Congress President: নয়া কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে, ১০ শতাংশের বেশি ভোট পেলেন থারুর

Congress President Election Results: প্রত্যাশা মতোই কংগ্রেসের নতুন সভাপতি নির্বাচিত হলেন মল্লিকার্জুন খাড়্গে। তবে ১০ শতাংশের বেশি ভোট পেলেন শশী থারুরও।

Congress President: নয়া কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে, ১০ শতাংশের বেশি ভোট পেলেন থারুর
নয়া প্রেসিডেন্ট মল্লিকার্জুন খাড়্গে
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 19, 2022 | 2:35 PM

নয়া দিল্লি: প্রত্যাশা মতোই কংগ্রেসের নতুন সভাপতি নির্বাচিত হলেন মল্লিকার্জুন খাড়্গে। খাড়্গে পেয়েছেন ৭,৮৯৭ টি ভোট। অন্যদিকে, ‘পরিবর্তনের প্রার্থী’ হিসেবে নিজেকে জাহির করা শশী থারুর পেলেন মাত্র ১,০৭২টি ভোট। মোট ভোট পড়েছিল ৯৩৮৫। অর্থাৎ, থারুর ১০ শতাংশের সামান্য বেশি ভোট পেয়েছেন। সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, গণনার সময় টেকনিক্যাল কারণে ৪১৬টি ভোট বাতিল হয়েছে। ফলে দুই দশক পর অগান্ধী সভাপতি হলেও, শেষ পর্যন্ত ‘গান্ধীদের মনোনীত প্রার্থী’ হিসেবে পরিচিত মল্লিকার্জুন খাড়্গেই দলের দায়িত্ব পেলেন।

এর আগে ২০০০ সালে শেষ বার কংগ্রেসে গান্ধীদের কর্তৃত্বকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন জীতেন্দ্র প্রসাদ এবং রাজেশ পাইলট। তবে প্রচার পর্বেই পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল রাজেশ পাইলটের। সনিয়ার বিরুদ্ধে প্রার্থী হওয়ার কারণে, শুরু থেকেই সনিয়া সমর্থকদের বিরোধিতার মুখে পড়েছিলেন জীতেন্দ্র প্রসাদ। এমনকি, নয়া দিল্লিতে কংসদর দফতরের সামনে তাঁর কুশপুতুল পর্যন্ত দাহ করা হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে সনিয়া পেয়েছিলেন ৭,৪৪৮ ভোট। অন্যদিকে, জীতেন্দ্র প্রসাদের ঝুলিতে গিয়েছিল মাত্র ৯৪ ভোট।

তার আগে ১৯৯৭ সালে গান্ধীদের প্রার্থী সীতারাম কেশরীকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন শরদ পওয়ার এবং রাজেশ পাইলট। পওয়ার এবং পাইলটের মতো দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতারাও গান্ধীদের দুর্গে আঁচড় কাটতে পারেননি। ৬২২৪ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছিলেন কেশরী। উল্টোদিকে পওয়ার পেয়েছিলেন ৮৮২ এবং পাইলট ৩৫৪। সেই দিক থেকে, এবার পরাজিত হলেও, গান্ধীদের পছন্দের প্রার্থীর বিরুদ্ধে লড়াইটা নেহাত খারাপ দেননি শশী থারুর।

এদিন আনুষ্ঠানিক ফলাফল প্রকাশের আগেই হার স্বীকার করে নেন শশী থারুর। টুইট করে তিনি বলেন, “জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি হওয়া অত্যন্ত গর্বের এবং একই সঙ্গে এটা একটা গুরু দায়িত্ব। মল্লিকার্জুন খাড়্গেজিকে এই দায়িত্ব প্রাপ্তির জন্য শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। এক হাজারেরও বেশি সহকর্মীর সমর্থন পাওয়া এবং ভারত জুড়ে কংগ্রেসের এত শুভাকাঙ্ক্ষীদের আশা-আকাঙ্খা বহন করা, সৌভাগ্যের বিষয়।”