Indian Space Force: কক্ষপথে টহল দেবে সেনা! এবার মহাকাশেও সামরিক ঘাঁটি ভারতের

Indian Space Force: অনেক সেনা, কম্যান্ডো, অস্ত্রশস্ত্র ও অবশ্যই একজন সেনাপতি। ৫৩ স্যাটেলাইট, স্পেস কন্ট্রোল অ্যান্ড লঞ্চিং কম্যান্ড সঙ্গে স্পেস রিজার্ভ ইউনিট এবং আরও হয়তো ইউনিক কিছু। দিন কয়েক আগেই এই প্রসঙ্গে আর্মি হেড-কোয়াটার্সে একটা তথ্যপূর্ণ প্রেজেন্টেশন দিয়েছে ডিপার্টমেন্ট অফ মিলিটারি অ্যাফেয়ার্স। কিন্তু কী ভাবেই বা তৈরি হবে মহাকাশে এই সেনাঘাঁটি? থাকবে কারা?

Indian Space Force: কক্ষপথে টহল দেবে সেনা! এবার মহাকাশেও সামরিক ঘাঁটি ভারতের
মহাকাশে ঘাঁটি ভারতেরImage Credit source: Getty Image | PTI
Follow Us:
| Updated on: Dec 19, 2024 | 9:47 PM

নয়াদিল্লি: দেশের সংবেদনশীল এলাকায় নিজেদের ঘাঁটি তৈরি করেছে ভারতীয় সেনা। মূলত, নিরাপত্তারক্ষার খাতিরেই এমন অনেক জায়গা যেখানে হয়তো সাধারণের পৌঁছানো অসাধ্য সাধনের সমান, সেখানেও নিজেদের ঘাঁটি গেড়েছে ভারতীয় সেনা। তবে এবার আরও এক ধাপ এগিয়ে অসাধ্য সাধন ভারতীয় জওয়ানদের। মহাকাশে সেনাঘাঁটি গড়বে ভারত।

অনেক সেনা, কম্যান্ডো, অস্ত্রশস্ত্র ও অবশ্যই একজন সেনাপতি। ৫৩ স্যাটেলাইট, স্পেস কন্ট্রোল অ্যান্ড লঞ্চিং কম্যান্ড সঙ্গে স্পেস রিজার্ভ ইউনিট এবং আরও হয়তো ইউনিক কিছু। দিন কয়েক আগেই এই প্রসঙ্গে আর্মি হেড-কোয়াটার্সে একটা তথ্যপূর্ণ প্রেজেন্টেশন দিয়েছে ডিপার্টমেন্ট অফ মিলিটারি অ্যাফেয়ার্স। কিন্তু কী ভাবেই বা তৈরি হবে মহাকাশে এই সেনাঘাঁটি? থাকবে কারা?

শুধু এই সেনাঘাঁটির কথা ভেবেই ৫২টি স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠাবে ভারত। এর অধিকাংশই নজরদার স্যাটেলাইট। নির্দিষ্ট দায়িত্ব দিয়ে কয়েকটি কমিউনিকেশন স্যাটেলাইটও পাঠানো হবে। এদেরকেই যদি সেনা ধরে নেওয়া যায়, তবে সেনাপতি হবে কে? জানা যায়, U-থ্রি-সি ক্যাটেগরির স্যাটেলাইট, যা মূলত প্রতিরক্ষার কাজেই মহাকাশে পাঠানো হয়ে থাকে। এখনও পর্যন্ত বিশ্বের বড় বড় একাধিক দেশ যেমন, আমেরিকা, চিন, রাশিয়া নিজেদের এই সেনাপতি স্যাটেলাইটকে মহাকাশে পাঠিয়ে দিয়েছে। এবার ভারতও খুব তাড়াতাড়ি সেই অসাধ্য সাধনের পথে নেমে পড়ল।

এই খবরটিও পড়ুন

তবে শুধু কি সেনাপতি আর গোটা পঞ্চাশেক সেনা দিয়ে যুদ্ধ করা সম্ভব? চাই অস্ত্রাগারও। আর তার জন্যই থাকছে ক্রিউ অ্যান্ড কন্ট্রোল কম্যান্ড। প্রয়োজনীয় অস্ত্রশস্ত্র এখানেই মজুত রাখা যাবে। এবং মহাকাশে ভারতের সমস্ত অ্যাসেটকে আগলে রাখার ভার এই কন্ট্রোল কম্যান্ডের উপরই থাকবে। শুনতে অবাস্তব লাগলেও, এটা সত্যি আর হাতে কলমে করে দেখানো আরও কঠিন। উল্লেখ্য, ইসরো, ডিফেন্স স্পেস এজেন্সি, ডিআরডিও, মিলিটারি ইনটেলিজেন্স সহ একাধিক সংস্থা ভারতের এই সামরিক স্বপ্ন পূরণে নেমে পড়েছে। হাতে হাত মিলিয়ে চলবে কাজ। সম্প্রতি আয়োজিত বৈঠকে তুলে ধরা হয়েছে, কাকে কোন কাজটা করতে হবে।

এগোচ্ছে সময় আর তার হাত ধরেই এগোচ্ছে প্রযুক্তি। কল্পবিজ্ঞানের সিনেমায় ঠিক যেমনটা দেখায়, ভারত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আজ ঠিক সেই পথেই। মহাকাশে যুদ্ধ হয়তো এখন হচ্ছে না, কিন্তু ভবিষ্যতে যে হবে না, এমনটাও বলা যাচ্ছে না। তাই আগে থাকতেই একটু সচেতন হওয়া। এত দেশ প্রতিদিন এত, এত স্যাটেলাইট পাঠাচ্ছে। সবটাই তো আর কমিউনিকেশন আর আবহাওয়ার পূর্বাভাস পাওয়ার জন্য নয়। আসলে বড় শক্তিগুলো মহাকাশ যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে। অস্ত্র মজুত করা, পরমাণু বোমার মতো অস্ত্রের পরীক্ষা -এসবের জন্য মহাকাশের থেকে ভাল জায়গা আর কীইবা আছে?

একইসঙ্গে মহাকাশ থেকে প্রযুক্তির জোরে শক্রর কোমর ভেঙে দেওয়াও সম্ভব। আমেরিকা, রাশিয়া স্পেস ফোর্স তৈরিতে অনেকটা এগিয়ে গিয়েছে। ভারত- চিন একে অন্যের দিকে তাকিয়ে দৌড় শুরু করেছে।