Ayodhya Ram ‘Paduka’: ভগবান রামকে স্বর্ণ পাদুকা উপহার দিতে হায়দরাবাদ থেকে হেঁটে অযোধ্যা পাড়ি, পাদুকাজোড়ার দাম শুনলে অবাক হবেন
Golden 'Paduka': শ্রীনিবাস শাস্ত্রী জানান, প্রথমে রুপোর পাদুকাজোড়া তৈরি করিয়েছিলেন। তখন এক-একটি পাদুকার ওজন ছিল ৮ কেজি। তারপর তিনি সেগুলির উপর সোনার মোড়ক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। হাসমাথপেতে অবস্থিতি গোল্ডস্মিথ-এর শাখা থেকে পাদুকাজোড়ায় সোনার প্লেটিং করান এবং বর্তমানে পাদুকাজোড়ার এক-একটির ওজন সাড়ে ১২ কেজি হয়েছে।
সেকেন্দ্রাবাদ: বাল্মীকি পুরাণ অনুসারে, পঞ্চবটী অরণ্য থেকে রামচন্দ্রের পাদুকা মাথায় করে অযোধ্যায় নিয়ে এসে সেটি সিংহাসনে রেখে রাজ্যপাট চালিয়েছিলেন তাঁর ভাই ভরত। এবার অযোধ্যা রামমন্দিরের বিগ্রহ, রামলালার পাদুকা মাথায় নিয়ে হায়দরাবাদ থেকে ১৩০০ কিলোমিটার হেঁটে অযোধ্যায় যাচ্ছেন চার্লা শ্রীনিবাস শাস্ত্রী। তিনিই রামমন্দিরের বিগ্রহের জন্য কোটি টাকার সোনা বেষ্টিত রুপোর পাদুকা তৈরি করিয়েছেন। রামমন্দির উদ্বোধনের আগেই উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর হাতে এই পাদুকাজোড়া তুলে দিতে চান তিনি।
এক সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শ্রীনিবাস শাস্ত্রী জানান, গত ২৮ অক্টোবর ভগবান রামের পাদুকা মাথায় নিয়ে অন্ধ্র প্রদেশের পূর্ব গোদাবরী জেলার প্রত্যন্ত গ্রাম, বেদগুরপাকা থেকে অযোধ্যার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছেন। আগামী ১৩ জানুয়ারির মধ্যেই তিনি অযোধ্যায় পৌঁছে যাবেন বলে আশাবাদী শাস্ত্রী। যখন যাত্রা শুরু করেছিলেন তখন তাঁর সঙ্গে ২০ জন ছিলেন। কিন্তু, প্রচণ্ড ঠান্ডা ও নানা কারণে একে-একে অনেকেই মাঝপথে রণে ভঙ্গ দিয়েছেন। এখন তাঁর সঙ্গে রয়েছেন মাত্র ৬ জন। তবে কে থাকল বা কে থাকল না, তাতে কিছু যায় আসে না শাস্ত্রীর। তিনি অযোধ্যায় যাবেনই এবং রামমন্দির উদ্বোধনের আগেই উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর হাতে বিগ্রহের সোনায় মোড়া সাড়ে ১২ কেজি করে মোট ২৫ কেজি ওজনের পাদুকাজোড়া তুলে দেবেন বলে পণ নিয়েছেন। প্রতিদিন পাদুকাজোড়া মাথায় নিয়ে ৩৮ কিলোমিটার পথ হাঁটেন এবং বলে জানিয়েছেন শাস্ত্রী।
শ্রীনিবাস শাস্ত্রীর অবশ্য বিশেষ একটি পরিচয় রয়েছে। তিনি হায়দরাবাদের অযোধ্যা ভাগ্যনগরম সীতারাম সেবা ট্রাস্ট ফাউন্ডেশনের ডিরেক্টর। তবে কোনও সংস্থার তরফে নয়, চার্লা শ্রীনিবাস শাস্ত্রী ব্যক্তিগতভাবে রামমন্দিরের বিগ্রহের জন্য একজোড়া সোনার পাদুকা নিবেদন করতে চলেছেন। তিনি জানান, প্রথমে রুপোর পাদুকাজোড়া তৈরি করিয়েছিলেন। তখন এক-একটি পাদুকার ওজন ছিল ৮ কেজি। তারপর সফর শুরু করার পর তিনি সেগুলির উপর সোনার মোড়ক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তখন তিনি পুনরায় হায়দরাবাদে ফিরে যান এবং হাসমাথপেতে অবস্থিতি গোল্ডস্মিথ-এর শাখা থেকে পাদুকাজোড়ায় সোনার প্লেটিং করান। সোনার প্লেটিং করানোর পর বসানোর পাদুকাজোড়ার এক-একটির ওজন সাড়ে ১২ কেজি হয়েছে এবং মোট প্রায় ১.২ কোটি টাকা খরচ পড়েছে বলে শাস্ত্রী জানিয়েছেন।
শাস্ত্রীর এই ভক্তি এবং অর্ঘ্য নিবেদনে বাধা দেয়নি রামমন্দির ট্রাস্ট থেকে উত্তর প্রদেশ সরকার। শাস্ত্রী জানান, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যানাথ সোনায় মোড়া ওই পাদুকাজোড়া ভক্তদের দর্শনের জন্য রামমন্দিরের ভিতরে রাখবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
শ্রীনিবাস শাস্ত্রীর রামমন্দিরের জন্য বিশেষ অর্ঘ্য নিবেদন অবশ্য এটাই প্রথম নয়। রামমন্দির নির্মাণের শিলান্যাস অনুষ্ঠানে আড়াই কেজি করে ৫টি রুপোর ইট দিয়েছিলেন তিনি।