Meteor Shower: অন্ধকার আকাশের বুক চিড়ে ধেয়ে আসছে উজ্বল আলো! তবে কী ভিনগ্রহের প্রাণীরাই হানা দিল পৃথিবীতে?

Meteor Shower: মূলত সূর্যের চারপাশে প্রদক্ষিণ করার সময় পৃথিবীতে ছোট ছোট পাথরের মতো মহাজাগতিক বস্তু প্রবেশ করে, প্রতি সেকেন্ডে ৩০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে প্রবেশ করে এই বস্তুগুলি। এটিকেই সহজ ভাষায় উল্কাপাত বলা হয়। 

Meteor Shower: অন্ধকার আকাশের বুক চিড়ে ধেয়ে আসছে উজ্বল আলো! তবে কী ভিনগ্রহের প্রাণীরাই হানা দিল পৃথিবীতে?
ছবি:ANI

| Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Apr 03, 2022 | 10:18 AM

নয়া দিল্লি: রাতের অন্ধকার আকাশে হঠাৎ আলোর ঝলকানি। কী একটা যেন নীচের দিকে ধেয়ে আসছে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই রাতের অন্ধকারেই মিলিয়ে গেল সেই আলো। মহারাষ্ট্র (Maharashtra) ও মধ্য প্রদেশের (Madhya Pradesh) আকাশে এই রহস্যজনক আলো ঘিরেই তৈরি হয়েছিল ভিন গ্রহের প্রাণীর আনাগোনার জল্পনা। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই জানা গেল, স্পেসশিপ (Spaceship) বা মহাকাশযান নয়, উল্কাপাতের (Meteor Shower) কারণেই রাতের আকাশে ওই আলো দেখা গিয়েছে। বিরল এই দৃশ্যের সাক্ষী থাকল নাগপুর, বারওয়ানির মতো জেলার বাসিন্দারা।

জানা গিয়েছে, শনিবার রাত ৮টা-৯টা থেকেই দেশের একাধিক প্রান্ত থেকে ওই অদ্ভুত আলো দেখা যায়। অনেকেই দাবি করেন যে, পৃথিবীর বুকে হয়তো হানা দিয়েছে ভিনগ্রহের কোনও প্রাণী। কেউ কেউ আবার আতসবাজি ভেবেই হালকা চালে উড়িয়ে দেন।

জানা গিয়েছে, মূলত মহারাষ্ট্রের নাগপুর ও মধ্য প্রদেশের ঝাবুয়া, বারওয়ানি জেলাতেই উল্কাপাত দেখা গিয়েছে। ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, রাতের অন্ধকার আকাশ চিরে আলোর ঝলকানি দেখা যাচ্ছে। পৃথিবী বায়ুমণ্ডলে যখন কোনও বস্তু দ্রুতগতিতে প্রবেশ করে, তখন ঘর্ষণের কারণে সেই বস্তুতে যে আগুন ধরে যায়, তার ফলেই উল্কাবর্ষণ দেখা যায়।

মূলত সূর্যের চারপাশে প্রদক্ষিণ করার সময় পৃথিবীতে ছোট ছোট পাথরের মতো মহাজাগতিক বস্তু প্রবেশ করে, প্রতি সেকেন্ডে ৩০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে প্রবেশ করে এই বস্তুগুলি। এটিকেই সহজ ভাষায় উল্কাপাত বলা হয়।

উজ্জয়নের জিওয়াজি অবসারভেটরির সুপারিন্ডেন্ট রাজেন্দ্র গুপ্ত জানান, ভিডিয়ো দেখে মনে হচ্ছে এটি উল্কাবর্ষণ। এটি অতি সাধারণ বিষয়। কয়েক বছর অন্তরই এই ধরনের উল্কা বর্ষণ দেখা যায়।

উল্লেখ্য, শুক্রবারই কলকাতার হাজরার এক তরুণীও আকাশে আলোর ঝলকানি দেখতে পান। তিনিও ভিন গ্রহের প্রাণী বা এলিয়ানই দেখেছেন বলে দাবি করেন। যদি বিজ্ঞানীদের কথায় যাবতীয় সংশয় দূর হয়ে গিয়েছে।