India-China Disengagement: লালফৌজকে মিষ্টিমুখ, LAC-তে সেনা প্রত্যাহার হতেই ৪ বছরে প্রথম হল এই কাজ
LAC: আজ, দীপাবলি উপলক্ষে ভারতীয় ও চিনা সেনা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর একাধিক সীমান্ত পয়েন্টে মিষ্টি বিনিময় করে। ২০২০ সালে গালওয়ানের সংঘর্ষের পর থেকে এই রীতি বন্ধ ছিল।
লাদাখ: অবশেষে সেনা প্রত্যাহার হল প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায়। সংঘর্ষ, কয়েক বছর ধরে দীর্ঘ চাপান-উতোরের পর ভারত ও চিন- দুই দেশই পূর্ব লাদাখের সীমান্ত থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নিল। আর সেনা প্রত্যাহার করার পরই বড় পদক্ষেপ। সীমান্তে ফের শুরু হল পেট্রোলিং। আজ, দীপাবলি উপলক্ষে দুই দেশের সেনার মধ্যে মিষ্টি বিনিময়ও করা হয়।
সূত্রের খবর, পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে সেনা প্রত্য়াহারের পরই আজ, বৃহস্পতিবার থেকে দেমচক ও দেপসাং-এ স্বাভাবিক টহল শুরু করেছে ভারতীয় সেনা। ওপ্রান্তে চিনা সেনাও টহল দিচ্ছে। দুই দেশের মধ্যে বিগত চার বছর ধরে যে চাপান-উতোর চলছিল, তা কমার লক্ষ্যে এটি বড় পদক্ষেপ বলেই মনে করা হচ্ছে।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, আপাতত দিনের বেলাই পেট্রোলিং চলবে দেপস্যাং ও দেমচকে। রাতে পেট্রোলিংয়ের পরিকল্পনা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, এই দুই সংঘর্ষস্থল থেকে সেনা প্রত্যাহার সম্পূর্ণ হয়েছে। এরপর ভেরিফিকেশন বা যাচাই প্রক্রিয়া রয়েছে। তা শেষ হলে পেট্রোলিংয়ের যাবতীয় ব্যবস্থা ও সিদ্ধান্ত নেবেন গ্রাউন্ড কম্যান্ডাররা।
আজ, দীপাবলি উপলক্ষে ভারতীয় ও চিনা সেনা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর একাধিক সীমান্ত পয়েন্টে মিষ্টি বিনিময় করে। ২০২০ সালে গালওয়ানের সংঘর্ষের পর থেকে এই রীতি বন্ধ ছিল। বিগত চার বছর ধরে চলা দুই দেশের মধ্যে চাপান-উতোরের ইতি হয় গত ২১ অক্টোবর। ভারত সরকারের তরফে ঘোষণা করা হয়, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে চিন সেনা প্রত্যাহার করতে রাজি হয়েছে। এরপরই দুই দেশের তরফে সেনা প্রত্যাহারের কাজ শুরু হয়। অস্থায়ী পোস্ট ও সামরিক পরিকাঠামোও সরিয়ে নেওয়া হয়েছে দেপস্যাং ও দেমচক থেকে। তবে গালওয়ান সহ বাকি বাফার জোন থেকে সেনা প্রত্যাহার নিয়ে এখনও কোনও আলোচনা হয়নি।