আহমেদাবাদ: সাংসদ হতে না হতেই বিপাকে ইউসুফ পাঠান (Yusuf Pathan)। তাঁর বিরুদ্ধে উঠল মারাত্মক অভিযোগ। তৃণমূল কংগ্রেসের বহরমপুরের সাংসদের বিরুদ্ধে উঠেছে জমি জবর-দখলের অভিযোগ। তাও আবার সরকারি জমি! ইতিমধ্যেই ইউসুফ পাঠানকে নোটিস পাঠানো হয়েছে।
প্রাক্তন ক্রিকেটারের পাশাপাশি ইউসুফ পাঠান এখন সাংসদও বটে! বহরমপুরে কংগ্রেসের হেভিওয়েট প্রার্থী অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল সাংসদ। এদিকে, লোকসভা নির্বাচন মিটতেই তাঁর নামে এল নোটিস। বিজেপি শাসিত গুজরাটের ভাদোদরা পুরসভার তরফে তৃণমূল সাংসদকে জমি দখলের অভিযোগে নোটিস দেওয়া হল।
জানা গিয়েছে, গত ৬ জুন এই নোটিস পাঠানো হয় পাঠানকে। ভাদোদরায় পুরসভার একটি জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। সম্প্রতিই প্রাক্তন বিজেপি কর্পোরেটর বিজয় পওয়ার বিষয়টি সামনে আনতেই বৃহস্পতিবার ভাদোদরা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (ভিএমসি)-র স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান শীতল মিস্ত্রি নোটিস পাঠানোর বিষয়টি স্বীকার করে নেন।
প্রাক্তন বিজেপি কর্পোরেটরের দাবি, ২০১২ সালে ভাদোদরার তানাদালজা এলাকার একটি জমি কেনেন ইউসুফ পাঠান। তার লাগোয়া যে জমিটি, সেটিও কিনে নেওয়ার চেষ্টা করেন, কিন্তু জমিটি পুরসভার। প্রতি স্কোয়ার মিটারে ৫৭ হাজার টাকা দাম দিতে রাজি ছিলেন পাঠান। কিন্তু ভাদোদরা পুরসভার তরফে ইউসুফ পাঠানের এই জমি কেনার প্রস্তাব খারিজ করে দেওয়া হয়। পরে ভিএমসির বৈঠকে পাঠানের জমি কেনার প্রস্তাব পাশ হলেও, রাজ্য সরকারের তরফে তা খারিজ করে দেওয়া হয়।
এরপরই জোরপূর্বক জমি দখল করে নেন পাঠান। পুরসভার ওই জমিতে পাঁচিলও তুলে দিয়েছেন তিনি। পুরসভার তরফেও জানানো হয়েছে, জমি জবরদখলের জন্য ইউসুফ পাঠানকে নোটিস পাঠানো হয়েছে। চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, পাঠানকে ওই জমিতে থাকা পাঁচিল ভেঙে ফেলতে বলা হয়েছে। কয়েক সপ্তাহ অপেক্ষা করা হবে। এর মধ্যে পাঠান ওই জমি ছেড়ে না দিলে, গুজরাট সরকারের তরফে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।