Lottery Winning: একেই বলে কপাল! বিক্রি করতে বসেছিলেন ভিটেমাটি, হঠাৎ জুটে গেল ১ কোটি

Lottery Winning: ব্যবসায় ব্যাপক ক্ষতির মুখ দেখেছিলেন তিনি। ঋণ মেটাতে পথে বসতে চলেছিলেন তিনি। তারপরই ঘটে গেল মিরাকল!

Lottery Winning: একেই বলে কপাল! বিক্রি করতে বসেছিলেন ভিটেমাটি, হঠাৎ জুটে গেল ১ কোটি
কেরলের বাসিন্দা বাভা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 31, 2022 | 7:25 AM

কেরল: ঋণের বোঝা এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে বাড়িটাই বেচতে বসেছিলেন এক ব্যক্তি। দেনার দায়ে নিজের শেষ সম্বলটুকুও বেচে দেওয়ার কথাই ভেবেছিলেন তিনি। কিন্তু কপাল বোধ হয় একেই বলে! ভিটেমাটি বিক্রি হওয়ার ঠিক আগেই জুটে গেল টাকা। টাকার অঙ্কটাও নেহাত কম নয়। ১ কোটি টাকা।

কেরলের বাসিন্দা মহম্মদ বাভা নামে ওই ব্যক্তির বয়স ৫০। সম্প্রতি তিনি এক কোটি টাকা লটারি জিতেছেন। জি নিউজে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ব্যবসায় ক্ষতি হওয়ায় কার্যত নিঃস্ব হয়ে পড়েছিলেন তিনি। এ ছাড়া দুই মেয়ের বিয়ে দিতে গিয়েও অনেক টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে তাঁর। ব্যাঙ্ক থেকে তিনি যে ঋণ নিয়েছিলেন, তা মেটাতে রীতিমতো বেগ পেতে হচ্ছিল তাঁকে। শুধু ব্যাঙ্ক নয়, অনেক আত্মীয়ের কাছ থেকেও টাকা ধার নিয়েছিলেন তিনি। তাই অনেক টাকা প্রয়োজন ছিল তাঁর। এরই মধ্যে লটারির একটি টিকিটও কেটেছিলেন তিনি। তবে ভাগ্য যে এ ভাবে সহায় হবে, তা তিনি ভাবেননি।

মহম্মদ বাভা নামে ওই ব্যক্তি কেরলের কাসারগোড় জেলার মঞ্জেশ্বরের বাসিন্দা। তিনি ঠিক করে ফেলেছিলেন তাঁর বাড়ি বিক্রি করে দেবেন। কিন্তু লটারি মেলার পর হাসি ফুটেছে ওই ব্যক্তির মুখে। সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, আর বাড়ি বিক্রি করার কোনও প্রয়োজন নেই। সবদিক সামলে নিতে পারবেন এবার। তিনি আরও উল্লেখ করেন, ব্যবসায় বিপুল ক্ষতির পর চিন্তিত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। কিন্তু ঈশ্বর তাঁকে পথ দেখিয়েছে। কেরল সরকারের ৫০-৫০ লটারি কিনেছিলেন বলে জানিয়েছেন ওই ব্যক্তি।

পাঁচ সদস্যের বাবা ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন তাঁর বাড়ি বিক্রির জন্য এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা হয়ে গিয়েছিল। গত রবিবার অগ্রিম টাকা দেওয়ার কথা ছিল ক্রেতার। তার ঠিক ঘণ্টা দুয়েক আগেই আসে সেই সুখবর। ওই দিনই দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ লটারির ফল প্রকাশ হয়। এরপরই তিনি জানতে পারেন ১ কোটি টাকার মালিক হয়ে গিয়েছেন তিনি।

ক্রেতারা যখন অগ্রিম টাকা দিতে ওই ব্যক্তির বাড়িতে যান, তাঁরা দেখেন বাড়ি ভর্তি লোক। প্রত্যেকেই অভিনন্দন জানাচ্ছেন। সবটা জেনে খুশি হন ওই তাঁরাও। তবে বাভা ১ কোটি টাকা পাবেন না। কর দেওয়ার পর তাঁর হাতে থাকবে ৬৩ লক্ষ টাকা। নিজের অভাব পূরণ করে কিছু টাকা দান করবেন বলেও জানিয়েছেন বাভা।