Kerala: নানা বাহানায় টাকার আবদার, NRI শ্বশুরের ১০০ কোটি হাতিয়ে পগারপার ভারতীয় জামাই
Kerala: কেরলের কাসারগড়ের বাসিন্দা তাঁর জামাই। সেই তাঁর ১০৭ কোটি টাকা নিয়ে পালিয়েছেন বলে দাবি করেছেন দুবাইয়ের এক অনাবাসী ভারতীয় ব্যবসায়ী।
কোচি: ২০১৭ সালে কেরলের কাসারগড়ের মহম্মদ হাফিজের সঙ্গে মেয়েকর বিয়ে দিয়েছিলেন দুবাইয়ের অনাবাসী ভারতীয় ব্যবসায়ী আবদুল লাহির হাসান। তখন জামাইয়ের আসল রূপ চিনতে পারেননি হাসান। সেই সময় তিনি কল্পনাও করতে পারেননি, হাফিজই তাঁকে পথে বসাতে চলেছে। কিন্তু, মেয়ের বিয়ে দেওয়ার পাঁচ বছর পর, এখন তিনি অভিযোগ করছেন, জামাই হাফিজ তাঁর সঙ্গে ১০৭ কোটি টাকার প্রতারণা করেছে। পাশাপাশি মেয়েকে উপহার দেওয়া প্রায় সোনার গয়নাগুলিও নিয়ে সে গা ঢাকা দিয়েছে বলে অভিযোগ।
হাসানের অভিযোগ, বিয়ের পরপরই হাফিজের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। কেন্দ্রীয় সংস্থাটি হাফিজকে বিপুল পরিমাণে জরিমানা করেছিল। সেই জরিমানার টাকা শোধ করার জন্য হাসানের কাছে প্রায় ৪ কোটি টাকা চেয়েছিল হাফিজ। হাসানের দাবি, সেটাই ছিল হাফিজের প্রতারণার শুরু। এরপরে, জমি কেনা, জুতোর শোরুম খোলার মতো বিভিন্ন অজুহাতে তাঁর জামাই তাঁর কাছ থেকে ৯২ কোটি টাকারও বেশি হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ হাসানের।
জামাই যে তার একের পর এক সম্পত্তি হাত করছে, তা হাসান এতদিন টেরও পাননি। মাত্র মাস তিনেক আগে জামাইয়ের কীর্তির কথা উপলব্ধি করতে পারেন তিনি। এরপর কেরলের আলুভা থানায় হাফিজের নামে অভিযোগ জানান। কিন্তু, এখনও হাফিজের সন্ধান পায়নি কেরল পুলিশ। বৃহস্পতিবার, এই ১০০ কোটি টাকারও বেশি পরিমাণের প্রতারণা মামলার তদন্তের ভার কেরল পুলিশের অপরাধ দমন শাখাকে হস্তান্তর করা হয়েছে।
পুলিশের দাবি, এই কাজে হাফিজ একা ছিল না। অক্ষয় টমাস বৈদ্য নামে তার এক সহযোগী ছিল। পুলিশ দুজনকেই খুঁজছে। অভিযুক্তরা এখন গোয়ায় গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে বলে পুলিশের দাবি। তবে, পুলিশের কাজে একেবারেই খুশি নন হাসান। কেরলের এক টিভি চ্যানেলকে তিনি বলেছেন, আলুভা পুলিশ তাঁর জামাইকে গ্রেফতার করতে তো পারেইনি, এমনকি জিজ্ঞাসাবাদের জন্যও তাঁকে ডেকে পাঠাতে ব্যর্থ হয়েছে। জামাইকে ব্যবহারের জন্য যে ১.৫ কোটি টাকার গাড়িটি দিয়েছিলেন তিনি, সেটিও উদ্ধার করতে পারেনি কেরল পুলিশ।