UP News: এইচআইভি পজিটিভ প্রসূতিকে ছুঁতে আপত্তি! হাসপাতালের ‘গাফিলতিতে’ মৃত্যু সদ্যোজাতর
UP News: এইচআইভি পজিটিভ প্রসূতিকে যথা সময়ে চিকিৎসা না দেওয়ার অভিযোগ উঠল উত্তর প্রদেশের হাসপাতালের বিরুদ্ধে। আর হাসপাতালের এই গাফিলতিতেই সদ্যোজাতের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি পরিবারের।
আগ্রা: এইচআইভি এইডস (HIV AIDS) নিয়ে অনেক প্রচার হলেও এখনও সমাজে এই রোগ নিয়ে বিভিন্ন ভুল ধারণা রয়ে গিয়েছে। এখনও এইচআইভি রোগী দেখলে মানুষ পাশ কাটিয়ে চলে যান। বা কোথাও কোনও পরিষেবা পেতে বা হাসপাতালে চিকিৎসা পেতে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় HIV পজিটিভ রোগীদের। এবার এক এইচআইভি পজিটিভ প্রসূতিকে চিকিৎসা না করিয়ে ফেলে রাখার অভিযোগ উঠল উত্তর প্রদেশের এক সরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, ২০ বছরের এক যুবতী প্রসবকালীন ব্যথা নিয়ে উত্তর প্রদেশের ফিরোজ়াবাদের মেডিক্যাল কলেজে গিয়েছিলেন। সেখানে তাঁকে ৬ ঘণ্টা ফেলে রাখা হয়। হাসপাতালের কোনও কর্মী তাঁকে ছুঁতে অস্বীকার করেন বলে অভিযোগ প্রসূতির পরিবারের। আর হাসপাতালের এই গাফিলতির কারণেই প্রসবের পরই যুবতীর ছেলের মৃত্যু হয় বলে দাবি পরিবারের।
২০ বছরের অন্তঃসত্ত্বা যুবতী। অন্যদিকে তিনি HIV পজিটিভও। বর্তমানে তিনি ফিরোজ়াবাদে নিজের বাবা-মায়ের সঙ্গেই থাকেন। বিয়ের এক বছর পরই স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে গিয়েছে তাঁর। যুবতীর পরিবারের দাবি, বিয়ের পর পরই এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত হন যুবতী। সেই যুবতীকেই প্রসূতিকালীন বেদনা নিয়ে ফিরোজ়াদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে আসেন তাঁর বাবা। রবিবার দুপুর নাগাদ নিয়ে আসলেও বিকেল গড়িয়ে গেলেও তাঁকে কেউ দেখতে আসেন না। এদিকে প্রসব বেদনায় কাতড়াতে থাকেন সেই যুবতী। টাইমস অব ইন্ডিয়ার একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, যুবতীর বাবা বলেছেন, ‘বেসরকারি হাসপাতাল নর্ম্যাল ডেলিভারির জন্য ২০ হাজার টাকা চাইছিল। জাতীয় এইডস নিয়ন্ত্রক সংস্থা (NACO)-র জেলা ফিল্ড অফিসারের সঙ্গে আলোচনা করার পর দুপুরে মেয়েকে নিয়ে মেডিক্য়াল কলেজে আসি।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘আমার মেয়ে ছয় ঘণ্টা ধরে প্রসব যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিল। অনেকবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও কোনও ডাক্তার ওকে সাহায্য করতে আসেনি।’ তিনি জানিয়েছেন, ছয় ঘণ্টা যন্ত্রণা সহ্য করার পর যখন বিষয়টি হাসপাতালের বর্ষীয়ান আধিকারিকদের কাছে পৌঁছোয় তখন একজন নার্স তাঁকে লেবার রুমে নিয়ে যান।
সেখানে এক ছেলের জন্ম দেন যুবতী। তবে জন্মের পরই শ্বাসের সমস্যা শুরু হয় শিশুর। শিশুটিকে ঠিকভাবে দেখার আগেই তাকে স্পেশ্যাল নিউবর্ন কেয়ার ইউনিটে নিয়ে যান নার্সরা। যুবতীর বাবা জানিয়েছেন, পরের দিন সকালে নার্সরা এসে জানান, শিশুটি মারা গিয়েছে। যুবতীর বাবা বলেন, ‘এই ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনও হাত নেই, এই মর্মে একটি চিঠিতে স্বাক্ষর করার জন্য জোর করছে হাসপাতাল থেকে।’ যুবতীর পরিবারের অভিযোগের পর ফিরোজ়াবাদ মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপ্যাল সঙ্গীতা আনেজা জানিয়েছেন, যুবতীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে এই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।