কেন ডিউটিতে দেরি? পোশাক খুলিয়ে প্রমাণ দিতে হল যে সত্যিই পিরিয়ড হয়েছে!
Woman Harassment: তাদের সেই যুক্তি শোনার বদলে সুপারভাইজর পোশাক খুলে প্রমাণ দিতে বলেন যে তারা সত্যি বলছেন কি না।এক মহিলা সাফাইকর্মীকে পোশাক খুলে দেখাতে বলা হয় যে তিনি স্যানিটারি ন্যাপকিন পরেছেন কি না। এমনকী, সুপারভাইজর স্যানিটারি ন্যাপকিনের ছবিও তুলে রাখেন প্রমাণ হিসাবে।

গুরুগ্রাম: সমাজ এগিয়েছে, কিন্তু কিছু গোঁড়া মানসিকতার মানুষজন রয়ে গিয়েছেন সেই তিমিরেই। ঋতুস্রাব নিয়েও হেনস্থা কর্মীদের। পুরুষ সুপারভাইজার জোর করে সাফাইকর্মীদের পোশাক খোলাতে বাধ্য করলেন, তাদের প্রমাণ করতে বাধ্য করতে হল যে ঋতুস্রাব বা পিরিয়ডস চলছে।
ঘটনাটি ঘটেছে হরিয়ানার রোহতকের মহাঋষি দয়ানন্দ ইউনিভার্সিটিতে। গত ২৬ অক্টোবর হরিয়ানার রাজ্যপাল অসীম কুমার ঘোষ ক্যাম্পাসে পরিদর্শনে আসেন। ওই দিনই কয়েকজন মহিলা সাফাইকর্মী দেরি করে ডিউটিতে আসেন। তাদের সুপারভাইজর প্রশ্ন করেন যে কেন দেরি করে এসেছেন, তখন মহিলা কর্মীরা বলেন যে পিরিয়ড চলার কারণে তাদের সমস্যা হচ্ছে, তাই ডিউটিতে আসতে দেরি হয়েছে।
তবে তাদের সেই যুক্তি শোনার বদলে সুপারভাইজর পোশাক খুলে প্রমাণ দিতে বলেন যে তারা সত্যি বলছেন কি না।এক মহিলা সাফাইকর্মীকে পোশাক খুলে দেখাতে বলা হয় যে তিনি স্যানিটারি ন্যাপকিন পরেছেন কি না। এমনকী, সুপারভাইজর স্যানিটারি ন্যাপকিনের ছবিও তুলে রাখেন প্রমাণ হিসাবে।
অপমানে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন মহিলা সাফাইকর্মীরা। তাদের চিৎকার-চেঁচামেচি শুনে পড়ুয়ারাও চলে আসেন। বাকি সাফাইকর্মীরাও চলে আসেন এবং অভিযুক্ত সুপারভাইজরের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের দাবি করেন।
বিক্ষোভের খবর পেয়ে রেজিস্ট্রারার ডঃ কৃষ্ণকান্ত গুপ্ত ও ভাইস চ্যান্সেলর রাজভীর সিং ঘটনাস্থলে যান এবং মহিলাদের সঙ্গে কথা বলেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে অভিযুক্ত দুই সুপারভাইজরকেই সাসপেন্ড করা হয়েছে। পুলিশেও খবর দেওয়া হয়। পুলিশ অভিযুক্তদের জেরা করছে।
হরিয়ানা মহিলা কমিশনের তরফেও স্বতঃপ্রণোদিত মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। অভিযুক্তদের কড়া শাস্তির দাবি করে রোহতকের পুলিশ সুপারিন্টেন্ডেন্টকে চিঠি লেখা হয়েছে।
