নিজের বাড়িতে ৬ ছয়বার ছুরি দিয়ে কোপানো হয়েছে বলিউডের ছোট নবাব সইফ আলি খানকে। যদিও এখন তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল। বলি অভিনেতার উপর হামলার ঘটনায় এক সন্দেহভাজনকে ইতিমধ্যেই আটক করেছে মুম্বই পুলিশ। হামলার পরে সিঁড়ি দিয়ে দৌড়ে পালানোর সময় ৬ তলায় ক্যামেরায় ধরা পড়ে আততায়ী। কোন কৌশলে তাঁকে আটক করল পুলিশ?
জানা গিয়েছে ডেটা ডাম্প প্রযুক্তির সাহায্যেই হামলাকারীকে আটক করেছে পুলিশ। মোবাইল লোকেশন ট্র্যাক করে গোয়েন্দারা। সিসিটিভির সাহায্যে নিশ্চিত করা হয় পুলিশ।
কী ভাবে আততায়ীকে ধরল পুলিশ?
সইফের উপর হামলা চালিয়ে সিঁড়ি দিয়ে পালিয়ে যায় আততায়ী। পুলিশ সেই সন্দেহভাজনকে ধরতে ওই এলাকার ডেটা ডাম্প সংগ্রহ করে। ডাটা ডাম্পের সাহায্যে ওই এলাকার মোবাইল টাওয়ারের ডাটাও সংগ্রহ করা হয়। হামলার সময়ের সব ডেটা ডাম্প পুলিশ নিয়ে যায়। তার ভিত্তিতে হামলাকারীর কাছে পৌঁছায়।
কী এই ডেটা ডাম্প?
যে কোনও এলাকায় সীমিত সংখ্যক মোবাইল ফোন টাওয়ার রয়েছে। এই টাওয়ারের সাহায্যে ওই এলাকার সব সক্রিয় মোবাইল ফোন নেটওয়ার্কের তথ্য পাওয়া যায়। ডেটা ডাম্প প্রযুক্তি সেই টাওয়ারে কতগুলি মোবাইল নম্বর যুক্ত হয়েছে, তার তথ্য সরবরাহ করে। তাই মোবাইলটি কতক্ষণ সক্রিয় ছিল, কখন বন্ধ ছিল, সেই সব তথ্য পাওয়া যায়। এই প্রযুক্তি ফোনের অবস্থান ট্র্যাক করার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
প্রতিটি মোবাইল টাওয়ারে একবার কোনও ফোনের সংযুক্ত হলে সেই ফোনের ডেটা সংরক্ষণ হয়ে যায়। তারপর এই টাওয়ারে তার একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করা হয়। মোবাইল অন্য টাওয়ারে চলে গেলে সেখানেও একই প্রক্রিয়া ঘটে। প্রতিটি টাওয়ার একটি করে লগ তৈরি হয়।
ডেটা ডাম্পে সংরক্ষিত থাকে। এটি ফোন সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য যেমন আইএমইআই নম্বর, ম্যাক অ্যাড্রেস, আইপি অ্যাড্রেস এবং অবস্থানের সঙ্গে অন্যান্য় আরও ডেটা সংরক্ষণ থাকে। বিভিন্ন সফ্টওয়্যার ব্যবহার করে, এটি ব্যবহারকারীর কল লগ, ম্যাসেজ, ফাইল, ব্রাউজিং ইতিহাস এবং ই-মেইলের মতো তথ্য সংগ্রহ করা যায়। এই ডেটা ডাম্প ব্যবহার করেই আততায়ীকে ট্রেস করে পুলিশ।