J&K Cop Killed by Terrorist: উপত্যকায় ফের জঙ্গিদের নিশানায় পুলিশকর্মী, মাঠ থেকে উদ্ধার রক্তাক্ত দেহ
J&K Cop Killed by Terrorist: কাশ্মীর জ়োন পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, প্রাথমিক তদন্তের পর জানা গিয়েছে যে ছুটি নিয়ে বাড়িতে গিয়েছিলেন ফারুক আহমেদ। শুক্রবার বিকেলে তিনি যখন ধান ক্ষেতে গিয়েছিলেন, সেই সময় আততায়ীরা পিস্তল দিয়ে তাঁকে গুলি করে।
কাশ্মীর: ফের উপত্যকায় পুলিশের উপরে জঙ্গি হামলা। শনিবার সকালেই জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের এক সাব-ইন্সপেক্টরের দেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশের তরফে এখনও কোনও বিবৃতি না দিলেও, সূত্রের খবর ওই পুলিশ অফিসারকে গুলি করে খুন করেছে জঙ্গিরাই। মৃত ওই পুলিশকর্মীর নাম ফারুক আহমেদ মীর।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালেই জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার পাম্পোর থেকে ওই পুলিশকর্মীর দেহ উদ্ধার করা হয়। ওই এলাকারই সামবুরার বাসিন্দা ছিলেন তিনি। মনে করা হচ্ছে, গতকাল রাতেই জঙ্গিরা তাঁকে বাড়ি থেকে অপহরণ করে। এরপর গুলি করে হত্যা করা হয় তাঁকে।
Dead body of Farooq Ah Mir of Samboora Si(M) posted in IRP 23 BN was found in paddy fields near his home. Preliminary #investigation reveals that he had left his home for work in his paddy fields yesterday in the evening, where he was shot dead by #terrorists using a pistol.
— Kashmir Zone Police (@KashmirPolice) June 18, 2022
অন্যদিকে, কাশ্মীর জ়োন পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, প্রাথমিক তদন্তের পর মনে করা হচ্ছে যে শুক্রবার বিকেলে তিনি যখন ধান ক্ষেতে গিয়েছিলেন, সেই সময় আততায়ীরা পিস্তল দিয়ে তাঁকে গুলি করে। এই ঘটনার সঙ্গে জঙ্গিরাই জড়িত বলে মনে করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, ছুটি নিয়ে বাড়িতে গিয়েছিলেন ফারুক আহমেদ। সেখানেই তাঁর উপরে হামলা চালায় জঙ্গিরা।
জানা গিয়েছে, ওই অফিসার ইন্ডিয়ান রিজার্ভ পুলিশ ব্যাটেলিয়ানে কর্মরত ছিলেন। দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামার জেলায় অবস্থিত পাম্পোর থেকে তাঁর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। গোটা এলাকা ঘুরে তল্লাশি অভিযান শুরু করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বিগত বেশ কয়েক মাস ধরেই উপত্যকায় সাধারণ মানুষদের উপরে জঙ্গি হামলার ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে কাশ্মীরী পন্ডিত ও পুলিশকর্মীদের নিশানা বানাচ্ছে জঙ্গিরা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উদ্বেগ প্রকাশ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকও। সম্প্রতিই জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল সহ একাধিক শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এরপরই ১৭০ জন কাশ্মীরি পন্ডিতকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। উপত্য়কা জুড়ে শুরু হয়েছে জঙ্গি দমন অভিযানও।