India’s Stand in UNSC Meeting: ‘মারাত্মক বিপর্যয় হতে পারে’, ইউক্রেনের পরমাণু কেন্দ্র দখল হতেই উদ্বেগ প্রকাশ ভারতের
India's Stand in UNSC Meeting: শুক্রবার ইউক্রেনের জ়াপোরঝিয়া পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দখল নেয় রুশ সেনা। এরপরই পরমাণু হামলার আশঙ্কায় আলবেনিয়া রাষ্ট্রসঙ্ঘের ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকের ডাক দেয়। শুক্রবার এই বৈঠকে আলবেনিয়া ছাড়াও যোগ দেয় ভারত, ফ্রান্স, আয়ারল্যান্ড, নরওয়ে, ইংল্যান্ড ও আমেরিকা।
জেনেভা: পরমাণু যুদ্ধ (Nuclear War) শুরু করার হুঁশিয়ারি আগেই দিয়েছিল রাশিয়া (Russia)। সেই আশঙ্কাই আরও বেড়েছে শুক্রবার ইউক্রেন(Ukraine)-র পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রে রুশ মিসাইলের হামলা এবং পরে ওই পরমাণু কেন্দ্রের দখল নেওয়াকে। গতকালই জ়াপোরঝিয়া পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দখল নেয় রাশিয়ার বাহিনী। এরপরই রাষ্ট্রসঙ্ঘের বৈঠকে এই বিষয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল ভারত। বৈঠকে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি টিএস তিরুমূর্তি (TS Tirumurti) বলেন, “পরমাণু কেন্দ্রে কোনও প্রকার দুর্ঘটনা ঘটলে জনস্বাস্থ্য ও প্রকৃতির উপর ব্যাপক প্রভাব পড়বে”। তিনি রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদকেও ইউক্রেনের পরিস্থিতিকে মানবিক বিপর্যয় হিসাবে গ্রহণ করা এবং সে দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
গতকালের বৈঠকে টিএস তিরুমূর্তি বলেন, “পরমাণু কেন্দ্রগুলিতে সর্বোচ্চ সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার উপরই ভারত সবথেকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে, কারণ যেকোনও ধরনের পরমাণু দুর্ঘটনা বা বিপর্যয়ই জনস্বাস্থ্য ও প্রকৃতির উপর ব্যাপকভাবে প্রভাব ফেলতে পারে।”
শুক্রবার ইউক্রেনের জ়াপোরঝিয়া পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দখল নেয় রুশ সেনা। এরপরই পরমাণু হামলার আশঙ্কায় আলবেনিয়া রাষ্ট্রসঙ্ঘের ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকের ডাক দেয়। শুক্রবার এই বৈঠকে আলবেনিয়া ছাড়াও যোগ দেয় ভারত, ফ্রান্স, আয়ারল্যান্ড, নরওয়ে, ইংল্যান্ড ও আমেরিকা। বৈঠকেই ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি জানান, ইউক্রেনের পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়ের উপরই সতর্কভাবে নজর রাখছে ভারত এবং ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটোমিক এনার্জি এজেন্সির পরমাণু শক্তি নিয়ে যে সুরক্ষা ও নজরদারি বিধি রয়েছে, তাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে।
টিএস তিরুমূর্তি বলেন, “ইউক্রেনের পরমাণু কেন্দ্র ও অন্যান্য সংস্থাগুলির সম্পর্কে যাবতীয় খোঁজখবর রাখছে ভারত। ইউক্রেন-রাশিয়ার মধ্যে তৈরি হওয়া এই দ্বন্দ্বে পরমাণু আক্রমণের বিষয়টি যেমন গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে, একইভাবে নিরাপত্তা পরিষদের উচিত ইউক্রেনে সৃষ্ট যে মানবিক সঙ্কটমূলক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, তার দিকে নজর দেওয়া এবং নারাপরাধ সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করা। এরমধ্যে কয়েক হাজার ভারতীয়ও রয়েছেন, যাদের মধ্যে অধিকাংশই পড়ুয়া।”
তিনি জানান, সম্প্রতিই ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে দ্বিতীয় দফার যে বৈঠক হয়েছে, তাতে মানবিক করিডোর তৈরির যে প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে, তা যেন দ্রুত কার্যকর হয়। গত সপ্তাহে নিরাপত্তা পরিষদের শেষ বৈঠকের পর ইউক্রেনের পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ায়, তাকে ‘দুঃখজনক’ বলেও অ্যাখ্যা দেন তিনি। হিংসা থামিয়ে দ্রুত এই সমস্যার সমাধানসূত্র খোঁজার উপরও জোর দেন তিনি।