জোরকদমে চলছে প্রস্তুতি, দিল্লিতে শুরু করোনা টিকাকরণের প্রশিক্ষণ

ঈপ্সা চ্যাটার্জী |

Dec 17, 2020 | 7:20 PM

উচ্চপদস্থ থেকে নিম্নপদস্থ, এই ক্রমেই প্রশিক্ষণ চলছে। বর্তমানে যাঁরা প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন, তাঁরা আগেই কেন্দ্রের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছেন এবং একে একে রাজ্যগুলিতে প্রশিক্ষণ দিতে যাবেন তাঁরা।

জোরকদমে চলছে প্রস্তুতি, দিল্লিতে শুরু করোনা টিকাকরণের প্রশিক্ষণ
চলতি সপ্তাহে ১০০ কোটির মাইল ফলক ছুঁতে চলেছে দেশ প্রতীকী চিত্র।

Follow Us

নয়া দিল্লি: সুষ্ঠভাবে করোনা টিকা বন্টনের কাজে কোমর বেঁধে লেগে পড়েছে রাজধানী। সোমবার থেকেই প্রায় ৩৫০০ স্বাস্থ্যকর্মী (Health Workers)-দের করোনা টিকাকরণের (COVID-19 Vaccination) প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু হয়েছে। এদের মধ্যে ১৮০০ স্বাস্থ্যকর্মীকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ৬০৯টি কোল্ড চেইন নিয়ন্ত্রণ পাঠানো হবে। বাকিদের বিভিন্ন ভ্যাকসিন বুথগুলিতে মেডিক্যাল অফিসার ও টিকাদাতা হিসাবে নিয়োগ করা হবে।

দিল্লি সরকারের (Delhi Government) একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চলছে এই প্রশিক্ষণ। উচ্চপদস্থ থেকে নিম্নপদস্থ, এই ক্রমেই প্রশিক্ষণ চলছে। বর্তমানে যাঁরা প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন, তাঁরা আগেই কেন্দ্রের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছেন এবং একে একে রাজ্যগুলিতে প্রশিক্ষণ দিতে যাবেন তাঁরা। এই ধাপে যাঁরা প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন, তাঁরা আগামীদিনে দিল্লির ১১টি জেলায় স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ দেবেন, এমনটাই জানানো হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে।

প্রশিক্ষক ডঃ সুনীলা গর্গ (Dr. Sunila Garg) বলেন,”এমবিবিএস (MBBS), বিডিএস (BDS), আয়ুষ চিকিৎসক (Ayush Doctor), ফার্মাসিস্ট (Pharmacist) ও মেডিক্যাল ইন্টার্ন (Medical Intern)-দের আপাতত ভ্যাকসিন সংরক্ষণ ও পরিবহনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। প্রথম পর্যায়ে প্রায় ১.৮ লাখ থেকে ২.২৫ লাখ স্বাস্থ্যকর্মীদের টিকা দেওয়া হবে। প্রথমে ভ্যাকসিন এনে রাজীব গান্ধী সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে রাখা হবে। সেখান থেকে ১১টি জেলায় তা বন্টন করে দেওয়া হবে। কীভাবে কো-উইন (Co-WIN) অ্যাপটি ব্যবহার করতে হয়, সেই বিষয়েও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে স্বাস্থ্যকর্মীদের।”

আরও পড়ুন: মানব উন্নয়ন সূচকে ভুটানের থেকেও পিছিয়ে ভারত, দুই সিড়ি নীচেই বাংলাদেশ

কীভাবে দেওয়া হবে করোনা টিকা-

টিকাকরণ বুথে তিনটি ঘর থাকবে। ওয়েটিং রুম, ভ্যাকসিনেশন ও অবজ়ারভেশন রুম। ভ্যাকসিন দেওয়ার সময় একজন অফিসার গ্রহীতার রেজিস্ট্রেশন পরীক্ষা করে দেখবেন। আরেকজন অফিসার যাবতীয় তথ্য যাচাই করে দেখবেন। বাকি দুজন অফিসারদের ভিড় সামলানো ও সাধারণ মানুষকে ভ্যাকসিন প্রক্রিয়ার বিষয়টি বোঝানোর দায়িত্বে রাখা হয়েছে।

প্রত্যেকটি বুথে প্রতিদিন ১০০ জনকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার জন্য প্রত্যেককে ভ্যাকসিন দেওয়ার পর আধ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। যদি কারোর শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়, তবে সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হবে।

আরও পড়ুন: “৯০০ কোটি খরচ করে নতুন সংসদ কি বাইরে থেকে বন্ধ রাখার জন্যই তৈরি হচ্ছে?” কেন্দ্রকে তোপ শিবসেনার

Next Article