মোবাইলে গেম খেলতে চাইত ৪ বছরের মেয়ে, রাগে সৎ বাবা যা ঘৃণ্য কাজ করল, কল্পনাতেও আসবে না…
Child Death: মঙ্গলবার সকালে এক মৎসজীবী ওই শিশুর দেহ ভাসতে দেখেন। তিনিই দেহটি তুলে নিয়ে ডকে আসেন। পুলিশ হাসপাতালে নিয়ে গেলে শিশুকন্যাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। শিশুটির পরিচয় জানার জন্য সঙ্গে সঙ্গেই সমস্ত স্থানীয় থানায় খবর দেওয়া হয়।

মুম্বই: চার বছরের খুদেকে গলা টিপে খুন করল বাবা। দেহ ফেলে দিলেন সমুদ্রে। মঙ্গলবার সমুদ্রে ওই শিশুকন্যার দেহ ভেসে উঠতেই চাঞ্চল্য ছড়ায়। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারল, খুন করেছে তাঁর বাবাই। মঙ্গলবার রাতে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে।
মুম্বইয়ের সাসন ডকের কাছে ভেসে আছে ৪ বছরের শিশুকন্যার দেহ। পুলিশ তদন্তে নেমে দেখে, শিশুকন্যার সৎ বাবা ইমরান শেখের ফোন বন্ধ। এরপরই সন্দেহ তৈরি হয়। পরে মঙ্গলবার রাতে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। জেরা করে জানা গিয়েছে, আমাইয়া নামক ওই শিশুকন্যাটি বারবার ফোন দেখতে চাইত। বাবার ফোনে গেম খেলার জন্য বায়না করত মাঝরাত পর্যন্ত।
রোজ মেয়ের এই বায়নাতেই তিতিবিরক্ত হয়ে গিয়েছিলেন ইমরান। সোমবার রাতে তিনি মেয়েকে বাইকে নিয়ে বের হন। দক্ষিণ মুম্বইয়ের একটি ফাঁকা জায়গায় নিয়ে গিয়ে বাইক দাঁড় করান। এরপর মেয়েকে গলা টিপে হত্যা করেন। দেহ সমুদ্রে ফেলে দেন।
মঙ্গলবার সকালে এক মৎসজীবী ওই শিশুর দেহ ভাসতে দেখেন। তিনিই দেহটি তুলে নিয়ে ডকে আসেন। পুলিশ হাসপাতালে নিয়ে গেলে শিশুকন্যাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। শিশুটির পরিচয় জানার জন্য সঙ্গে সঙ্গেই সমস্ত স্থানীয় থানায় খবর দেওয়া হয়। তখনই জানা যায়, আন্তপ হিল পুলিশ স্টেশনে একটি অপহরণের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। শিশুকন্যার মা ও বাবাই নিখোঁজ ডায়েরি করেছিলেন। তাদের ওই শিশুকন্যার ছবি দেখাতেই চিনতে পারেন। এরপরই তদন্ত শুরু করে এবং গ্রেফতার করা হয় ইমরানকে।
জানা গিয়েছে, ওই মহিলার আগের পক্ষের থেকে ৪ সন্তান ছিল। ১৮ মাস আগে তাঁর বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। এরপর গত ২৫ মার্চ তিনি ইমরানকে বিয়ে করেন। সন্তানরা তাঁর সঙ্গেই থাকত। ইমরান কোনও কাজ করতেন না বলে বাড়িতে থাকতেন। ওই মহিলা সিকিউরিটি গার্ডের কাজ করতেন। সোমবার সৎ মেয়ের উপরে বিরক্ত হয়েই খুন করে দেহ সমুদ্রে ফেলে দেন ইমরান।

