নয়া দিল্লি: সামনেই লোকসভা ভোট। বেজে গিয়েছে দামামা। এরইমধ্যে উপত্যকায় নতুন করে তৎপরতা বাড়িয়েছে মোদী সরকার। জম্মু-কাশ্মীর ন্যাশনাল ফ্রন্ট নামে একটি সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। মঙ্গলবারই জানানো হয়েছে এই সিদ্ধান্তের কথা। ‘বেআইনি কার্যকলাপ’, ভারতবিরোধী জঙ্গি কার্যকলাপে জড়়িত থাকার অভিযোগেই অমিত শাহের দফতর থেকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে খবর। ‘বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন’ (ইউএপিএ) এর ক্ষমতা বলেই এই সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, উপত্যকায় এই সংগঠনের নেতৃত্বে ছিলেন আহমেদ খান। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বলছে, জেকেএনএফ-এর অবৈধ কার্যকলাপের কথা অনেকদিন থেকেই শোনা যাচ্ছিল। যা দেশের অখণ্ডতা, সার্বভৌমত্ব এবং নিরাপত্তার জন্য হুমকির সামিল। জম্মু-কাশ্মীর ন্যাশনাল ফ্রন্টের সদস্যরা বিচ্ছিন্নতাবাদকে লালন-পালন করছিলেন। একইসঙ্গে সন্ত্রাসবাদীদেরও সমর্থন করে আসছিলেন। ভারত বিরোধী কর্মকাণ্ডেও ইন্ধন জুগিয়েছেন। তাই এই সিদ্ধান্ত। এদিকে সরকারের এই সিদ্ধান্তের কথা সামনে আসতেই তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে উপত্যাকার রাজনৈতিক মহলে।
The Modi government today declared Jammu and Kashmir National Front as an Unlawful Association.
The outfit was found carrying out secessionist activities to sever Jammu and Kashmir from Bharat and supporting terrorism, challenging the sovereignty, security, and integrity of the…
— Amit Shah (Modi Ka Parivar) (@AmitShah) March 12, 2024
সংগঠনের মাথা বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা আহমেদ খান বর্তমানে রয়েছেন জেলে। সন্ত্রাসবাদীদের টাকা দিয়ে সাহায্য করার অভিযোগে ২০১৭ সালে তাঁকে গ্রেফতার করে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ)। জেকেএনএফ-এর বিরুদ্ধে সরকারি পদক্ষেপের পরে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টও করেছেন। সেখানে তিনি লিখছেন, এই সংগঠনটি ভারত থেকে জম্মু-কাশ্মীরকে আলাদা করার জন্য বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপ চালিয়েছে। সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করেছে। দেশের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা এবং অখণ্ডতাকে চ্যালেঞ্জ করছে। এই সংগঠনকে সরকার নিষিদ্ধ ঘোষণা করছে।’ তিনি আরও লিখছেন, ‘ভারতের জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা সন্ত্রাসবাদীদের নির্মূল করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’