ডিব্রুগড়: দেশে বাড়ছে ওমিক্রনের আতঙ্ক। দেশের একাধিক প্রান্ত থেকে খোঁজ মিলছে আক্রান্তের। বিমানবন্দরগুলিতে বাড়তি নজরদারি করা হচ্ছে। রাজ্যগুলিকে পরিস্থিতির উপর সজাগ রাখতে বলছে কেন্দ্র। আর এরই মধ্যে অসমে তৈরি হল ওমিক্রন টেস্ট কিট। এর ব্যবহারে মাত্র দুই ঘণ্টার মধ্যেই জানা যাবে, কোনও ব্যক্তি করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত কিনা।
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চ (ICMR)-এর অসমের ডিব্রুগঢ়ে অবস্থিত রিজিওনাল মেডিকেল রিসার্চ সেন্টার (RMRC) তৈরি করেছে এই ওমিক্রন টেস্টিং কিট। এই টেস্টিং কিট তৈরি হওয়ার ফলে বিমানবন্দরে আগত যাত্রীদের ক্ষেত্রে অনেকটাই সুবিধা হতে পারে বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। ওমিক্রনের সংক্রমণ ঠেকাতে দেশের বিমানবন্দরগুলিতে যে কড়াকড়ি করা হয়েছে, তার জেরে যাত্রীদের দীর্ঘক্ষণ বিমানবন্দরে অপেক্ষা করতে হচ্ছিল। অনেক ক্ষেত্রেই ছয় ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছিল বিমান যাত্রীদের। এবার তাঁদের অনেকটা কম সময় অপেক্ষা করতে হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
উল্লেখ্য, ২৪ নভেম্বর থেকে এই ওমিক্রন টেস্ট কিটটি তৈরির কাজ করছিলেন আইসিএমআরের ডিব্রুগঢ় শাখার এক গবেষক দল। তাঁরা এই টেস্ট কিটের মাধ্যমে পরীক্ষামূলকভাবে এক হাজারটিও বেশি করোনা আক্রান্তের সোয়াবের নমুনায় প্রয়োগ করে দেখা হয়। এর মধ্যে বাইরের রাজ্যে যাঁরা ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের সোয়াবের নমুনাও। বর্তমান ওই যন্ত্রটি লাইসেন্সের কাজ চলছে। আগামী সপ্তাহে থেকেই দেশের ল্যাবরেটরিগুলিতে এই টেস্টিং কিট পাওয়া যাবে।
আইসিএমআরের ডিব্রুগঢ় শাখার ওই গবেষক দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বর্ষীয়ান বিজ্ঞানী চিকিৎসক বিশ্বজ্যোতি বরকাকোটি। তিনি জানিয়েছেন,” “আইসিএমআর-আরএমআরসির ডিব্রুগড়ে করোনার নতুন ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট চিহ্নিত করার জন্য একটি হাইড্রোলাইসিস ভিত্তিক রিয়েল-টাইম আরটি-পিসিআর করা হয় এবং মাত্র দুই ঘন্টার মধ্যে খোঁজ মিলবে ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট”
আইসিএমআর-আরএমআরসি ডিব্রুগড় শাখার তৈরি করা এই ওমিক্রম কিটটি সম্পূর্ণভাবে ভারতে তৈরি। কলকাতার, জিসিসি বায়োটেক একটি পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) মডেলে এই টেস্টিং কিট তৈরি করা হচ্ছে।
বিশ্বজুড়ে দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়ছে করোনা ভাইরাসের নয়া ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন। ইতিমধ্যেই ৫৯টি দেশে ওমিক্রন সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। ভারতেরও ধীরে ধীরে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টই কি তবে দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ (Third Wave of COVID-19) ডেকে আনবে? এই প্রশ্নের উত্তরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা(World Health Organization)-র দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার রিজিওনাল ডিরেক্টর ডঃ পুনম ক্ষেত্রপাল (Poonam Khetrapal) বলেন, “নতুন ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ মিললেই পরিস্থিতি শোচনীয় হবে, এমন কোনও কথা নেই। তবে এটা সঠিক যে পরিস্থিতি আরও অনিশ্চিত হয়ে উঠবে।”
আরও পড়ুন Jammu Kashmir Encounter: গতমাসেই নাম লিখিয়েছিল জইশ গোষ্ঠীতে! পুলওয়ামায় এনকাউন্টারে খতম ১ জঙ্গি