নয়া দিল্লি : দেশের করোনা পরিস্থিতির উপর কিছুটা লাগাম পড়তেই, এক ভয়ঙ্কর প্রবণতা দেখা দিতে শুরু করেছে একাংশের নাগরিকদের মধ্যে। করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ় নিতে অনেকের মধ্যেই অনিহা দেখা দিচ্ছে। আর এরই মধ্যে চমকে দেওয়া তথ্য প্রকাশ্যে এনেছে কেন্দ্র। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে শনিবার জানানো হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকার বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলিকে করোনা টিকার মোট ১২৯ কোটি ডোজ় পাঠানো হয়েছিল। এর মধ্যে ২১ কোটি ৬৫ লাখেরও বেশি টিকা অব্যবহৃত থেকে গিয়েছে। সেই ডোজ় এখনও সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিতে পড়ে রয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রক শুরু থেকেই বলে আসছে যে কেন্দ্রীয় সরকার ভারতে করোনা টিকাকরণ প্রক্রিয়ায় গতি আনতে এবং দেশের নিবিড় টিকাকরণকে আরও প্রসারিত করতে বদ্ধপরিকর। মন্ত্রকের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, “কোভিড -19 টিকাকরণ প্রক্রিয়াকে সর্বজনীন করতে কেন্দ্রীয় সরকার নতুন করে রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে দেশের ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারকদের দ্বারা উৎপাদিত ভ্যাকসিনের ৭৫ শতাংশ সংগ্রহ করে এবং বিনামূল্যে সরবরাহ করবে।”
এখনও সংক্রমণের নিরিখে কেরলে সংক্রমণ সর্বোচ্চ। সেই রাজ্যে একদিনে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৫ হাজার ৭৫৪ জন। মৃত্যু হয়েছে ২০৪ জনের। এরপরই রয়েছে মহারাষ্ট্র। গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণ ৯০৬ জনের শরীরে হদিশ মিলেছে ভাইরাসের। একদিনে মৃত্যু হয়েছে ১৫ জনের। মহারাষ্ট্রের পরে রয়েছে কর্নাটক। সেই রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ২৪২ । গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। আর তামিলনাড়ুতে আক্রান্ত হয়েছেন ৭৭২ জন।
বিগত তিন থেকে চার মাসের পরিসংখ্যান লক্ষ করলে দেখা যাবে দেশের বাকি রাজ্যগুলির তুলনায় উত্তর প্রদেশে কিন্তু করোনা সংক্রমণ যথেষ্ঠ নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। দেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় রাজ্য হওয়ার দরুণও সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা কিন্তু অনেক নিয়ন্ত্রিত।গত ২৪ ঘণ্টায় সেই রাজ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ১১ জন। কারও মৃত্যু হয়নি। রাজধানী দিল্লিতে একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ৩০ জন।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজার ৩০২ জন। গতকাল সেই সংখ্যাটা ছিল ১১ হাজার ১০৬ জন। চলতি সপ্তাহে অনেকটাই নিয়ন্ত্রিত ছিল মৃত্যু। কেরলেও সংখ্যাটা কম ছিল। এরপর হঠাৎ করে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৪০০ গণ্ডি ছাড়ায়। গত ২৪ ঘণ্টায় সেই সংখ্য়াটা একধাক্কায় কমে ২৬৭ হয়েছে।
আরও পড়ুন : Sukanta Majumder On Tathagata Roy: ‘ওঁ দলের সাধারণ সদস্য’, তথাগতর ‘আপাতত বিদায়’ মন্তব্যের পাল্টা সুকান্ত
আরও পড়ুন: Farmers Meeting: এখনও কি প্রয়োজন আন্দোলনের? চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে মুখোমুখি ৩২টি কৃষক সংগঠন