Patanjali: অতিরিক্ত ওজন, পিঠ-হাঁটুতে ব্যথা, পতঞ্জলি ওয়েলনেসে চিকিৎসায় ‘নতুন জীবন’ পাচ্ছেন রোগীরা
Patanjali: হরিদ্বারে পতঞ্জলি ওয়েলনেস অসংখ্য রোগীকে নতুন জীবন দিয়েছে। পিঠের ব্যথা, থাইরয়েড, উচ্চ রক্তচাপ এবং হাঁটুর ব্যথার মতো বিভিন্ন রোগে ভুগছেন এমন ব্যক্তিরা চিকিৎসা এবং ওষুধের মাধ্যমে স্বস্তি পেয়েছেন। QR কোড স্ক্যান করে সেই সব রোগীদের অভিজ্ঞতা জানতে পারবেন, যা এই ওয়েলনেস সেন্টারের সাফল্যের প্রমাণ।

হরিদ্বার: কারও অতিরিক্ত ওজন। কেউ পিঠের ব্যথায় ভুগছিলেন। কেউ হাঁটুর ব্যথায় কষ্ট পাচ্ছিলেন। তাঁদের জীবনে আবার আনন্দ এনে দিয়েছে পতঞ্জলি ওয়েলনেস। হরিদ্বারে অবস্থিত পতঞ্জলি ওয়েলনেস মানুষকে নতুন জীবন দিচ্ছে। বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত বিপুল সংখ্যক রোগী নতুন জীবন পেয়েছেন এবং তাঁদের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছেন। তাঁরা বলছেন, পতঞ্জলি ওয়েলনেসে চিকিৎসা এবং ওষুধগুলি স্বস্তি এনেছে তাঁদের জীবনে। পতঞ্জলি ওয়েলনেসে চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, একটি QR কোড স্ক্যান করে, আপনি ওয়েলনেস সেন্টারে তাঁদের ভর্তি এবং সেখান থেকে ছুটি পাওয়ার তারিখ দেখতে পারবেন। পাশাপাশি তাঁদের ভিডিয়ো প্রতিক্রিয়াও দেখতে পারবেন। আসুন এমন কিছু মানুষের কাহিনি জানি, যাঁদের জীবন পতঞ্জলি ওয়েলনেসে চিকিৎসার পর বদলে গিয়েছে।
উত্তর প্রদেশের দেওরিয়ার বাসিন্দা সুরেশ্বর মিশ্র বলেন, “গত ১৫ বছর ধরে আমার পিঠে ব্যথা হচ্ছিল। গত ছয় মাস ধরে আমার বাম পায়েও ব্যথা শুরু হয়েছিল। আমি অনেক চিকিৎসা করিয়েছি। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। আমি আমার পরিচিতজনের কাছ থেকে পতঞ্জলি ওয়েলনেস সম্পর্কে জানতে পারি এবং চিকিৎসার জন্য হরিদ্বারে আসি। এক সপ্তাহের মধ্যে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ আরাম অনুভব করি। আমি সবাইকে অনুরোধ করব, এখানে একবার আসার জন্য।”
‘আগে আমার ওজন ছিল ৯৮ কেজি’
একথা বলছেন মহারাষ্ট্রের আহমেদনগরের বাসিন্দা সুনীল শিবাজিরাও পাতিল। তাঁর কথায়, “এক বছর আগে আমার থাইরয়েড ছিল ৬৪, রক্তচাপ ছিল ২০০ এবং ওজন ছিল ৯৮ কিলোগ্রাম। আমি চিকিৎসা করিয়েছিলাম। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি। তারপর আমি পতঞ্জলি ওয়েলনেস এবং মহারাজজি সম্পর্কে জানতে পারি। আমি প্রতিদিন মহারাজ জি-র অনুষ্ঠান দেখতে শুরু করি।”
তিনি বলেন, “আমি ভোর ৪টা থেকে যোগব্যায়াম শুরু করেছিলাম। এতে আমার আরাম লাগতে শুরু করে। আমি এখন হরিদ্বারে পতঞ্জলি ওয়েলনেসে এসেছি। আমার থাইরয়েড এখন ৬৪ থেকে কমে ৫ হয়েছে, যা স্বাভাবিক। আমার রক্তচাপ, যা ২০০ ছিল, এখন ১৪০ থেকে ৮০-এ নেমে এসেছে। আমার ওজন, যা ৯৮ কিলোগ্রাম ছিল, এখন ৭৮ কিলোগ্রাম। এর জন্য আমি মহারাজজিকে ধন্যবাদ জানাই।”
‘আমি ১৫ বছর ধরে হাঁটুর ব্যথায় ভুগছিলাম’
পতঞ্জলি ওয়েলনেস দিল্লির বাসিন্দা পঙ্কজ গুপ্তের জীবনও বদলে দিয়েছে। পঙ্কজ বলেন, “আমি ১৫ বছর ধরে হাঁটুর ব্যথায় ভুগছিলাম। এতে আমার হাঁটতে খুব কষ্ট হচ্ছিল। আমি অনেক চিকিৎসা করিয়েছি, কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। তারপর আমি চিকিৎসার জন্য পতঞ্জলি ওয়েলনেসে আসি। এবং মাত্র দুই দিন আগে আমাকে শৃঙ্গি ওষুধ দেওয়া হয়।”
পঙ্কজ গুপ্ত বলেন, “শৃঙ্গি গ্রহণের পরপরই আমার হাঁটুর ব্যথা সম্পূর্ণরূপে অদৃশ্য হয়ে গেল। এটা আমার জন্য একটা অলৌকিক ঘটনা ছিল। এখানকার চিকিৎসায় আমি সম্পূর্ণ সন্তুষ্ট।” হিমাচল প্রদেশের ইন্দ্রজিৎ সিং, ওড়িশার সোনপুরের নরেন্দ্র কুমার মিশ্র, মধ্যপ্রদেশের ধরের দীপক খান্ডে এবং পশ্চিমবঙ্গের হাওড়ার শিখা ভুনিয়া-সহ আরও শত শত মানুষ একই রকম অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছেন।
