Organ Donation: কেউ পেলেন হার্ট, কেউ কর্নিয়া, কেউ কিডনি… ব্রেন ডেড বৃদ্ধার অঙ্গে নতুন জীবন ৪ জনের
Organ Donations: এইমসের এক চিকিৎসক জানিয়েছেন স্নেহলতা চৌধুরি যথেষ্ট স্বাস্থ্য সচেতন ছিলেন এবং গত ২৫ বছর ধরে নিয়ম করে সকালে হাঁটতে বেরোতেন।
নয়া দিল্লি: ফের অঙ্গদানের নজির দেশে। ব্রেন ডেড এক মহিলার অঙ্গ থেকে নতুন জীবন ফিরে পেলেন চার জন। দিল্লি এইএম-স প্রশাসনের অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর হিসেবে কর্মরত আইএএস রবীন্দ্র আগরওয়ালের দিদিকে স্নেহলতা চৌধুরি গতমাসে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে মাথায় গুরুতর চোট পেয়েছিলেন। তাঁকে কিছুদিন আগেই ব্রেন ডেড ঘোষণা করা হয়েছে। এবার তাঁর বিভিন্ন অঙ্গ নিয়ে বেঁচে থাকবেন আরও চারজন। মাথায় চোট পাওয়ার ঘটনাটি ঘটেছিল ঝাড়খণ্ডের জামশেদপুরে। ৬৩ বছর বয়সি ওই বৃদ্ধার প্রাথমিকভাবে অস্ত্রোপচার সেখানেই করা হয়েছিল। পরে আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ারলিফ্ট করে দিল্লি এইমসের ট্রমা সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
এইমসের এক চিকিৎসক জানিয়েছেন স্নেহলতা চৌধুরি যথেষ্ট স্বাস্থ্য সচেতন ছিলেন এবং গত ২৫ বছর ধরে নিয়ম করে সকালে হাঁটতে বেরোতেন। ওই চিকিৎসক আক্ষেপের সুরে বলেন, “সবরকম চেষ্টা করা সত্ত্বেও, তাঁর অবস্থার উন্নতি হয়নি এবং ৩০ সেপ্টেম্বর তাঁকে ব্রেন ডেড ঘোষণা করা হয়েছিল।” স্নেহলতা একজন সমাজকর্মী ছিলেন বলেও জানা গিয়েছে। চিকিৎসকের কথায়,”তিনি চক্ষুদানের একজন ভীষণ সমর্থক ছিলেন এবং সারা জীবন অঙ্গদানের মতো বিষয়কে সমর্থন করে গিয়েছিলেন। তিনি কৌন বনেগা ক্রোড়পতির জন্যও যোগ্যতা অর্জন করেছিলেন।”
স্নেহলতা চৌধুরীর হার্ট, একটি কিডনি এবং কর্নিয়া AIIMS-এ রোগীদের দান করা হয়েছে। এর পাশাপাশি তাঁর লিভার আর্মি হাসপাতালে ব্যবহার করা হবে। ন্যাশনাল অর্গান অ্যান্ড টিস্যু ট্রান্সপ্লান্ট অর্গানাইজেশনের ব্যবস্থা অনুসারে রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালে একজন রোগীকে তাঁর দ্বিতীয় কিডনিটি দেওয়া হয়েছে। যখন দেশজুড়ে মরনোত্তর অঙ্গদানের বিষয়টিকে নিয়ে আমজনতাকে সচেতন করার চেষ্টা চলছে, সেই সময় একজন আমলার পরিবারের সদস্যের এইভাবে অঙ্গদান নিঃসন্দেহে আমজনতার মনে আরও বেশি করে প্রভাব ফেলবে বলেই মনে করছেন চিকিৎসক মহল। এইমসের এক চিকিৎসক জানিয়েছেন,এপ্রিল থেকে, দিল্লির এইমসের ট্রমা সেন্টারে ১২ টি অঙ্গদানের ঘটনা ঘটেছে, যা ১৯৯৪ সালের পর থেকে এখানে সর্বোচ্চ।