AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Kashmir: উরিতে হামলা চালাতে পারে জঙ্গিরা, উপত্যকা জুড়ে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা

Security beefed up at Uri: গোয়েন্দা সূত্রে খবর, এবার জঙ্গিরা উরির দুই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রকে নিশানা করছে। গোপন সূত্র মারফত থেকে এই তথ্য পাওয়ার পরেই, উরি-১ এবং উরি-২ জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে।

Kashmir: উরিতে হামলা চালাতে পারে জঙ্গিরা, উপত্যকা জুড়ে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা
কাশ্মীরে কড়া প্রহরায় নিরাপত্তারক্ষী বাহিনী। ফাইল ছবি
| Edited By: | Updated on: Oct 18, 2021 | 3:35 PM
Share

নয়া দিল্লি : জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir) জঙ্গিদের আনাগোনা ক্রমেই বাড়ছে। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, উপত্যকায় বড়সড় নাশকতার ছক কষছে জঙ্গিরা (Terrorist attack in Kashmir)। এখনও পর্যন্ত যা খবর, তাতে উরির (Uri) মতো গুরুত্বপূর্ণ কোনও জায়গায় জঙ্গিরা হামলা করতে পারে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আগে ভাগে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে নিরাপত্তা রক্ষী বাহিনীকে। গোটা জম্মু ও কাশ্মীরে কড়া সতর্কতা (High Alert) জারি করা হয়েছে।

ভৌগোলিক দিক থেকে উরি জঙ্গিদের অন্যতম পছন্দের জায়গা হতে পারে। ভারত – পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণ রেখার খুব কাছেই উরি। সেদিক থেকে অনুপ্রবেশকারী জঙ্গিরা অনেকটা ভৌগোলিক দিক থেকে সুবিধাজনক অবস্থান পেতে পারে উরিতে। এর আগেও উরির সেনা ছাউনিতে হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, এবার জঙ্গিরা উরির দুই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রকে নিশানা করছে। গোপন সূত্র মারফত থেকে এই তথ্য পাওয়ার পরেই, উরি-১ এবং উরি-২ জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে।

জইশ জঙ্গিদের ঠেকাতেই রাতের ঘুম উড়ছে গোয়েন্দাদের। এবারে উপত্যকায় নয়া আতঙ্ক। আতঙ্কের নাম, হরকত ৩১৩। ভারতীয় গোয়েন্দাদের দাবি, গত কয়েক দিন ধরে ভূস্বর্গে যে কায়দায় হামলা হচ্ছে, তার নেপথ্যে রয়েছে নতুন কোনও গোষ্ঠী। গোয়েন্দারা বলছেন, এই গোষ্ঠীর নাম হরকত ৩১৩। যা আদতে ব্রিগেড ৩১৩-র নতুন সংস্করণ।

এই জঙ্গি গোষ্ঠী সরাসরি হক্কানি গোষ্ঠীর সদর দফতর মিরানশাহ থেকেই নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা। তবে জঙ্গি গোষ্ঠীর মাথা পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ইলিয়াস কাশ্মীরি। এই গোটা জঙ্গি সংগঠনই পাকিস্তানের আইএসআইয়ের চক্রান্তে নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে তালিবানের মাধ্যমে। মূলত, ভারতীয় সেনাদের ব্যস্ত রেখে এ দেশে জইশের জঙ্গি ঢোকানোই হরকত ৩১৩-র উদ্দেশ্য। এমনটাই অনুমান করছেন গোয়েন্দারা।

লস্কর-ই-তৈবা এবং দা রেসিস্টান্স ফ্রন্টকে নিয়েও উদ্বেগ থেকে যাচ্ছে উপত্যকায়। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, স্থানীয় সরপঞ্চ এবং অকাশ্মীরীদের নিশানা করতে পারে জঙ্গিরা।

সমস্ত সাধারণ নাগরিক, যাঁরা এখন কাশ্মীরে রয়েছেন, অথচ সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দা নন, তাঁদের যত দ্রুত সম্ভব নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ জারি করা হয়েছে। গতকাল দুই সাধারণ নাগরিককে জঙ্গিরা গুলি করে হত্যার পর পরই এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দুজনেই ভিন রাজ্যের বাসিন্দা ছিলেন। এই নিয়ে চলতি মাসে কাশ্মীরে ১১ জন সাধারণ নাগরিককে হত্যা করল জঙ্গিরা। গতকাল সন্ধ্যার ঘটনার পর ভিন রাজ্য থেকে আসা প্রত্যেক সাধারণ নাগরিককে নিকটবর্তী থানায় নিয়ে আসার জন্য বলা হয়েছে। যদি কাছাকাছির মধ্যে সিএপিএফ (CAPF) কিংবা সেনা (Indian Army) ছাউনি থাকে, তাহলে সেখানে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন : Jammu and Kashmir: জইশ জঙ্গিদের এ দেশে ঢোকাতেই ভূস্বর্গে নতুন কায়দায় হামলা? উদ্বেগ বাড়াচ্ছে হরকত ৩১৩