Supreme Court: ‘৫০ বছরের রেপুটেশন প্রশ্নের মুখে পড়ছে’, শুনানির লাইভ স্ট্রিমিং-এ আপত্তি কপিল সিব্বলের
Supreme Court: শুনানি শুরু হওয়ার পর প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, কেউ শুনানির মাঝে চিৎকার করবেন না। এটা লাইভ স্ট্রিমিং হচ্ছে। এ কথা শোনার পরই আপত্তি জানান কপিল সিব্বল।
নয়া দিল্লি: আরজি কর মামলার শুনানির শুরুতেই লাইভ স্ট্রিমিং নিয়ে সওয়াল করলেন রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল। সাধারণত সুপ্রিম কোর্টের মামলাগুলি শীর্ষ আদালতের নিজস্ব চ্যানেলে লাইভ স্ট্রিমিং করা হয়। তবে সেই লাইভ স্ট্রিমিং-এর ক্ষেত্রে এবার আপত্তি জানালেন সিব্বল। তাঁর দাবি, লাইভ স্ট্রিমিং করা হলে আইনজীবীদের নানাভাবে হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে। ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এদিন শুনানি শুরু হওয়ার পর প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, কেউ শুনানির মাঝে চিৎকার করবেন না। এটা লাইভ স্ট্রিমিং হচ্ছে।
এ কথা শোনার পরই কপিল সিব্বল বলেন, “এই শুনানি লাইভ স্ট্রিমিং হলে আইজীবীদের ওপর ব্যাপর প্রভাব পড়ছে। আমাদের ৫০ বছরের রেপুটেশন প্রশ্নের মুখে পড়ছে। আমরা তো অভিযুক্তের হয়ে লড়ছি না।” এ কথা শোনার পর প্রধান বিচারপতি বলেন, “এটি একটি জনস্বার্থ মামলা, আর এটা ওপেন কোর্ট। অর্থাৎ লাইভ স্ট্রিমিং-এর গুরুত্ব বোঝানোর চেষ্টা করেন তিনি।”
এরপরও কপিল সিব্বল জানান, রাজ্যের আইনজীবীদের নানাভাবে হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে। তাঁর অভিযোগ, ধর্ষণ বা অ্যাসিড ছোড়ার মতো হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এ কথা শুনে প্রধান বিচারপতি জানতে চান, কোনও মহিলার আইনজীবীকে এভাবে হুমকি দেওয়া হয়েছে কি না। পরে তিনি জানান, আইনজীবী যে পক্ষেরই হন না কেন, সুপ্রিম কোর্ট প্রত্যেকের নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রাখবে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের সঙ্গে চিকিৎসকদের বৈঠকে লাইভ স্ট্রিমিং-এর দাবি ওঠে। প্রশ্ন ওঠে, সুপ্রিম কোর্ট স্ট্রিমিং করলে, মুখ্যমন্ত্রী কেন পারবেন না। পরপর দুদিন এই দাবিতে বৈঠক বাতিলও হয়ে যায়। বিচারাধীন ইস্যু বলেই লাইভ স্ট্রিমিং-এ আপত্তি জানান মুখ্যমন্ত্রী।