PM Modi : মোদীর কণ্ঠে যোগী বন্দনা, ‘খয়রাতি সংস্কৃতির’ প্রসঙ্গ তুলে বিরোধীদের তোপ নমোর

PM Modi : শনিবার বুন্দেলখণ্ড এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে বক্তৃতা দেওয়ার সময় উত্তর প্রদেশের উন্নয়ন তুলে ধরার পাশাপাশি বিরোধীদের তোপ দাগেন।

PM Modi : মোদীর কণ্ঠে যোগী বন্দনা, 'খয়রাতি সংস্কৃতির' প্রসঙ্গ তুলে বিরোধীদের তোপ নমোর
ছবি সৌজন্যে : PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 16, 2022 | 2:15 PM

লখনউ : বুন্দেলখণ্ড এক্সপ্রেসওয়ের (Bundelkhand Expressway) উদ্বোধনের জন্য শনিবার উত্তর প্রদেশের (Uttar Pradesh) জালাউন জেলায় গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Prime Minister Narendra Modi)। তিনি এদিন ২৯৬ কিলোমিটার লম্বা এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করেন তিনি। এরপর মঞ্চ থেকে তিনি উত্তর প্রদেশের মুখ্য়মন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের প্রশংসায় পঞ্চমুখও হয়েছেন। তিনি এদিন বলেছেন, ‘এই এক্সপ্রেসওয়ের হাত ধরে বুন্দেলখণ্ডে উন্নয়ন, কর্মসংস্থান ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা আসবে।’ এদিন উদ্বোধনী মঞ্চ থেকে নাম না করে বিরোধীদেরও তোপ দাগেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

তিনি এদিন বিরোধীদের খয়রাতি সংস্কৃতির তীবর সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘আজকাল আমাদের দেশে বিনামূল্যে রেওয়ারি বিতরণ করে ভোট কেনার চেষ্টা করা হচ্ছে। দেশের বিকাশের জন্য এই সংস্কৃতি ঘাতকের মতো। এই খয়রাতি সংস্কৃতি থেকে দেশের নাগরিকদের ও বিশেষ করে যুবদের সতর্ক থাকার দরকার রয়েছে। তাঁরা আপনাদের জন্য কখনও নতুন এক্সপ্রেসওয়ে বানাবে না। নতুন এয়ারপোর্ট বা ডিফেন্স করিডর বানাবে না। এই সংস্কৃতির রাজনৈতিক দলগুলি মনে করে আম জনতাদের বিনামূল্যে খাদ্য বিতরণ করে তাঁদের কিনে নেবে। আমাদের একসঙ্গে মিলে এই চিন্তাভাবনাকে হারাতে হবে। খয়রাতি সংস্কৃতি দেশ থেকে সরিয়ে দিতে হবে। আমরা খয়রাতি সংস্কৃতির বাইরে নতুন সড়কপথ, রেল রুট বানিয়ে লোকের আকাঙ্খা পূরণ করার কাজ করছি। আমরা গরিবের জন্য কোটির বেশি ঘর বানিয়েছি। ছোটো বড় ড্যাম তৈরি করেছি। নতুন নতুন বিজলির কারখানা করছি যাতে কৃষক, গরিবের জীবনযাপন সহজ হয় এবং দেশের যুবদের আগামী ভবিষ্য়ত অন্ধকারে ডুবে না যায়।’

তিনি এদিন উত্তর প্রদেশে বিজেপি সরকারের উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘২০১৪ সালের আগে ১১ হাজার কমন সার্ভিস সেন্টার ছিল। আজ ১ লক্ষ ৩০ হাজারের বেশি কমন সার্ভিস সেন্টার কাজ করছে। আগে ১২ মেডিক্যাল কলেজ, আজ ৩৫ এর বেশি মেডিক্যাল কলেজ। নতুন ১৪ টি মেডিক্যাল কলেজ নিয়ে কাজ হচ্ছে। দেশের বর্তমানের জন্য শুধুমাত্র সুবিধা করছি না, দেশের ভবিষ্যতও গড়ছি আমরা।’ মোদীর কণ্ঠে এদিন রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও যোগাযোগ ব্যবস্থার কথাও শোনা যায়। এই আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বিরোধীদের নিশানায় একাধিকবার পড়তে হয়েছে যোগী সরকারকে। তিনি এদিন বলেন, ‘যদি দুটি জিনিস- আইন-শৃঙ্খলা ও যোগাযোগ ব্যবস্থার সংশোধন করা হয় আমি জানতাম সবরকম বাধার বিরুদ্ধে কাজ করতে সক্ষম হবে এই দেশ। আমরা দুটিই উন্নত করেছি। রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হচ্ছে।’

এরপর বুন্দেলখণ্ড এক্সপ্রেসওয়ের বিষয়ে মোদী বলেছেন যে এই এক্সপ্রেসেওয়ের ফলে এই অঞ্চলে যোগাযোগ ব্যবস্থা ও অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটবে। তিনি বলেছেন,’এই এক্সপ্রেসওয়ের হাত ধরে এই অঞ্চলে শিল্পের বিকাশ ঘটবে। এটা মোদী ও যোগী সরকার, আমরা উন্নয়ন শুধুমাত্র শহরাঞ্চলে আটকে রাখব না। তাকে গ্রাম অবধি পৌঁছে দেব।’ এরপর পূর্ববর্তী সরকারকে আক্রমণ করে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছেন, ‘সরযূ ক্যানাল প্রকল্প শেষ করতে ৪০ বছর সময় লেগেছে। গোরখপুর সার প্ল্য়ান্ট ৩০ বছরের জন্য বন্ধ হয়ে রয়েছে। ১২ বছরে শেষ হয়েছে অর্জুন ড্যাম। আমেঠি রাইফেল ফ্যাক্টরির শুধুমাত্র একটা সাইনবোর্ড রয়েছে।’ এদিন মোদী যোগী সরকারের প্রশংসা করে বলেছেন, ‘উত্তর প্রদেশে এখন সত্যিকারের পরিকাঠামো উন্নয়ন হয়। অনেক রাজ্য়কে পিছনে ফেলে উন্নয়নের ক্ষেত্রে এগিয়ে গিয়েছে উত্তর প্রদেশ।’

প্রসঙ্গত, ২৯৬ কিলোমিটার লম্বা বুন্দেলখণ্ড এক্সপ্রেসওয়ের ফলে এই অঞ্চলের চিত্রকূট ইটাওয়া লখনউ- আগ্রা এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে যুক্ত হবে। ৪ টি লেনের এই এক্সপ্রেসওয়ে তৈরি করতে খরচ হয়েছে মোট ১৪ হাজার ৮৫০ কোটি টাকা। এই এক্সপ্রেসওয়ে তৈরিতে সময় লেগেছে ২৮ মাস। নির্ধারিত সময়ের ৮ মাস আগেই নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে এই এক্সপ্রেসওয়ের। এদিন যোগী আদিত্যনাথকে এই এক্সপ্রেসওয়ের ধারে ট্যুরিসম সার্কিট গড়ে তোলার কথা বলেছেন মোদী।