Suicide attempt: পণ নিয়ে শ্বশুরবাড়ির চাপ, ইদুঁর মারার বিষ খেলেন যুবতী
Suicide Attempt: জানা গিয়েছে, ওই যুবতী নিজের স্বামী ও স্বামীর ভাইয়ের সঙ্গে থাকতেন। তাঁর স্বামীর সাতজন বোন রয়েছে। তাঁরা প্রত্যেকেই বিবাহিত। তাঁদের মধ্যে একজন সম্প্রতি বিভিন্ন ছোট খাটো কারণে ওই মহিলাকে হেনস্থা করতে শুরু করে।
আহমেদাবাদ: সময় ও সভ্যতার অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে এগিয়ে চলেছি আমরাও। আমরা প্রযুক্তিকে আপন করে নিয়েছি, জীবন যাত্রার মান হয়েছে অনেক উন্নত। তবুও বেশ কিছু প্রাচীন প্রথা এমনভাবে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে, যাতে মনে হয় সমাজের সকল আলো আসলে প্রদীপের ওপর দিককার ঔজ্জ্বল্য। যার নিচে জমাট বেঁধে আছে কালো অন্ধকার। পণপ্রথা এই অন্ধকারের অন্যতম বড় অংশ। একবিংশ শতাব্দীতে এসেও, মাঝে মাঝেই আমাদের কানে আসে শুধুমাত্র সামান্য পণ না দেওয়ার অপরাধ, কেড়ে নেয় অনেক নিরীহ প্রাণ। গুজরাটের আহমেদাবাদের ঘটনা সেই বাস্তব, চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল।
পণ না দেওয়ার জন্য, নিজের শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়দের হাতে নিয়মিত নির্যাতিত হয়ে নিজেকে শেষ করে দেওয়ার পথই বেছে নিয়েছিলেন ২৫ বছর বয়সী এক মহিলা। জানা গিয়েছে, পণের চাপে ইঁদুর মারার বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেন ওই মহিলা। দীর্ঘ ছয় মাস ধরে পণ চেয়ে ওই যুবতীর ওপর মানসিক নির্যাতন চালাচ্ছিলেন পরিবারের সদস্যরা। এক সর্বভারতীয় সংবাদপত্রে রবিবার লজ্জাজনক এই ঘটনার কথাটি প্রকাশিত হয়েছিল।
জানা গিয়েছে, ওই যুবতী নিজের স্বামী ও স্বামীর ভাইয়ের সঙ্গে থাকতেন। তাঁর স্বামীর সাতজন বোন রয়েছে। তাঁরা প্রত্যেকেই বিবাহিত। তাঁদের মধ্যে একজন সম্প্রতি বিভিন্ন ছোট খাটো কারণে ওই মহিলাকে হেনস্থা করতে শুরু করে। পুলিশে দায়ের করা অভিযোগে, ওই মহিলা জানিয়েছেন, তাঁর স্বামী ও দেওর তাকে শর্ত দিয়েছিলেন, ওই বাড়িতে থাকতে হলে নগদ টাকা ও সোনার গয়না নিয়ে আসতে হবে। ওই মহিলা বলেন, “আমি ভেবেছিলাম, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সবকিছু হয়তো ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু ছয় মাস পর আমি যখন আমার বাপের বাড়িতে থাকতে গিয়েছিলাম, আমার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা আমায় শর্ত দিয়েছেন আমাকে যদি তাঁদের বাড়িতে ফিরতে হয় তাহলে পণ দিতে হবে। বাড়ি সংস্কারের জন্য তাঁদের অর্থের প্রয়োজন সে কথা স্পষ্ট জানিয়ে ছিলেন তাঁরা। দীর্ঘদিন ধরে এই মানসিক চাপের ফলে, অবসাদে আমি আত্মঘাতী হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, তাই ইঁদুরের বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করি।” পুলিশ সূত্রে খবর ইতিমধ্যে ওই মহিলার বয়ানের ভিত্তিতে, নির্দিষ্ট আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।