তরুণীর পছন্দের ধারাবাহিক ‘ক্রাইম পেট্রল’, পর্দার ঘটনাই বাস্তবে ঘটালেন স্বামীর সঙ্গে
Crime Patrol: গ্বালিয়র শহরের বহরাপুরের রামজী কা পুরা। গত ২ জুন সেখানকার বাসিন্দা পরশুরামের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। অভিযোগ ওঠে মমতা তাঁর স্বামী পরশুরামকে খুন করেছেন।
গ্বালিয়র: টেলিভিশনে সবথেকে পছন্দের অনুষ্ঠান ‘ক্রাইম পেট্রল’। অবসর পেলেই চোখ গোল গোল করে গিলতেন এপিসোডগুলি। কী ভাবে অনায়াসে অপরাধ জগতে ঢুকে পড়ে অতি সাদামাটা মুখ গুলো, টিভিতে দেখতেন গ্বালিয়রের মমতা। কিন্তু কে জানত সেখান থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে নিজের স্বামীকেই খুনের পরিকল্পনা করবেন এই গৃহবধূ। মমতার স্বামী পরশুরামের রহস্যমৃত্যুর কিনারা খুঁজতে নেমে চোখ কপালে উঠল মধ্য প্রদেশ পুলিশের। টানা ২৮ দিন ধরে পুলিশকে ঘোল খাইয়ে ছেড়ে অবশেষে জেরার মুখে মমতা জানালেন কৃতকর্মের কথা।
গ্বালিয়র শহরের বহরাপুরের রামজী কা পুরা। গত ২ জুন সেখানকার বাসিন্দা পরশুরামের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। অভিযোগ ওঠে মমতা তাঁর স্বামী পরশুরামকে খুন করেছেন। যদিও প্রথম থেকেই জেরার মুখে তিনি বলে এসেছেন, খুন নয়, স্বামী আত্মঘাতী হয়েছেন। পুলিশ প্রাথমিক ভাবে তা বিশ্বাসও করেছিল। কিন্তু ময়না তদন্ত রিপোর্ট হাতে আসার পর সন্দেহ হয় তদন্তকারীদের।
প্রায় ২৮ দিন ধরে মমতা শোকে মূহ্যমান হয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা বলেন। ভাবখানা এমন করেছিলেন, স্বামীকে হারিয়ে পাথর হয়ে গিয়েছেন তিনি। এমনকী তিনি পুলিশকে জানিয়েছিলেন, স্বামীর আত্মহত্যার কারণও তাঁর কাছে স্পষ্ট নয়। যদিও ময়না তদন্তের রিপোর্টে দেখা যায়, পরশুরামের মাথায় আঘাতের চিহ্ন।
২ জুন পরশুরামের মৃত্যু পর তাঁর বাড়িতে গিয়ে পুলিশ দেখেছিল, দেহটি বিছানায় শোওয়ানো। শরীরে ক্ষতচিহ্নও রয়েছে। গলার কাছেও ফাঁসের দাগ। মমতা বলেছিলেন, স্বামী গলায় দড়ি দেন। তিনিই নামিয়ে বিছানায় শুইয়েছেন।
আরও পড়ুন: ফের ভুয়ো সরকারি গাড়ি! নিমন্ত্রণ খেতে গিয়ে পুলিশের হাতে সপরিবারে পড়ল ধরা
ঘটনার প্রায় এক মাসের মাথায় টানা জেরার মুখে আসল ঘটনা পুলিশকে জানান মমতা। বলেন, তাঁর স্বামী মদ খেয়ে এসে তাঁকে মারধর করতেন। তাঁদের ছেলের উপর অত্যাচার করতেন। ২ জুনও একই ঘটনা ঘটে। এরপরই স্বামীকে মারার ছক কষেন তিনি। ছেলেকে বাজারে পাঠিয়ে লাঠি দিয়ে মারেন পরশুরামকে। পুলিশকে মমতা জানান, ‘ক্রাইম পেট্রল’-এ তিনি দেখেছিলেন কী ভাবে খুনকে আত্মহত্যা বলে চালানো যায়। সেখান থেকেই প্লট তৈরি করেন। দড়ি এনে পরশুরামের গলায় পরিয়ে বিছানায় শুইয়ে দেন।