Morbi Bridge Collapse : মোরবিতে ভয়াবহ সেতু দুর্ঘটনার সাক্ষী থাকল গোটা দেশ। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট ১৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
হাসপাতালে আহতদের সঙ্গে সাক্ষাত করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী
Follow Us
গান্ধীনগর: ব্রিটিশ জমানার ঝুলন্ত সেতু ভেঙে গুজরাতের মোরবিতে (Morbi) এখনও পর্যন্ত ১৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ১৭৭ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এসডিআরএফ, এনডিআরএফ, সামরিক বাহিনী, নৌসেনা, বায়ুসেনা এখনও নিখোঁজদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান ও উদ্ধার অভিযান জারি রেখেছে। বিভিন্ন রিপোর্ট অনুযায়ী, দুর্ঘটনার মুহূর্তে প্রায় ৪০০ জনের বেশি সেতুতে উপস্থিত ছিলেন। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন শতাধিক। এই ঘটনার বিভিন্ন আপডেট এক নজরে দেখে নিন সমস্ত আপডেট।
মোরবিতে উদ্ধারকারীদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী, খোঁজ নেন উদ্ধারকাজের
প্রধানমন্ত্রী মোদী স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে এবং এই সময়ে তারা যাতে সম্ভাব্য সব ধরনের সাহায্য পায় তা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
কর্মকর্তাদের কাছ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধারকাজ, এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার বিষয়ে খোঁজ খবর নেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এই দুর্ঘটনার বিস্তারিত ও ব্যাপক তদন্তের প্রয়োজন। তার জন্য সময়ের প্রয়োজন।
সোমবার রাতে উদ্ধারকাজ বন্ধ রাখা হয়েছিল। এদিন সকাল থেকে ফের শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ। তবে, সরকারিভাবে মৃতের সংখ্যা এখনও ১৩৫-ই জানানো হচ্ছে।
মঙ্গলবার দুপুরে মোরবির দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। উদ্ধার কাজ খতিয়ে দেখার পাশাপাশি হাসাতালে গিয়ে আহতদের সঙ্গেও দেখা করেন তিনি।
শোক প্রকাশ করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এই “কঠিন সময়ে” ভারতবাসীর পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন তিনি।
২ নভেম্বর রাজ্যব্যাপী শোক পালনের সিদ্বান্ত নিল গুজরাট সরকার। রাজ্যের সরকারি ভবনগুলিতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে। হবে না কোনও সরকারি অনুষ্ঠান, সংবর্ধনা বা বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান।
মোরবির সেতু বিপর্যয়ের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে গান্ধীনগরে রাজভবনে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম কীভাবে চলছে, সেই সম্পর্কে খবরাখবর নেন প্রধানমন্ত্রী। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র ভাই প্যাটেল, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্ষ সাঙ্ঘভি, গুজরাটের মুখ্য সচিব এবং ডিজিপি।
সব মিলিয়ে এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এদিনের মতো স্থগিত রাখা হল উদ্ধারের কাজ। এখনও কাদায় অন্তত ১০০ জনের দেহ আটকে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
মোরবির সেতু দুর্ঘটনার কথা বলতে গিয়ে আবেগে গলা ধরে এল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। বাঁশকাঠা জেলায় বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন করতে এসে তিনি জানান, মোরবির ঘটনায় তিনি ব্যথিত। যে কারণে ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসবেন কি না তাই নিয়েও অনিশ্চিত ছিলেন।
সূত্রের খবর, গুজরাটের যে ওরেভা গোষ্ঠীতকে সেতু মেরামতের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, সেই গোষ্ঠীর ২ আধিকারিককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সোমবার একজন ইঞ্জিনিয়ার, একজন ম্যানেজার, একজন বুকিং ক্লার্ক এবং নিরাপত্তাকর্মী-সহ নয়জনকে আটক করল পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সংবাদ সংস্থা আইএএনএস জানিয়েছে, তাদের কোভিড পরীক্ষার রিপোর্ট আসার পরই তাদেরকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেফতার করা হবে।
আগামীকাল মোরবিতে দুর্ঘটনাস্থলে যাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
প্রায় ৫০০ জন দুর্ঘটনার সময় সেই ঝুলন্ত সেতুতে উপস্থিত ছিল বলে দাবি করা হয়েছে একাধিক রিপোর্টে। দুলতে দুলতে সেতুর ছিঁড়ে মাচ্ছু নদীতে ছিঁড়ে পড়ে সেতুটি। আধিকারিকদের মতে, প্রায় ১২৫ জন মানুষকে ধরে রাখার ক্ষমতা ছিল ওই সেতুটির।
অনেকে দুর্ঘটনার মুহুর্তে ১৫০ বছরের পুরনো এই সেতুটিতে ছট পুজোর বিভিন্ন নিয়মকানুন পালন করছিলেন।
সেতুটি ছিঁড়ে পড়ার পরই একে অপরের উপর হুড়মুড়িয়ে পড়ে যান। ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, বেশ কয়েকজন সেতুর বিভিন্ন অংশ ধরে প্রাণ বাঁচার চেষ্টা করছেন।
মাচ্ছু নদীর উপরে এই কেবলের সেতুটি গত সাত মাস মেরামতির জন্য বন্ধ ছিল। গুজরাটি নববর্ষের দিন ২৬ অক্টোবর জনসাধারণের জন্য এই সেতুটি খুলে দেওয়া হয়। মোরবি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের প্রধান সন্দীপসিন জ়ালা জানিয়েছিলেন, কোনও ‘ফিটনেস সার্টিফিকেট’ ছাড়াই এই সেতু খুলে দেওয়া হয়।
এই দুর্ঘটনার সময় গুজরাটেই ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি এই ঘটনায় সমবেদনা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, উদ্ধারকাজে রাজ্য সরকারকে সবরকম সাহায্য করছে কেন্দ্র।
গতকালই ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্য়াটেল ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্ষ সাংঘাভি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, একটি অপরাধমূলক মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং ৫ সদস্য়ের একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই সেতু বিপর্যয়ের ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে এই কমিটি।
এই দুর্ঘটনার পরই রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে নিহতদের পরিবার ও আহতদের জন্য ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করা হয়েছে। রাজ্যসরকার মৃতদের পরিবার পিছু ৪ লক্ষ টাকা এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা হয়েছে। এদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মৃতদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা করে আর্থি