নয়া দিল্লি: বর্ষা বিদায় নিলেও মিলছে না মুক্তি। আগামী ৩০ অক্টোবর অবধি দেশের দক্ষিণ অংশে একাধিক রাজ্যে বজ্রপাত সহ ভারী বৃষ্টির (Heavy Rain) পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া দফতর। অর্থাৎ বর্ষাকাল বিদায় নিলেও দক্ষিণ ভারত জুড়ে বৃষ্টিপাতের প্রভাব থেকেই যাবে। এদিকে, আগামী সপ্তাহ থেকেই উত্তর ভারতে তাপমাত্রা কমতে থাকায় শীতকালের (Winter) শুরু হবে।
সোমবারই আবহাওয়া দফতরের (IMD) তরফে একটি বিবৃতি পেশ করে বলা হয়, “দেশজুড়ে ধীরে ধীরে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ হ্রাস পেয়েছে। আজ সম্পূর্ণরূপে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুও বিদায় নিল। তবে একইসঙ্গে উত্তর-পূর্ব মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে একেবারে দক্ষিণ ভারতের উপদ্বীপ অঞ্চলগুলিতে বৃষ্টি শুরু হয়েছে।”
দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে তৈরি হচ্ছে একটি ঘূর্ণিঝড়, যা বঙ্গোপসাগরের মধ্য অংশে এসে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। পূর্বদিকেও, দক্ষিণ-পূর্ব আরব সাগর থেকে পূর্বমধ্য আরব সাগর অবধি একটি নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়েছে। এই দুই নিম্নচাপ মিলিয়েই বুধবার থেকে আগামী ৩১ অক্টোবর অবধি তামিলনাড়ু, পুদুচেরী, কড়াইকাল, কেরল, মাহে, কর্ণাটকের দক্ষিণ অংশ এবং সমগ্র অন্ধ্র উপকূল জুড়ে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
অন্ধ্র প্রদেশ ও রায়ালসীমা ছাড়া বাকি অঞ্চলগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কয়েকটি বিক্ষিপ্ত জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনাও রয়েছে। তবে উত্তর, উত্তর-পূর্ব ভারত, মধ্য ও পশ্চিম অংশে আবহাওয়া শুকনো থাকবে বলেই জানা গিয়েছে।
লাগাতার বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত কেরলে ফের ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বুধ ও বৃহস্পতিবার। ইতিমধ্যেই একাধিক জেলায় জারি করা হয়েছে কমলা সতর্কতা। তামিলনাডুর অধিকাংশ অংশজুড়েও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে, এমনটাই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
চেন্নাই আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, রামানাপুরম, বিরুদ্ধনগর, মাদুরাই, তুতিকোরিন, ত্রিচি, ভিল্লুপুরম, পুদুচেরি, সালেম, কন্যাকুমারী, কোয়েম্বাটোরে আজ থেকেই ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হবে। চেন্নাইতেও আজ হালকা থেকে মাঝারি পরিমাণ বৃষ্টিপাত হতে পারে। দেশের দক্ষিণ ভাগের মধ্যে কর্নাটকের দক্ষিণভাগের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলিতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। কর্নাটকের উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতেও একই আবহাওয়া থাকবে।