All-Party Meet: ‘এটা কি অসংসদীয় নয়?’, সর্বদল বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে বিরোধীদের অস্বস্তিকর প্রশ্নের মুখে সরকার

All-Party Meet: বাদল অধিবেশনের আগে, রবিবার (১৭ জুলাই) সরকারের ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকে অনুপস্থিত থাকলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এর আগে বাজেট অধিবেশনের সময়ও সর্বদল বৈঠক এড়িয়ে গিয়েছিলেন তিনি।

All-Party Meet: 'এটা কি অসংসদীয় নয়?', সর্বদল বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে বিরোধীদের অস্বস্তিকর প্রশ্নের মুখে সরকার
বাদল অধিবেশনের আগে সর্বদলীয় বৈঠক
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 17, 2022 | 6:33 PM

নয়াদিল্লি: সোমবারই (১৮ জুলাই) শুরু হচ্ছে সংসদের বাদল অধিবেশন। তার আগে রবিবার (১৭ জুলাই) সংসদের অ্যানেক্স ভবনে এক সর্বদলীয় বৈঠক আহ্বান করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। সেই বৈঠকে অনুপস্থিত থাকলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সর্বদল বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর অনুপস্থিতি নিয়ে বিরোধী দলগুলির অস্বস্তিকর প্রশ্নের মুখে পড়তে হল সরকারকে। সংসদের কার্যক্রম যাতে সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হয়, তাই প্রতিটি অধিবেশনের আগেই সর্বদলীয় বৈঠক ডাকেন প্রধানমন্ত্রী, এটাই বরাবরের রেওয়াজ। এই নিয়ে কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ টুইট করে বলেছেন: ‘সংসদের আসন্ন অধিবেশন নিয়ে আলোচনার জন্য সর্বদলীয় বৈঠক শুরু হয়েছে এবং প্রধানমন্ত্রী যথারীতি অনুপস্থিত। এটি কি ‘অসংসদীয়’ নয়?’

তবে, প্রধানমন্ত্রী মোদী যে এদিনই প্রথম এই ধরনের বৈঠকে অনুপস্থিত থাকলেন, তা নয়। এর আগে সংসদের বাজেট অধিবেশনের আগেও সর্বদলীয় বৈঠক এড়িয়ে গিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। এদিন কংগ্রেস নেতার প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আজ বৈঠকে যোগ দেননি। কংগ্রেসের জয়রাম রমেশ সেই প্রসঙ্গ তোলেন। আমি তাকে বলতে চাই, ২০১৪ সালের আগে প্রধানমন্ত্রী কখনই সর্বদলীয় বৈঠকে যোগ দিতেন না। মনমোহন সিং কতবার সর্বদলীয় বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন?’ প্রধানমন্ত্রী না থাকলেও, বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল, প্রহ্লাদ জোশী, অর্জুন মেঘওয়াল প্রমুখ। অন্যদিকে বিরোধীদের মধ্যে ছিলেন, কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খর্গে, অধীর রঞ্জন চৌধুরী, জয়রাম রমেশ, জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টির শরদ পওয়ার, সুপ্রিয়া সুলে, জনতা দল ইউনাইটেডের রামনাথ ঠাকুর, আম আদমি পার্টির সঞ্জয় সিং, অকালি দলের হরসিমরত কৌর প্রমুখ।

বৈঠকে সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী সংসদের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার জন্য বিরোধী দলগুলির কাছে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন। অন্যদিকে বিরোধীরা জানিয়ে দিয়েছে, সশস্ত্র বাহিনীর জন্য অগ্নিপথ স্বল্পমেয়াদি নিয়োগ প্রকল্প, মুদ্রাস্ফীতি, বেকারত্ব এবং কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর অপব্যবহার – এই সমস্ত অভিযোগ নিয়ে তারা সংসদ উত্তাল করতে চলেছে। বৈঠকে পক্ষ থেকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সিঙ্গাপুর সফরের ছাড়পত্র দিতে বিলম্ব করা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়।

আগামী ১২ অগস্ট পর্যন্ত সংসদের বাদল অধিবেশন চলার কথা। প্রায় ১ মাস ধরে চলা অধিবেশনে মোট ১০৮ ঘন্টা সময়ে ১৮ টি বৈঠক হবে। প্রথমদিনই, ১৮ জুলাই হবে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। ৬ অগস্ট অনুষ্ঠিত হবে উপ-রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। এদিনের মতো, শনিবার লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার সভাপতিত্বেও অন্য একটি সর্বদলীয় বৈঠক হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, গত দুই বছরের মতো আসন্ন সংসদীয় অধিবেশনেও কোভিড প্রোটোকল অনুসরণ করা হবে।