এই লড়াই-এর পাশাপাশি বিভিন্ন রোগ, কুনো জাতীয় উদ্যানের ছাড়ার আগে এবং পরে ঘটা দুর্ঘটনা, শিকার করতে গিয়ে পাওয়া আঘাতের মতো বিভিন্ন কারণে মৃত্যু হয়েছে চিতাগুলির।

অন্যান্য প্রাণীর আক্রমণ এবং হিটস্ট্রোককেও চিতাগুলির মৃত্যুর সম্ভাব্য কারণ হিসেবে মনে করেন পশু চিকিৎসকরা। চিতাগুলির শরীরে রেডিয়ো কলার ব্যবহার নিয়েও বিতর্ক রয়েছে। একাংশের চিতা বিশেষজ্ঞদের মতে, এই কলারগুলি বর্ষাকালে একটানা ভিজে থাকার ফলে চিতাদের ত্বকে সংক্রমণ হচ্ছে। এই সংক্রমণগুলি থেকে সেপ্টিসেমিয়া বা রক্তের গুরুতর সংক্রমণ হচ্ছে চিতাগুলির।