AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Patanjali: বাড়ছে ফলন, লাভ ঢুকছে ঘরে, কৃষকদের কীভাবে সাবলম্বী করে তুলছে পতঞ্জলি, জানুন

Farmers: পতঞ্জলি যোগপীঠের তরফে পতঞ্জলি কিষাণ সমৃদ্ধি কর্মসূচি চালু করেছে। দক্ষতা এবং উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির জন্য কৃষকদের ড্রিপ সেচ, জৈব সার্টিফিকেশন প্রক্রিয়া, প্রাকৃতিক কৃষি সরঞ্জাম এবং মাটি পরীক্ষার পদ্ধতির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়।

Patanjali: বাড়ছে ফলন, লাভ ঢুকছে ঘরে, কৃষকদের কীভাবে সাবলম্বী করে তুলছে পতঞ্জলি, জানুন
ফাইল চিত্র।Image Credit: X
| Updated on: Nov 24, 2025 | 11:42 AM
Share

নয়া দিল্লি: কৃষি ভারতীয় অর্থনীতির মেরুদণ্ড এবং কৃষকদের সমৃদ্ধি সরাসরি গ্রামীণ উন্নয়ন এবং জাতীয় অগ্রগতির সঙ্গে যুক্ত। কৃষকদের উন্নয়ন এবং ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে পতঞ্জলি যোগপীঠের তরফে পতঞ্জলি কিষাণ সমৃদ্ধি কর্মসূচি চালু করেছে। এই কর্মসূচিটি কৃষিকে শক্তিশালী করার, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করা এবং প্রশিক্ষণ, সম্পদ এবং বৈজ্ঞানিক অনুশীলনের মাধ্যমে কৃষকদের ক্ষমতায়নের জন্য তৈরি করা হয়েছে। দীর্ঘমেয়াদী মাটির স্বাস্থ্য, বর্ধিত ফলন এবং কৃষকদের আয় বৃদ্ধির জন্য আধুনিক কৃষি উদ্ভাবনের সঙ্গে প্রাচীন ভারতীয় কৃষি কৌশলের জ্ঞানকে একীভূত করে।

প্রশিক্ষণ এবং দক্ষতা: পতঞ্জলি নিয়মিত কর্মশালার মাধ্যমে এবং সচেতনতামূলক কর্মসূচি পরিচালনা করে কৃষকদের জৈব চাষ, প্রাকৃতিক সার, জল সংরক্ষণ, বীজের মান উন্নয়ন এবং ফসল সুরক্ষা পদ্ধতি সম্পর্কে শিক্ষিত করে। কৃষকদের পতঞ্জলির পরিবেশ বান্ধব কৃষিপণ্য ব্যবহার করার জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়, যাতে তাদের ফসল রাসায়নিকমুক্ত এবং পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ হয়

জৈব উপকরণ প্রচার: এই কর্মসূচি জৈব সার, ভেষজ কীটনাশক এবং গরু সংক্রান্ত কৃষি উপকরণ (গোবর এবং গোমূত্র) ব্যবহারকে উৎসাহিত করে। রাসায়নিক সারের উপর নির্ভরতা কমিয়ে কৃষকরা মাটির উর্বরতা এবং দীর্ঘমেয়াদী স্থায়িত্ব উন্নত করে।

সরবরাহ চেইনকে শক্তিশালী করা: সরাসরি ক্রয় ব্যবস্থা, ন্যায্য মূল্য নির্ধারণের মডেল এবং সরবরাহ শৃঙ্খলের মাধ্যমে কৃষকদের সহায়তা করা হয় পতঞ্জলির এই উদ্যোগে। পতঞ্জলি কৃষকদের তাদের পণ্য সরাসরি প্রক্রিয়াকরণ ইউনিটে বিক্রি করতে সহায়তা করে, মধ্যস্থতাকারীদের ছাড়াই আরও ভাল লাভ নিশ্চিত করে।

প্রযুক্তিগত একীকরণ: দক্ষতা এবং উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির জন্য কৃষকদের ড্রিপ সেচ, জৈব সার্টিফিকেশন প্রক্রিয়া, প্রাকৃতিক কৃষি সরঞ্জাম এবং মাটি পরীক্ষার পদ্ধতির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়।

কর্মসূচি-

উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, হরিয়ানা, রাজস্থান এবং মধ্য প্রদেশ সহ অনেক রাজ্যে এই কর্মসূচি করা।

হাজার হাজার কৃষক পতঞ্জলি কিষাণ সেবা কেন্দ্রের সঙ্গে যুক্ত।

খাদ্যশস্য, শাক-সবজি, ঔষধি গাছ এবং ভেষজ চাষ সহ বিভিন্ন কৃষি ক্ষেত্র।

এই কর্মসূচি গ্রামীণ এলাকায় সম্প্রসারিত হচ্ছে। ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম এবং জ্ঞান প্রদান করছে।

কী কী চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়েছে?

পরিবর্তনের বিরোধিতা: অনেক কৃষকই প্রাথমিকভাবে রাসায়নিক-ভিত্তিক কৃষিকাজ থেকে জৈব কৃষিকাজে যেতে দ্বিধাগ্রস্ত ছিলেন।

সচেতনতার অভাব: জৈব চাষের সুবিধা সম্পর্কে তথ্যের অভাব এই পদ্ধতিকে গ্রহণে বাধা দিয়েছে।

পরিকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা: প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকাগুলিতে সেচ সমস্যা, সীমিত সঞ্চয় এবং পরিবহন চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।

সার্টিফিকেশনে বিলম্ব: জৈব সার্টিফিকেশন একটি সময়সাপেক্ষ প্রক্রিয়া, যা ক্ষুদ্র কৃষকদের নিরুৎসাহিত করতে পারে।

পতঞ্জলি এই চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবিলা করে অবিরাম প্রশিক্ষণ, পরিকাঠামোগত সহায়তা এবং সহজে গ্রহণযোগ্য কৃষি মডেলের মাধ্যমে।

এর প্রভাব-

  • কৃষি উপকরণের দাম ভাল হওয়া এবং কম খরচের কারণে আয় বৃদ্ধি।
  • জৈব পদ্ধতি মাটির স্বাস্থ্য উন্নত করে, যার ফলে দীর্ঘমেয়াদী উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পায়।
  • স্বাস্থ্যকর পণ্য উপভোক্তাদের কাছে পৌঁছেছে, যা জাতীয় স্বাস্থ্যে অবদান রাখছে।
  • কিসান সেবা কেন্দ্র এবং প্রক্রিয়াকরণ ইউনিটের মাধ্যমে গ্রামীণ কর্মসংস্থান বৃদ্ধি।
  • ঐতিহ্যবাহী ভারতীয় কৃষির পুনরুজ্জীবন এবং পরিবেশগত ভারসাম্য বজায় রাখে।
  • সামগ্রিকভাবে এই কর্মসূচি কৃষকদের সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং পরিবেশগতভাবে ক্ষমতায়িত করেছে। ভারতের কৃষি ভিত্তিকে শক্তিশালী করেছে।