Contaminated Water: কারোর পেটে ব্যাথা তো কারোর বমি, একসঙ্গে অসুস্থ ৫৩৫ জন গ্রামবাসী, তদন্তে শুরু করতেই জানা গেল ভয়ঙ্কর কারণ…
Himachal Pradesh: গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, যে ট্যাঙ্কে জল সংরক্ষিত থাকে, তার নির্মাণকাজ চলছে। ফলে জলের মধ্যে অনেক কিছু মিশছে। সেই জল পরিশ্রুত না করেই বাড়িতে বাড়িতে সরবরাহ করা হচ্ছে, যার জেরে শতাধিক মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।
সিমলা: গ্রামের যে বাড়িতেই যাবেন, সেখানেই তিনজনের মধ্যে দুইজন অসুস্থ। কারোর প্রচন্ড পেট ব্যাথা, কারোর আবার বিম-পেট খারাপ হচ্ছে বিগত কয়েক দিন ধরে। প্রথমে সকলেই ভেবেছিলেন উল্টোপাল্টা খাবার বা অন্য কোনও ছোটখাটো কারণে হয়তো অসুস্থ হয়ে পড়ছেন গ্রামের লোকজন। কিন্তু সংখ্যাটা যত বাড়তে থাকল, ততই আতঙ্কও বাড়ল। দুই দিনের মধ্যেই জানা গেল শুধুমাত্র একটি গ্রামে নয়, আশেপাশের বিভিন্ন গ্রামে একই পরিস্থিতি। শয়ে শয়ে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। আসল কারণ খতিয়ে দেখতেই জানা গেল ভয়ঙ্কর তথ্য। জানা গেল দূষিত ও বিষাক্ত জল খেয়েই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন শতাধিক মানুষ। হিমাচল প্রদেশের (Himachal Pradesh) হামিরপুর জেলার প্রায় ১০-১২টি গ্রাম জুড়ে একই পরিস্থিতি। এখনও অবধি ৫০০-রও বেশি মানুষ বিষাক্ত জল (Contaminated Water) পান করে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, হামিরপুর জেলার নাদায়ুন সাব ডিভিশন জুড়েই জলের চরম সমস্যা দেখা গিয়েছে। বান্হ, গুজরান, রাজপুতান, পান্যালা, পাথিয়ালু, নিয়াতি, রাঙ্গাস চৌকি হার, থাইন ও শঙ্কর জেলায় জল বাহিত রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। রঙ্গস পঞ্চায়েতে এখনও অবধি ৫৩৫ জনের অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। পঞ্চায়েত প্রধান জানিয়েছেন, প্রত্য়েক বাড়িতেই কেউ না কেউ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। জল শক্তি বিভাগ থেকে যে জল সরবরাহ করা হয়েছিল, তা পান করেই গ্রামবাসীরা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, জলে প্রচুর পরিমাণ ব্যাকটেরিয়া পাওয়া গিয়েছে। ইতিমধ্যেই যে জায়গা থেকে সংক্রমিত জল ছড়িয়ে পড়েছে, সেই জলের পিট-টিও চিহ্নিত করা হয়েছে।
গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, যে ট্যাঙ্কে জল সংরক্ষিত থাকে, তার নির্মাণকাজ চলছে। ফলে জলের মধ্যে অনেক কিছু মিশছে। সেই জল পরিশ্রুত না করেই বাড়িতে বাড়িতে সরবরাহ করা হচ্ছে, যার জেরে শতাধিক মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু, যিনি নাউদানের বিধায়কও, তিনি জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগকে গোটা ঘটনার তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। যে সমস্ত গ্রামবাসী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, তাদের যাতে যথাযথ চিকিৎসা করা হয়, তার নির্দেশ দিয়েছেন। ওষুধ থেকে শুরু করে হাসপাতালের বেড, কোনও কিছুর যাতে অভাব না হয়, তা নিশ্চিত করার নির্দেশও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি জেলা ও রাজ্য়স্তর থেকে তিনি সংক্রমিত জল নিয়ে বিস্তারিত রিপোরিট চেয়েছেন।
ইতিমধ্যেই সংক্রমিত এলাকায় স্বাস্থ্য দফতরের বিশেষ দল পাঠানো হয়েছে, তারা গ্রামবাসীদের চিকিৎসা করছেন। অন্যদিকে, জলশক্তি বিভাগের তরফেও অভিযোগ আসার পরই জল সরবরাব বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং স্য়াম্পেল টেস্টিং শুরু করা হয়েছে। আজ সকালের মধ্যেই সেই রিপোর্ট পাওয়া যাবে বলে জানানো হয়েছে। আপাতত গ্রামবাসীদের পান করার জন্য প্যাকেট করা জলের বোতল দেওয়া হচ্ছে। ক্লোরিন ও ওআরএসের প্যাকেটও বিলি করা হচ্ছে গ্রামগুলিতে।