Indian Army’s Power: সমুদ্রের নীচে লুকিয়ে ভারতীয় সেনার ‘ব্রহ্মাস্ত্র’, বোঝার আগেই খেলা শেষ হবে শত্রুদের
Indian Navy: সূত্রের খবর, প্রজেক্ট-৭৫আই সাবমেরিনগুলি হবে ডিজেল-ইলেকট্রিক এবং এয়ার-ইনডিপেনডেন্ট প্রপালশন (AIP) প্রযুক্তি নির্ভর। এই প্রযুক্তির ফলে সাবমেরিনগুলি দীর্ঘ সময় জলের নীচে থেকে কাজ করতে পারবে। পাশাপাশি র্যাডারে ধরা পড়ার আশঙ্কাও অনেকাংশেই কমে যাবে।

ভারতের প্রতিরক্ষা ইতিহাসে কার্যত এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা। আরও শক্তি বাড়তে চলেছে ভারতীয় সেনার। ভারতীয় নৌবাহিনী ও ব্রহ্মোস অ্যারোস্পেস যৌথভাবে এমন এক মারণাস্ত্র তৈরিতে হাত দিয়েছে, যা জলের গভীর থেকেই নিখুঁতভাবে লক্ষ্যভেদ করতে সক্ষম হবে। অর্থাৎ জলে ডুবে ডুবেই হবে শত্রুর খেল খতম। এর ফলে ভারতীয় সাবমেরিনের আক্রমণ ক্ষমতা বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে। পাশাপাশি সমুদ্রপথে শত্রুপক্ষের উপর চাপ তৈরি করা আরও সহজ হবে। এই নতুন সাবমেরিন-লঞ্চড ব্রহ্মোস মিসাইল যুক্ত করা হবে বলেও জানা যাচ্ছে। এই নতুন সংস্করণটি আসলেই ভবিষ্যতের প্রজেক্ট-৭৫আই (P-75I)
সমুদ্রের নীচে লুকিয়ে ‘ব্রহ্মাস্ত্র’
এখন পর্যন্ত ব্রহ্মোস মিসাইল সফলভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে নৌবাহিনীর যুদ্ধ জাহাজ ও স্থলে থাকা লঞ্চারগুলিতে। কিন্তু এবার লক্ষ্য আরও বড়। সমুদ্রের তলায় লুকিয়ে থেকে শত্রুকে আঘাত হানার ক্ষমতা এসে যাবে ভারতীয় সেনার হাতে। জলের নিচ থেকে ব্রহ্মোস উৎক্ষেপণ সম্ভব হলে, ভারতের সাবমেরিন ইউনিট হয়ে উঠবে সত্যিকারের এক অদৃশ্য ঘাতক বাহিনী। যার জেরে শত্রু জানতেও পারবে না ঠিক কোথা তাদের উপর নেমে আসছে আঘাত।
সূত্রের খবর, প্রজেক্ট-৭৫আই সাবমেরিনগুলি হবে ডিজেল-ইলেকট্রিক এবং এয়ার-ইনডিপেনডেন্ট প্রপালশন (AIP) প্রযুক্তি নির্ভর। এই প্রযুক্তির ফলে সাবমেরিনগুলি দীর্ঘ সময় জলের নীচে থেকে কাজ করতে পারবে। পাশাপাশি র্যাডারে ধরা পড়ার আশঙ্কাও অনেকাংশেই কমে যাবে। নতুন ব্রহ্মোস মিসাইল ছোঁড়া হবে ভার্টিক্যাল লঞ্চ সিস্টেম (VLS) থেকে। অর্থাৎ সাবমেরিনকে আর জলের উপরে উঠতে হবে না। পুরোপুরি গোপনে থেকেই মিসাইল উৎক্ষেপণ করা যাবে।
চাপ বাড়ছে চিন-পাকিস্তানের
এই সাবমেরিন-লঞ্চড ব্রহ্মোসের পরিসর প্রায় ৫০০ কিলোমিটার, যা সমুদ্রপথে শত্রুর যুদ্ধজাহাজ, বন্দর বা উপকূলীয় ঘাঁটিতে নির্ভুল আঘাত হানতে পারবে। যদিও ব্রহ্মোসের মূল নকশা তৈরি হয়েছিল রাশিয়ার সহযোগিতায়, নতুন সংস্করণটি হবে সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিভিত্তিক। মানে ফের একবার স্বপ্নপূরণ হবে মেক ইন ইন্ডিয়ার। নকশা থেকে উৎপাদন, সবই ভারতের মাটিতে।
নৌবাহিনী সূত্রে খবর, ডিআরডিও ও ব্রহ্মোস অ্যারোস্পেস-এর ইঞ্জিনয়ররা ইতিমধ্যেই সাবমেরিনের কাঠামো অনুযায়ী লঞ্চ টিউব ও ইজেকশন সিস্টেম ডিজাইনে কাজ শুরু করেছেন। প্রথম প্রোটোটাইপ পরীক্ষাটি আগামী দুই বছরের মধ্যে সম্পন্ন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে। সফল হলে এটি হবে ভারতের প্রথম সাবমেরিন-লঞ্চড সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইল। আরও চাপ বেড়ে যাবে চিন থেকে পাকিস্তানের।
