মানব উন্নয়ন সূচকে ভুটানের থেকেও পিছিয়ে ভারত, দুই সিড়ি নীচেই বাংলাদেশ

ভারতের অবস্থান দুই ধাপ নেমে যাওয়ার বিষয়ে ইউএনডিপি (UNDP)-র প্রতিনিধি শোকো নোডা (Shoko Noda) বলেন,"ভারত ফল খারাপ করেছে, তা নয়। তবে, অন্যান্য দেশগুলি ভারতের তুলনায় আরও ভাল কাজ করেছে।

মানব উন্নয়ন সূচকে ভুটানের থেকেও পিছিয়ে ভারত, দুই সিড়ি নীচেই বাংলাদেশ
প্রতীকী চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Dec 17, 2020 | 6:12 PM

নয়া দিল্লি: মানব উন্নয়ন সূচক তালিকায় আরও দুই ধাপ পিছিয়ে গেল ভারত। মঙ্গলবার রাষ্ট্রসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (United Nations Development Programme) রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। তাতে দেখা যায়, তালিকায় বর্তমানে ১৩১তম স্থানে অবস্থান করছে ভারত। ২০১৮ সালে ভারতের অবস্থান ছিল ১২৯তম স্থানে।

দেশের মানুষের স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও জীবনধারণের মানের উপর ভিত্তি করে প্রতিবছর এই তালিকা তৈরি করে রাষ্ট্রসংঘ (United Nation)। চলতি বছরে প্রকাশিত তালিকায় শীর্ষস্থানে রয়েছে নরওয়ে (Norway)। এরপর রয়েছে আয়ারল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড, হংকংয়ের মতো দেশগুলি। প্রতিবেশী দেশগুলির মধ্যে ভুটান রয়েছে ১২৯ তম স্থানে, ১৩৩ তম স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ, ১৪২ নম্বর স্থানে নেপাল ও ১৫৪ তম স্থানে রয়েছে পাকিস্তান।

ভারতের অবস্থান দুই ধাপ নেমে যাওয়ার বিষয়ে ইউএনডিপি (UNDP)-র প্রতিনিধি শোকো নোডা (Shoko Noda) বলেন,”ভারত ফল খারাপ করেছে, তা নয়। তবে, অন্যান্য দেশগুলি ভারতের তুলনায় আরও ভাল কাজ করেছে। ভারত অন্যান্য দেশগুলিকেও সাহায্য করতে পারে এবং কার্বন নিঃসরণ কমানোর প্রতিশ্রুতি পূরণের কাজে এগিয়ে যেতে পারে।”

আরও পড়ুন: বজরং দলের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার মতো প্রমাণ মেলেনি, ব্যাখ্যা ফেসবুকের

২০২০ সালের মানব উন্নয়নের রিপোর্টে প্রতিটি দেশের জনগণের গড় আয়ু (life expectancy)-র হিসাব প্রকাশ করা হয়েছে। সেই পরিসংখ্যানে জানানো হয়েছে, ২০১৯ সালে জন্মগ্রহণ করা ভারতীয়দের গড় আয়ু ৬৯.৭ বছর। বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু ৭২.৬ বছর। পাকিস্তানের জনগণের আয়ু আরও কম, ৬৭.৩ বছর। একইসঙ্গে ক্রয় ক্ষমতার ভিত্তিতে ভারতীয়দের মাথা পিছু আয় ২০১৮ সালের তুলনায় ২০১৯ সালে বেশ কিছুটা হ্রাস পেয়েছে বলেও জানানো হয়।

রিপোর্টে আরও বলা হয়, কলম্বিয়া (Colombia) থেকে ভারত (India) অবধি নানা তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করে দেখা গিয়েছে, আর্থিক সুরক্ষা ও জমির মালিকানা মহিলাদের অনেক বেশি সুরক্ষা দেয় এবং লিঙ্গ ভিত্তিক অত্যাচারের পরিমাণও হ্রাস করে। ভারত, কলম্বিয়া ও থাইল্যান্ডের অধিকাংশ শিশুরাই অপুষ্টি (malnutrition)-র শিকার, এই তথ্যও উঠে এসেছে সমীক্ষায়। জানা গিয়েছে, কন্যাসন্তানের প্রতি আলাদা ব্যবহার ও তাদের শিক্ষা-স্বাস্থ্যে কম টাকা খরচের কারণে ছেলেদের তুলনায় মেয়েরাই বেশি অপুষ্টির শিকার।

রিপোর্টে বলা হয়, প্যারিস চুক্তি (Paris Agreement) অনুযায়ী ভারত ২০০৫ সাল থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ ৩৩ থেকে ৩৫ শতাংশ কমানোর অঙ্গীকার করেছিল। সেই প্রতিশ্রুতি পূরণেই জাতীয় সৌরশক্তি মিশনের অধীনে বিকল্প শক্তির ব্যবহার শুরু হয়েছে। ২০১৪ সালে ভারতে সৌরশক্তির (Solar Power) উৎপাদনের মাত্রা ছিল ২.৬ গিগাওয়াট, ২০১৯ সালে তা বৃদ্ধি পেয়ে ৩০ গিগাওয়াটে পৌঁছেছে। সৌরশক্তি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে বর্তমানে ভারত পঞ্চম স্থানে অবস্থান করছে।

আরও পড়ুন: “৯০০ কোটি খরচ করে নতুন সংসদ কি বাইরে থেকে বন্ধ রাখার জন্যই তৈরি হচ্ছে?” কেন্দ্রকে তোপ শিবসেনার