Cyber Crime: সাইবার জালিয়াতির শিকার? শুধু মনে রাখুন একটা নাম, মুহূর্তেই মাছের মতো জালে পড়বে প্রতারকেরা
Cyber Crime: তথ্য বলছে, ২০১৯ সালে সারা দেশে সাইবার ক্রাইমের ঘটনা ছিল প্রায় ২৬ হাজার। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল, মাত্র ৪ মাসেই সেই সংখ্যাটা সাড়ে ৭ লাখ। আজকের দিনে এই ২০২৪ সালের মে মাসে গোটা দেশে রোজ গড়ে ৭ হাজার সাইবার ক্রাইমের অভিযোগ জমা পড়ছে।

কলকাতা: ব্যাপারটা আমরা সবাই জানি। তবুও মুহূর্তের অসতর্কতায় সব গণ্ডগোল হয়ে যায়। কিন্তু, কিছু তথ্যে চোখ রাখলেই এবার আঁচ করতে পারবেন বিপদ কোথায় এসে দাঁড়িয়েছে। সময় আরও বেশি সতর্ক হওয়ার। আসলে কথা হচ্ছে সাইবার জালিয়াতি বা অনলাইন ফ্রডের বিপদ নিয়ে। কিছুদিন আগেও যদি দশজনের জটলায় সাইবার ফ্রডের কথা উঠত তাহলে এক-দুজন বলতেন তাঁদের পরিচিত কেউ এরকম জালিয়াতির স্বীকার হয়েছেন। আর আজ যদি আপনি আড্ডার মাঝে একথা তোলেন তাহলে দশজনের মধ্যে খুব কম করে হলেও দুজন বলবেন আমরা নিজেরাই ফাঁদে পড়ে ঠকেছি।
তথ্য বলছে, ২০১৯ সালে সারা দেশে সাইবার ক্রাইমের ঘটনা ছিল প্রায় ২৬ হাজার। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল, মাত্র ৪ মাসেই সেই সংখ্যাটা সাড়ে ৭ লাখ। আজকের দিনে এই ২০২৪ সালের মে মাসে গোটা দেশে রোজ গড়ে ৭ হাজার সাইবার ক্রাইমের অভিযোগ জমা পড়ছে। যা কিনা গত ৩ বছরের দৈনিক গড়ের চেয়ে প্রায় ১১৪ শতাংশ বেশি। এ বছর প্রথম ৪ মাসে অনলাইন জালিয়াতির শিকার হয়ে সাধারণ মানুষ প্রায় আঠারোশো কোটি টাকা খুইয়েছেন। ভাবুন অবস্থা কতটা গুরুতর। সাইবার জালিয়াতি আটকাতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক দ্য ইন্ডিয়ান সাইবার ক্রাইম কোঅর্ডিনেশন সেন্টার নামে একটা প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে। এগুলি তাদের পোর্টাল থেকে পাওয়া তথ্য। এর বাইরেও জালিয়াতির বহু বহু ঘটনা রয়েছে যেখানে মানুষ অভিযোগ জানাননি। সেগুলো যদি এর সঙ্গে যোগ করা যেত, তাহলে সংখ্যাটা কোথায় গিয়ে পৌঁছতো তা ভেবেই চোখ কপালে উঠছে অনেকের।
সোজা কথায়, আমাদের দেশে সাইবার অপরাধের ঘটনায় কোনওভাবে রাশ টানা যাচ্ছে না। ওয়াকিবহাল মহলের মতে সবথেকে বেশি বিপদ ঘণ্টা বাজছে অনলাইন ট্রেডিং এবং অনলাইন ইনভেস্টমেন্টে। সঙ্গে রয়েছে বেআইনি লেন্ডিং অ্যাপ। ওটিপি স্ক্যাম। বেআইনি গেমিং অ্যাপ। সেক্সটরশন আর ডেটিং অ্যাপ। এগুলো মোটামুটি একেবারে প্রথম সারির ফতুর হওয়ার জায়গা। আর প্রতারকেরা শিকার ধরতে রোজই নিত্যনতুন ফন্দি ফিকির বের করছে। ট্রাই থেকে বলছি। পুলিশ থেকে বলছি। ব্যাঙ্ক থেকে বলছি। ইলেকট্রিক সাপ্লাই থেকে বলছি। এসব তো আছেই। এখন ডিপফেকে পরিচিতদের গলা নকল করেও ফোন করা হচ্ছে। তাই সাইবার বিশেষজ্ঞরা বারবার বলছেন সাবধান হোন। অনলাইন প্রতারণা শুধু আমাদের টাকাই কেড়ে নিচ্ছে না জালিয়াতদের ধূর্ততার কাছে আমাদের সাধারণ মানুষের বুদ্ধি হেরে যাচ্ছে।
এখন বারবার শোনা যাচ্ছে দ্য ইন্ডিয়ান সাইবার ক্রাইম কোঅর্ডিনেশন সেন্টারের কথা। কী কাজ করে এরা? এরা জালিয়াতির ঘটনায় সিম কার্ড ব্লক করা, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ব্লক করা, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ও বিভিন্ন ফিনটেক সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলার কাজ করে। তাই কখনও যদি অনলাইন জালিয়াতির শিকার হন তাহলে অবশ্যই এখানে অভিযোগ জানানোর কথা বলছেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা।
