Jaish Terrorist: বাংলার পাশেই ৩ জইশ জঙ্গির হদিস! কোন পথ থেকে ঢুকল, কীই বা পরিকল্পনা, জানলে গায়ে কাঁটা দেবে
Infiltration: জানা গিয়েছে, ওই জঙ্গিদের নাম হল হাসনাইন আলি, আদিল হুসেন ও মহম্মদ উসমান। হাসনাইন পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডির বাসিন্দা, আদিল উমারকোট ও উসমান বাহওয়ালপুরের বাসিন্দা।

পটনা: বাংলার পাশের রাজ্যেই জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গির হদিস। ভোটমুখী বিহারে জারি হল হাই অ্যালার্ট। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, পাকিস্তানি মদতপুষ্ট এই জঙ্গি গোষ্ঠীর তিন সদস্য বিহারে ঢুকে পড়েছে। এই তথ্য সামনে আসতেই ফের বড়সড় নাশকতার আশঙ্কা করা হচ্ছে। জারি করা হয়েছে সতর্কতা।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, অগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে নেপালের পথ ধরে তিনজন জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি ভারতে ঢোকে। গত সপ্তাহে বিহারে ঢুকে পড়ে জঙ্গিরা। বিহারের ভাগলপুরে পুলিশ ও গোয়েন্দাদের হাতে গ্রেফতার এক ব্যক্তিকে জেরা করেই এই তিন জঙ্গির হদিস মেলে।
জানা গিয়েছে, ওই জঙ্গিদের নাম হল হাসনাইন আলি, আদিল হুসেন ও মহম্মদ উসমান। হাসনাইন পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডির বাসিন্দা, আদিল উমারকোট ও উসমান বাহওয়ালপুরের বাসিন্দা। গোয়েন্দাদের আশঙ্কা, এই জঙ্গিরা বিহারে বড় নাশকতামূলক কার্যকলাপ চালাতে পারে। দেশে জঙ্গিদের স্লিপার সেলও সক্রিয় করতে পারে এরা।
ইতিমধ্যেই সন্দেহভাজন তিন জঙ্গির ছবি বিহারের সমস্ত পুলিশ স্টেশনগুলিতে পাঠানো হয়েছে। গোয়েন্দা বাহিনীর তরফে ইতিমধ্যেই নজরদারি বাড়াতে। জেলার গোয়েন্দা ইউনিটের সদস্যদের যথাযথ পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছে যদি সন্দেহভাজন গতিবিধি নজরে এলেই।
অপারেশন সিঁদুরের পরই গত মে মাস থেকে ভারত-নেপাল সীমান্ত ও সিমানচল জেলায় নজরদারি বাড়ানো হয়। এই অংশ থেকেই অনুপ্রবেশের আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছিল। সেই আশঙ্কাই সত্যি হল। তিন জইশ জঙ্গি ঢুকে পড়ার খবর সামনে আসতেই বিহারের সীমান্তবর্তী জেলাগুলি- মধুবনী, সীতামারহিস সুপল, আরারিয়া, পূর্ব ও পশ্চিম চম্পারণে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। উল্লেখ্য, বিহার নেপালের সঙ্গে ৭২৯ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত ভাগ করে, যা সম্পূর্ণ অসুরক্ষিত। এখান থেকে অনুপ্রবেশের অভিযোগ দীর্ঘদিনের।

