Uday Umesh Lalit: রাম জন্মভূমি মামলা থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন, নয়া প্রধান বিচারপতির তিন পুরুষই আইনি পেশায় যুক্ত

Chief Justice of India: বিচারপতি হওয়ার আগে একাধিক হাই প্রোফাইল মামলার আইনজীবী হিসাবে লড়েছেন তিনি। বিচারপতি হওয়ার পরও দেশের বহু চর্চিত বিভিন্ন মামলার সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন তিনি।

Uday Umesh Lalit: রাম জন্মভূমি মামলা থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন, নয়া প্রধান বিচারপতির তিন পুরুষই আইনি পেশায় যুক্ত
বিচারপতি উদয় উমেশ ললিত
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 27, 2022 | 6:51 PM

নয়াদিল্লি: সুপ্রিম কোর্টের ৪৯তম প্রধান বিচারপতি হিসাবে শপথ নিয়েছেন বিচারপতি উদয় উমেশ ললিত। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী থেকে বিচারপতি হয়েছিলেন তিনি। শনিবার তিনি হলেন প্রধান বিচারপতি। তিনি ছাড়া এই কৃতিত্ব রয়েছে বিচারপতি এসএম সিকরির। তিনিও দেশের শীর্ষ আদালতের আইনজীবী থেকে বিচারপতি হয়েছিলেন। পরে প্রধান বিচারপতিও হন।

প্রধান বিচারপতি ইউ ইউ ললিত ১৯৫৭ সালের ৯ নভেম্বর মহারাষ্ট্রের সোলাপুরে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৮৩ সালের জুন মাসে আইনজীবী হিসাবে কর্মজীবন শুরু হয় তাঁর। প্রথমে বম্বে হাইকোর্টে প্র্যাকটিস করতেন তিনি। ২০০৪ সালে দেশের শীর্ষ। আদালতের আইনজীবী হিসাবে মনোনীত হন তিনি। লতিত ২০১৪ সালের ১৩ অগস্ট সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হন। শনিবার তিনি দেশের ৪৯ তম প্রধান বিচারপতি হিসাবে শপথ নিলেন। যদিও প্রধান বিচারপতি হিসাবে লতিতের মেয়াদ হবে মাত্র ৭৪ দিন। এ বছর ৮ নভেম্বর অবসর গ্রহণ করবেন তিনি। তিনি দেশের ষষ্ঠ প্রধান বিচারপতি যাঁর মেয়াদকাল হল ১০০ দিনেরও কম।

ললিতের তিন পুরুষ আইনি পেশার সঙ্গে যুক্ত। তাঁর দাদু রঙ্গনাথ ললিত সোলাপুর আদালতের আইনজীবী ছিলেন। দেশের প্রধান বিচারপতি হিসাবে শপথ নেওয়ার পর বাবার পা ছুঁয় প্রণাম করেন ইউইউ ললিত। তাঁর বাবা উমেশ রঙ্গনাথ ললিত হাইকোর্টের বিচারপতি হিসাবেও কাজ করেছেন।

বিচারপতি হওয়ার আগে একাধিক হাই প্রোফাইল মামলার আইনজীবী হিসাবে লড়েছেন তিনি। বিচারপতি হওয়ার পরও দেশের বহু চর্চিত বিভিন্ন মামলার সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন তিনি। ২জি স্পেকট্রাম কেলেঙ্কারি মামলায় সিবিআইয়ের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটার ছিলেন তিনি। উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং বিজেপি নেতা কল্যাণ সিংয়ের হয়ে মামলা লড়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে বাবারি মসজিস ভাঙা রুখতে না পারায় অভিযুক্ত কল্যাণের বিরুদ্ধে যে মামলা দায়ের হয়েছিল সেই মামলা লড়েছিলেন তিনি। ১৯৯৮ সালে সলমন খানের হয়ে শিকার মামলাতেও লড়েন তিনি।

২০১৪ সালে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হওয়ার পরও প্রচুর হাই প্রোফাইল মামলার বিচার করেছেন তিনি। তিন তালাক মামলায় বিচারপতিদের বেঞ্চে ছিলেন তিনি। পকসো আইনের অধীনের শিশুদের যৌন নিগ্রহের ব্যাপারে উল্লেখযোগ্য রায় দিয়েছিলেন ললিত। কেরলের পদ্মনাভস্বামী মন্দিরের ট্রাস্টি নিয়ে দায়ের হওয়ার মামলার রায়ও ললিতের দেওয়া। এর পাশাপাশি রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ মামলায় সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চেও ছিলেন বিচারপতি ললিত। ওই মামলার চূড়ান্ত শুনানি হওয়ার আগে সেই মামলার শুনানি থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন তিনি। সেই বেঞ্চের নেতৃত্বে ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ।