Supreme Court: ভোটের সময় ‘বিনামূল্যে’র প্রতিশ্রুতি গুরুতর সমস্যা, ব্যাপক ক্ষতি অর্থনীতির: সুপ্রিম কোর্ট

Supreme Court on Freebies distribution: নির্বাচনের সময় রাজনৈতিক দলগুলির পক্ষ থেকে যে সকল বিনামূল্যে পরিষেবা দানের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়, তা একটি গুরুতর সমস্যা বলে জানাল সুপ্রিম কোর্ট। আদালতের মতে এর ফলে ভারতীয় অর্থনীতির ক্ষতি হচ্ছে।

Supreme Court: ভোটের সময় 'বিনামূল্যে'র প্রতিশ্রুতি গুরুতর সমস্যা, ব্যাপক ক্ষতি অর্থনীতির: সুপ্রিম কোর্ট
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 11, 2022 | 2:53 PM

নয়া দিল্লি: নির্বাচনের সময় রাজনৈতিক দলগুলি যেনতেন প্রকারে জনগণের ভোট আদায় করতে সচেষ্ট হয়। জনগণের মন পেতে, নির্বাচনী ইস্তাহারে বিনামূল্যে বিদ্যুৎ, জল সংযোগ দেওয়া থেকে শুরু করে বেকার, দিনমজুর কিংবা মহিলাদের জন্য মাসিক ভাতা প্রদান, এমনকি ইদানিং ল্যাপটপ, স্মার্টফোনের মতো ইলেকট্রনিক গ্যাজেট দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। তবে, বৃহস্পতিবার (১১ অগস্ট), এই বিষয়ে এক তাৎপর্যপূর্ণ পর্যবেক্ষণ করল সুপ্রিম কোর্ট। আদালত বলেছে, নির্বাচনী মরসুমে রাজনৈতিক দলগুলির দেওয়া এই সকল বিনামূল্যে পরিষেবা দানের প্রতিশ্রুতি দেওয়ার প্রবণতা “একটি গুরুতর সমস্যা”। কারণ এর ফলে ভারতীয় অর্থনীতির ক্ষতি হচ্ছে।

এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে অশ্বিনী উপাধ্যায় নামে এক আইনজীবী, একটি জনস্বার্থ মামলা করেছেন। তাঁর আবেদনে ওই আইনজীবী নির্বাচনের আগে ভোটারদের প্রলুব্ধ করতে, রাজনৈতিক দলগুলির বিনামূল্যে পরিষেবা দানের প্রতিশ্রুতি দেওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা চেয়েছিলেন ওই আইনজীবী। আবেদনটিতে নির্বাচনী ইশতেহার নিয়ন্ত্রণ করার বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবিও করা হয়েছে। পাশাপাশি ইশতেহারে দেওয়া প্রতিশ্রুতিগুলির জন্য রাজনৈতিক দলগুলিকে জবাবদিহি করতে হবে, এমনও দাবি জানিয়েছেন তিনি। এই মামলা শুনানি চলাকালীনই শীর্ষ আদালত এই গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ করেছে।

তামিলনাড়ু সরকারের কাছ থেকে বিনামূল্যে রঙিন টেলিভিশন পেয়ে উচ্ছ্বসিত জনগণ (ফাইল চিত্র)

ভারতের প্রধান বিচারপতি এনভি রমনা বলেন, “কেউ বলে না যে এটা (বিনামূল্যে পরিষেবা দান) একটা সমস্যা। অথচ, এটা একটা গুরুতর বিষয়। যারা পাচ্ছে তারাও এটা চায়, আর আমারা একটি কল্যাণব্রতী রাষ্ট্রের (জনসাধারণের স্বাস্থ্য ও কল্যাণের দায়িত্ব নেয় সরকার) বাসিন্দা। কেউ কেউ বলেন, তারা কর দিচ্ছেন। সেই করের টাকা উন্নয়নমূলক প্রক্রিয়ায় ব্যবহার করতে হবে। তাই, এটা একটা গুরুতর সমস্যা। তাই, উভয় পক্ষের বক্তব্যই কমিটিকে শুনতে হবে। ভারত এমন একটি দেশ, যেখানে দারিদ্র্য রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারেরও ক্ষুধার্তদের মুখে খাদ্য তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। কিন্তু, দেশের অর্থনীতির ক্ষতি এবং জনগণের কল্যাণের মধ্যে ভারসাম্য আনতে হবে।”

এর আগে, গত সপ্তাহে এই মামলার শুনানিতে এই মামলার বিরোধিতা করেছিল আম আদমি পার্টি। অরবিন্দ কেজরীবালের দল দাবি করেছিল, “যোগ্য এবং সুবিধাবঞ্চিতদের আর্থ-সামাজিক কল্যাণের পরিকল্পনাগুলিকে ‘ফ্রিবিজ’ (বিনামূল্যের পরিষেবা) হিসেবে বর্ণনা করা যায় না। অসম সমাজে বিনামূল্যে বিদ্যুত, জল এবং পরিবহণের সুবিধা দেওয়াটা আবশ্যক।” আবেদনকারী আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায়ের সঙ্গে বিজেপির “ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক” রয়েছে বলেও অভিযোগ করেছিল আপ। তারা আরও বলেছিল, “নির্বাচনী বক্তৃতা থেকে এই ধরনের সমাজতান্ত্রিক এবং কল্যাণবাদী অ্যাজেন্ডাগুলিকে সরিয়ে দিয়ে, জনকল্যাণের পরিবর্তে বর্ণ এবং সাম্প্রদায়িক আবেদনের উপর নির্ভরশীল একটি সংকীর্ণ রাজনৈতিক স্বার্থকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছেন আবেদনকারী।” আগামী ১৭ অগস্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।