Bihar Groom Missing: বিয়ের মণ্ডপে বসে কনে, বেপাত্তা বর! থানায় পৌঁছতেই বদলে গেল গল্প…
Bihar Groom Missing: পাত্রীর পরিবার পুলিশের দ্বারস্থ হলে, দুই পরিবারের উপস্থিতিতে ধানবাদ মহিলা পুলিশ স্টেশনে দাঁড়িয়ে ঠিক করা হয় যে, ২৫ মার্চ ওই যুবক-যুবতী সাতপাকে বাঁধা পড়বে। প্রতিশ্রুতি মতোই বিয়ের কয়েকদিন আগে ধানবাদের ভুলি গ্রামে এসে পৌঁছয় যুবতীর পরিবার।
পটনা: এক বছর আগেই বিয়ে ঠিক হয়ে গিয়েছিল। বছরভর প্রস্তুতির পর নির্দিষ্ট দিনে সাজানো হয়েছিল মণ্ডপও। পাত্রী প্রস্তুত থাকলেও, লগ্ন পার হয়ে গেলেও খোঁজ মিলছিল না পাত্রের। বাধ্য হয়েই থানায় হাজির হলেন পাত্রীর পরিবারের লোকজন। সবে এফআইআর দায়ের করতে যাবেন, সেই সময়ই ফের হাজির পাত্র। অবশেষে পুলিশের উপস্থিতিতেই চার হাত এক হল। গোটা ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে গ্রামে। ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের ধানবাদে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই পাত্রের নাম রতনেশ কুমার। তিনি ভারতীয় রেলবিভাগে চাকরি করেন। দীর্ঘদিন ধরেই ওই যুবতীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল। কিন্তু বিয়ের কথা উঠতেই ওই যুবক পিছিয়ে আসে। শেষ অবধি কনে পক্ষের তরফে নানা প্রচেষ্টার পর বিয়ের তারিখ ঠিক করা হয়। কিন্তু এরপরই বিয়ে করতে অস্বীকার করে ওই যুবক।
পাত্রীর পরিবার পুলিশের দ্বারস্থ হলে, দুই পরিবারের উপস্থিতিতে ধানবাদ মহিলা পুলিশ স্টেশনে দাঁড়িয়ে ঠিক করা হয় যে, ২৫ মার্চ ওই যুবক-যুবতী সাতপাকে বাঁধা পড়বে। প্রতিশ্রুতি মতোই বিয়ের কয়েকদিন আগে ধানবাদের ভুলি গ্রামে এসে পৌঁছয় যুবতীর পরিবার। সেখানেই বিয়ের সমস্ত প্রস্তুতি ও আচার-প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। তবে বিয়ের দিন বিকেলে মণ্ডপে ওই যুবতী কনের সাজে হাজির হলেও, বেপাত্তা হয়ে যায় পাত্র। লগ্ন পার হয়ে যাওয়ায় যুবতীর পরিবার ফের পুলিশের দ্বারস্থ হয়। থানায় এফআইআর দায়ের করানোর মুহূর্তেই হাজির হয় পাত্র। পুলিশের সামনে ওই যুবক বিয়েতে সম্মতি জানায়। শেষ অবধি পুলিশের উপস্থিতিতে রাতের লগ্নে তাদের বিয়ে দেওয়া হয়।
যদিও ওই যুবক কী কারণে মণ্ডপ ছেড়ে পালিয়ে ছিল, সে সম্পর্কে কিছু জানায়নি। অন্যদিকে, পাত্রীর পরিবারের তরফেও ওই যুবকের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ করা হয়েছে।