AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Masood Azhar: সুড়ঙ্গ খুঁড়ে জম্মুর জেল পালানোর চেষ্টা মাসুদ আজহারের, তারপরই ঘটে…

Jaish-e-Mohammed: ১৯৯৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মাসুদ আজহার ভারতে এসেছিল। ভুয়ো পরিচয়পত্র ও পর্তুগিজ পাসপোর্ট নিয়ে ভারতে ঢুকেছিল। তাঁর লক্ষ্য ছিল যে জম্মু-কাশ্মীরে জিহাদের বীজ ছড়িয়ে দেওয়া এবং জঙ্গি নিয়োগ করা। ওই বছরই অনন্তনাগ থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

Masood Azhar: সুড়ঙ্গ খুঁড়ে জম্মুর জেল পালানোর চেষ্টা মাসুদ আজহারের, তারপরই ঘটে...
মাসুদ আজহার।Image Credit: X
| Updated on: Dec 14, 2025 | 12:58 PM
Share

ইসলামাবাদ: ভারতে মাসুদ আজহারকে চোকাতে হয়েছিল চরম মূল্য়। পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের প্রধান মাসুদ আজহার নিজেই স্বীকার করলেন যে তিনি জম্মু-কাশ্মীরের জেল থেকে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন এবং তারপরে চরম মূল্য চোকাতে হয়েছিল।

পাকিস্তানের একটি সভায় ভাষণ দেন মাসুদ আজহার। সেই ভাইরাল অডিয়োতেই শোনা যাচ্ছে যে ১৯৯০-র দশকে জম্মু-কাশ্মীরের জেল থেকে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন তিনি। গোয়েন্দারাও নিশ্চিত করেছেন যে এই কণ্ঠ মাসুদ আজহারেরই।

অডিয়ো ক্লিপে শোনা যাচ্ছে যে মাসুদ আজহার স্বীকার করে নিয়েছেন যে তিনি জম্মু-কাশ্মীরের কোট ভালওয়াল জেল থেকে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু যে দিন পালানোর কথা ছিল, সেই দিনই ব্যর্থ হন। জেল কর্তৃপক্ষ জেনে যায়, হাতেনাতে ধরা পড়ে যান মাসুদ আজহার।

অডিয়ো ক্লিপে আরও বলতে শোনা গিয়েছে যে এই পালানোর চেষ্টার চরম মূল্য চোকাতে হয়েছিল। মাসুদ বলেন, “পালানোর প্ল্যানের শেষ দিনে ধরা পড়ে যাই”। মাসুদ বলেন যে তিনি এখনও ওই জেল কর্তৃপক্ষকে ভয় পান, যারা তাঁকে ধরা পড়ার পর ব্যাপক মারধর করেছিলেন। জেল পালানোর পর মাসুদ ও তাঁর সঙ্গী যারা পালানোর চেষ্টা করেছিলেন, তাদের জন্য আরও কঠোর নিয়ম চালু করা হয়। কোনও নিয়ম ভাঙলেই তাদের উপরে অত্যাচার করা হত। মাসুদ বলেন যে তাঁকে ওই জেলে চেইন দিয়ে বেঁধে রাখা হত।

প্রসঙ্গত, জম্মুর এই জেল হাই সিকিউরিটি জেল। দেশের কুখ্যাত জঙ্গিদের মধ্যে অনেকে এই জেলে বন্দি।

মাসুদ আজহারের এই স্বীকারোক্তি আরও একবার প্রমাণ করে দিল ভারত যে দাবি করেছে যে পাকিস্তান জঙ্গিদের আশ্রয় দিয়ে আসছে।

১৯৯৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মাসুদ আজহার ভারতে এসেছিল। ভুয়ো পরিচয়পত্র ও পর্তুগিজ পাসপোর্ট নিয়ে ভারতে ঢুকেছিল। তাঁর লক্ষ্য ছিল যে জম্মু-কাশ্মীরে জিহাদের বীজ ছড়িয়ে দেওয়া এবং জঙ্গি নিয়োগ করা। ওই বছরই অনন্তনাগ থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ১৯৯৪ সাল থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত কোট ভালওয়াল জেলে বন্দি ছিলেন। এই সময়েই মাসুদ আজহার একাধিকবার জেল থেকে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন।

১৯৯৯ সালে যখন ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের আইসি-৮১৪ ফ্লাইট হাইজ্যাক করা হয়েছিল, সেই সময় বন্দিদের মুক্তির বিনিময়ে মাসুদ আজহারকে মুক্তি দিতে হয়েছিল। এরপরে পাকিস্তানে পালিয়ে গিয়ে জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি সংগঠন তৈরি করেন। ভারতে একাধিক জঙ্গি হামলায় যুক্ত জইশ-ই-মহম্মদ।

সম্প্রতি পহেলগাঁও হামলার পর পাকিস্তানে অপারেশন সিঁদুর চালিয়েছিল ভারত। পাকিস্তানে মিসাইল স্ট্রাইকে মাসুদ আজহারের পরিবারের ১০ সদস্যকে নিকেশ করা হয়। মৃত্যু হয় চার জঙ্গিরও।