Unclaimed Deposits in Indian Bank: ব্যাঙ্কে পড়ে ৩৫ হাজার কোটি টাকা, নেই কোনও দাবিদার, এই অর্থ কী করবে মোদী সরকার?

Unclaimed Deposits: ভারতের বিভিন্ন ব্যাঙ্কে পড়ে আছে ৩৫০০০ কোটি টাকার দাবিহীন অর্থ। এই দাবিহীন অর্থের নিষ্পত্তি করতে বিশেষ অভিযান শুরু করছে মোদী সরকার। জেনে নিন বিস্তারিত।

Unclaimed Deposits in Indian Bank: ব্যাঙ্কে পড়ে ৩৫ হাজার কোটি টাকা, নেই কোনও দাবিদার, এই অর্থ কী করবে মোদী সরকার?
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 15, 2023 | 12:13 AM

নয়া দিল্লি: ভারতের বিভিন্ন ব্যাঙ্কে পড়ে আছে কোটি কোটি টাকার দাবিহীন অর্থ। এই দাবিহীন অর্থের নিষ্পত্তি করতে চায় ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। এর জন্য রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে বিশেষ পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে। এই পরিকল্পনা অনুযায়ী দেশের প্রতিটি জেলার প্রতিটি ব্যাঙ্কে কত পরিমাণ দাবিহীন অর্থ জমা রয়েছে, তা গণনা করা হবে। ওই জমা তাকা অর্থের সঠিক মালিক খুঁজে বের করে, তার হাতে ওই দাবিহীন অর্থ তুলে দেওয়া হবে। ১০০ দিনের মধ্যে ওই সব অর্থের নিষ্পত্তি করা হবে। আরবিআই-এর পক্ষ থেকে এই স্কিমের নাম দেওয়া হয়েছে, ‘১০০ দিন ১০০ পে’। আরবিআই জানিয়েছে, এর ফলে বিভিন্ন ভারতীয় ব্যাঙ্কে জমা থাকা দাবিহীন অর্থের নিষ্পত্তি করা যাবে এবং ব্যাঙ্কগুলিতে পড়ে থাকা দাবিহীন আমানতের পরিমাণও কমে আসবে।

আনক্লেইমড বা দাবিহীন অ্যাকাউন্ট কী?

যে অ্যাকাউন্টগুলিতে কমপক্ষে ১০ বছর ধরে কোনও লেনদেন করা হয়নি, সেই অ্যাকাউন্টগুলিকে আনক্লেইমড বা দাবিহীন অ্যাকাউন্ট বলা হয়। যদি এই ধরনের অ্যাকাউন্টে টাকা থাকে, তাহলে ব্যাঙ্ক সেগুলিকে নিষ্ক্রিয় আমানত বা ইন্যাক্টিভ ডিপোজিট হিসাবে বিবেচনা করে। আপনি জেনে অবাক হবেন যে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কে, রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কগুলি প্রায় ৩৫,০০০ কোটি টাকার দাবিহীন অর্থ হস্তান্তর করেছে। ১০.২৪ কোটি ব্যাঙ্ক অ্য়াকাউন্টে এই অর্থ জমা রয়েছে।

এই বিপুল টাকার কী হবে?

এই ধরনের দাবিহীন আমানতের পরিমাণ নিয়ে জনগণকে সচেতন করতে আরবিআই বিশেষ প্রচার চালায়। এই প্রচারের অধীনে দাবিহীন অর্থ, বৈধ অধিকারীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তার আগে, ওই দাবিহীন অর্থ আনক্লেইমড ডিপোজিট ডিপোজিটর এডুকেশন অ্যান্ড অ্য়াওয়ারনেস ফান্ডে (DEAF) জমা করা হয়। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের নির্দেশে সেই জমা থাকা অর্থের দ্রুত নিষ্পত্তির কাজ চলছে। আরবিআই-এর গভর্নর শক্তিকান্ত দাস জানিয়েছেন, আমানতকারী এবং সুবিধাভোগীরা যাতে বিভিন্ন ব্যাঙ্কে তাদের দাবিহীন আমানতের বিবরণ খুঁজে পান, তার জন্য তিন থেকে চার মাসের মধ্যে একটি সেন্ট্রাল পোর্টাল তৈরি করা হবে।