Poverty Rate : ঘুরে দাঁড়াচ্ছে দেশের অর্থনীতি, গত এক দশকে একধাক্কায় অনেকটাই কমল দারিদ্রতার হার
স্বস্তিতে মোদী সরকার। বিশ্ব ব্যাঙ্কের রিপোর্ট বলছে ২০১১ সালে যেথানে দেশে চরম দারিদ্রতার পরিমাণ ছিল ২২.৫ শতাংশ। ২০১৯ সালে তা এসে দাঁড়িয়েছে ১০.২ শতাংশে।
দিল্লি : গত দু’বছরের বেশি সময় ধরে গোটা বিশ্বের পাশাপাশি করোনা (Coronavirus in India) মন্দায় ডুবে ছিল ভারত। জোরদার ধাক্কা লাগে জিডিপি বৃদ্ধির হারে। হু হু করে বাড়তে থাকে বেকারত্বের হার (Unemployment rate)। উদ্বেগ বাড়তে থাকে দারিদ্রতার হার নিয়েও। যদিও তৃতীয় ঢেউয়ের (Third Wave of Coronavirus) পর থেকেই গোটা দেশে ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে করোনা উদ্বেগ। সম্প্রতি দেশের দারিদ্রতার হার নিয়ে বিশ্ব ব্যাঙ্কের তরফ থেকে একটি রিপোর্ট (World Bank Report) সামনে এসেছে। তাতেই দেখা যাচ্ছে গত প্রায় এক দশকে ভারতে দারিদ্রতার হার (Poverty Rate in India) অনেকটাই কমেছে। আর তাতেই স্বস্তিতে মোদী সরকার। বিশ্ব ব্যাঙ্কের রিপোর্ট বলছে ২০১১ সালে যেখানে দেশে চরম দারিদ্রতার পরিমাণ ছিল ২২.৫ শতাংশ। ২০১৯ সালে তা এসে দাঁড়িয়েছে ১০.২ শতাংশে। অর্থাৎ ‘নিদারুণ’ দারিদ্রতার হার প্রায় ১২.৩ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
‘ভারতে দরিদ্রের সংখ্যা কমেছে। কিন্তু যতটা ভাবা হয়েছিল ততটা নয়’, এই শিরোনামেই সুতীর্থ সিনহা রায় এবং রয়ভ্যান ডের উইডের করা এই সমীক্ষাটি সামনে আনে বিশ্বব্যাঙ্ক। সহজ কথায় সমীক্ষকদের দাবি, ২০১১ সালে যে পরিসংখ্যান সামনে এসেছিল সেই অনুপাতের হিসাবে আরও অনেকটাই দারিদ্রতার পরিমাণ কমার কথা ছিল। কিন্তু বাস্তবিক ক্ষেত্রে তা হয়নি। আর সেই কারণে খুশির মাঝেও খানিক হতাশার ছোঁয়া রয়ে যাচ্ছে। তবে দারিদ্রতা কমার ক্ষেত্রে শহরের তুলনায় গ্রামের সাফল্য অনেক বেশি বলে দেখা যাচ্ছে। রিপোর্ট বলছে, গ্রামীণ এলাকাতে ২০১১ সালে দারিদ্রতার পরিমাণ ছিল ২৬.৩ শতাংশ, যা ২০১৯ সালে একলাফে অর্ধেকেরও বেশি কমে দাঁড়িয়েছে ১১.৬ শতাংশ। অন্যদিকে ২০১১ সালে শহরাঞ্চলে দারিদ্রতার পরিমাণ ছিল ১৪.২ শতাংশ যা কমে দাঁড়িয়েছে ৬.৩ শতাংশে। সেখানে ২০০৪ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর ভারতে দারিদ্রতার পরিমাণ ২.৫ শতাংশ হারে কমেছিল। সেই তুলনায় ২০১১-২০১৮ সালে প্রতি বছর ১.৩ শতাংশ হারে দারিদ্রতার হার কমেছে গোটা দেশে। আর সেই কারণেই রিপোর্টটি পড়ে আপাত ভাবে আশার কথা থাকলেও আগের তুলনায় হতাশাজনক বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
সতীর্থ সিনহা রায় ও অর্থনীতিবীদ রয়ভ্যান ডের উইডের গবেষণায় স্পষ্ট বলা হয়েছে এই সময়ে ক্ষুদ্র কৃষকেরা যথেষ্ট লাভবান হয়েছেন। তাদের বার্ষিক আয়ের পরিমাণ ১০ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে ২০১৬ সালে বিমুদ্রাকরমের জন্য দেশের দারিদ্রতার পরিমাণ এক ধাক্কায় অনেকটাই বেড়ে যায়। শুধুমাত্র শহরাঞ্চলের দারিদ্রতার পরিমাণ প্রায় ২ শতাংশ বেড়ে যায়। যদিও এই রিপোর্টে করোনাকালীন মন্দার জেরে দেশের অর্থনীতিকে কী প্রভাব পড়েছে সেই বিষয়ে বিশদে উল্লেখ করা নেই।
আরও পড়ুন- ‘২৫ বছরেই ঘুচবে বেকারত্বের জ্বালা,’ হনুমান জয়ন্তীতে নতুন দিশা মোদীর