‘২৬/১১-র ক্ষত ভোলা সম্ভব নয়’, বর্ষপূর্তিতে নাম না করে কংগ্রেসকেও তোপ মোদীর
স্বপ্ননগরী মুম্বইয়ে ২৬/১১-র সন্ত্রাসবাদী (26/11 Mumbai Attack) হামলা ভারতের বুকে এমনই এক ক্ষত যা কখনই ভোলা সম্ভব নয়। ১২ বছর আগের অভিশপ্ত সেই রাতের বর্ষপূর্তির দিন এই কথা উল্লেখ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)
TV9 বাংলা ডিজিটাল: কিছু ক্ষত এতটাই গভীর হয় যে বহু সময় পরও তার আঘাতের চিহ্ন থাকে স্পষ্ট। স্বপ্ননগরী মুম্বইয়ে ২৬/১১-র সন্ত্রাসবাদী (26/11 Mumbai Attack) হামলাও ভারতের বুকে এমনই এক ক্ষত যা কখনই ভোলা সম্ভব নয়। ১২ বছর আগের অভিশপ্ত সেই রাতের বর্ষপূর্তির দিন এই কথা উল্লেখ করেই হামলায় শহিদদের শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)।
এদিন অনলাইনে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০০৮ সালে এই দিনে পাকিস্তানের জঙ্গিরা মুম্বইয়ে হামলা চালায়। পুলিসকর্মী-সহ বহু বিদেশি নাগরিকেরও মৃত্যু হয়েছিল। আমি আজকের দিনে তাঁদের শ্রদ্ধা জানাই। ভারত সেই ক্ষত ভুলতে পারেনি। আজ ভারত নয়া নীতি অবলম্বন করে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়ছে। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যে নিরাপত্তারক্ষীরা লড়াই করছেন তাদেরকেও জানাই প্রণাম।‘
Inaugurating RE-Invest 2020. Watch my speech. https://t.co/IxPyr6p157
— Narendra Modi (@narendramodi) November 26, 2020
তবে আজকের দিনেও নাম না করে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ফের তোপ দেগেছেন মোদী। আকারে-ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিয়েছেন, তাঁর নিশানায় রয়েছে কারা। নমোর কথায়, ‘আমাদের মনে রাখতে হবে, যখন মানুষ ও দেশের স্বার্থের আগে রাজনীতি অগ্রাধিকার পায়, তখনই জাতিকে এরূপ মূল্য দিতে হয়।‘ এখানে তিনি যে তৎকালীন ইপিএ-২ সরকারকে উদ্দেশ্য করে একথা বলেছেন, তা একেবারেই পরিষ্কার।
রাজনীতির মধ্যে যে অস্পৃশ্যতার কোনও জায়গা নেই তার উদাহরণ দিতে গিয়ে এদিন স্ট্যাচু অব ইউনিটির প্রসঙ্গ তোলেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘বল্লভ ভাই প্যাটেল বিজেপি বা জন সংঘের সদস্য না হওয়া সত্ত্বেও গুজরাটে তাঁর সবচেয়ে বড় মূর্তি তৈরি করা হয়েছে।‘ প্রধানমন্ত্রীর কথায়, একবিংশ শতকে যে কোনও চ্যালেঞ্জ নেওয়ার ক্ষেত্রে সংবিধান আমাদের সবচেয়ে বড় পথপ্রদর্শক। এবং সব সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রেই দেশের স্বার্থ যেন মুখ্য থাকে।
আরও পড়ুন: একুশের প্রস্তুতিতে বিশেই মমতার ‘ধামাকা’, সাড়ে ৭ কোটি রাজ্যবাসীর জন্য বরাদ্দ ‘স্বাস্থ্য সাথী’র বিমা
মোদী আরও বলেন, ‘আমাদের সংবিধানের প্রচুর বিশেষত্ব রয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম হল- কর্তব্যপরায়ণতা। মহাত্মা গান্ধীও এই বিষয়ে খুবই কঠোর ছিলেন। তিনি মনে করতেন, যদি আমরা নিজেদের কর্তব্য পালন করতে পারি, তবে আমাদের অধিকারও সুরক্ষিত থাকবে।‘ প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহও ২৬/১১-র হামলায় প্রাণ হারানো ব্যক্তিদের শ্রদ্ধা জানান।