নয়া দিল্লি: রাত পোহালেই উপনির্বাচন। তার আগেই চিঠি-পাল্টা চিঠি লড়াই। নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে দন্দ্ব তৃণমূল কংগ্রেসের। উপনির্বাচন সংক্রান্ত অভিযোগ জানাতেই জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে সময় চেয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদরা। চিঠির জবাবে সোমবার সময়ও দিয়েছিল কমিশন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে সময় পাওয়ার অভিযোগ তুলে দেখা করতে যায়নি তৃণমূল। পাল্টা চিঠি দিয়েছিল কমিশন। তৃণমূলের ভুলেই যে সময় পেতে দেরি, তা চিঠিতে স্পষ্ট ভাষায় উল্লেখ করেছিল নির্বাচন কমিশন। এবার নির্বাচন কমিশনের চিঠির পাল্টা কড়া চিঠি তৃণমূলের। অব্যাহত রইল পত্র যুদ্ধ।
উপনির্বাচনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা, ঘৃণাভাষণ সহ একাধিক অভিযোগ জানাতেই জাতীয় নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদরা। কিন্তু সময় বরাদ্দ করা নিয়েই কমিশনের সঙ্গে বিরোধ বাধে। সোমবার নির্বাচন কমিশনের পাঠানো চিঠিতে তৃণমূলের দেরিতে সময় দেওয়ার অভিযোগকে অপ্রত্যাশিত এবং বিভ্রান্তিকর বলে আখ্যা দেওয়া হয়। সেই চিঠিতে কমিশন জানিয়েছিল, ৮ নভেম্বর বিকেল ৫টা ১৭মিনিটে ইমেইল মারফত প্রথমবার সময় চায় তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু কী কারণে সময় চাওয়া হচ্ছে, তা উল্লেখ করা হয়নি। এরপর ৯ নভেম্বর সকাল ৯ টা ৫৭ মিনিটে দ্বিতীয় ইমেইল পাঠায় তৃণমূল। দ্বিতীয়বারও দেখা করার সময় চাওয়া হলেও কারণ এবং কারা দেখা করবেন তা জানানো হয়নি। ওই দিনই দুপুর ২টো ৫৭ মিনিটে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল দুটি বিষয়ে অভিযোগ জমা দিয়ে যায়। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই গতকাল, ১১ নভেম্বর দুপুর সাড়ে তিনটে তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে সময় দেওয়া হয়েছিল।
এদিকে, পাল্টা চিঠিতে তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন দাবি করেন যে 8 নভেম্বর প্রথম চিঠিতে সময় চাওয়ার সময়ই প্রতিনিধি দলে তৃণমূলের সংসদীয় দলের নেতারা যে থাকবেন তা উল্লেখ করা হয়েছিল। তৃণমূল কংগ্রেসের পরপর দু’টি চিঠির কোন প্রাপ্তি স্বীকার করা হয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি। এমনকী, সংসদীয় প্রতিনিধি দল অভিযোগ জমা দেওয়ার ২৪ ঘন্টা পরও কমিশনের তরফে কোন জবাব পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ ডেরেকের।
চিঠিতে ডেরেক ও’ব্রায়েনের বক্তব্য, নির্বাচন কমিশনকে সম্মান করে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু সংসদ সংখ্যার নিরিখে তৃতীয় বৃহত্তম দলের প্রতি কমিশনের কতটা সম্মান আছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।