নয়া দিল্লি : আজ সংসদে কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। গোটা দেশের নজর ছিল এই বাজেটের দিকে। এই ফাঁকে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর ইউটিউব চ্যানেলের সাবস্ক্রইবার সংখ্যা এক কোটি ছাড়িয়ে গেল। বিশ্বের শীর্ষ স্থানীয় নেতাদের মধ্যে সবথেকে বেশি সাবস্ক্রাইবের সংখ্যা আমাদের প্রধানমন্ত্রীর ইউটিউব চ্যানেলে। এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন ব্রাজিলের রাষ্ট্রপতি জইর বোলসোনারো।
বিশ্ব দরবারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জনপ্রিয়তা সর্বজনবিদিত। সম্প্রতি বিশ্ব নেতাদের জনপ্রিয়তা নিয়ে প্রকাশিত একটি গ্লোবাল রেটিংয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী একদম শীর্ষে ছিলেন। তার রেটিং ছিল ৭১ শতাংশ। সেই জনপ্রিয়তার উপর ভর করেই প্রধানমন্ত্রীর সোশ্যাল মিডিয়ায় তড়তড়িয়ে করে বাড়ছে ফলোয়ার্স ও সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা। বিশ্বের বিভিন্ন নেতাদের জনপ্রিয়তাকে পিছনে ফেলে এগিয়ে যাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
ব্রাজিলের রাষ্ট্রপতি বোলসোনারো তাঁর ইউটিউব চ্যানেলে ৩৬ লক্ষ সাবস্ক্রাইবার রয়েছে। এর একটু নিচেই রয়েছে মেক্সিকো রাষ্ট্রপতি অ্যান্ড্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাডর। তাঁর সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা ৩০.৭ লক্ষ। ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতি জোকো উইড্ডোর ইউটিউব চ্যানেলে ২৮.৮ লক্ষ সাবস্ক্রাইবার রয়েছে। যদিও হোয়াইট হাউস তার ইউটিউব চ্যানেলে ১৯ লক্ষ সাবস্ক্রাইবারের জন্য গর্ববোধ করে। সেখানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা আরও কম। তাঁর সাবস্ক্রাইবার সংখ্য়া ৭.০৩ লক্ষ। অন্যান্য জাতীয় নেতাদের তুলনায়, প্রধানমন্ত্রী মোদী ইউটিউব সাবস্ক্রাইবারের তালিকায় বিশাল ব্যবধানে শীর্ষে রয়েছেন।
ভারতীয় নেতাদের ইউটিউব সাবস্ক্রাইবার সংখ্যার একটি তালিকা :
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী – ৫.২৫ লক্ষ সাবস্ক্রাইবার
কংগ্রেস নেতা শশী থারুর – ৪.৩৯ লক্ষ সাবস্ক্রাইবার
এআইএমআইএম (AIMIM) প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসি – ৩.৭৩ লক্ষ সাবস্ক্রাইবার
তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এবং ডিএমকে প্রধান এম কে স্ট্যালিন – ২.১২ লক্ষ সাবস্ক্রাইবার
দিল্লির ডেপুটি মুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া – ১.৩৭ লক্ষ সাবস্ক্রাইবার
আপের (AAP) জাতীয় আহ্বায়ক অরবিন্দ কেজরিওয়াল – ৫৯,০০০ সাবস্ক্রাইবার
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে এই সোশ্যাল মিডিয়া নিয়েই বিতর্কে জড়িয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তিনি অভিযোগ করেছিলেন তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্টের ফলোয়ার্স রেস্ট্রিক্ট করে রেখেছে টুইটার কর্তৃপক্ষ। এই নিয়ে তিনি গত ডিসেম্বরে টুইটারের সিইও পরাগ আগরওয়ালকে চিঠিও লিখেছিলেন। সম্প্রতি এই একই বিষয় নিয়ে তিনি গর্জে ওঠেন। তিনি অভিযোগ করেছিলেন যে, মোদীর ফলোয়ার্স সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে কিন্তু তাঁর বাড়ছে না। এটা ইচ্ছাকৃত করা হচ্ছে বলেই অভিযোগ ছিল তাঁর। পরাগ আগরওয়াল প্রত্যুত্তরে জানিয়েছিলেন, এরকম কিছুই করা হয়নি। এই উক্তিতে রাহুল গান্ধী যথেষ্ট সমালোচনাও কুড়িয়েছিলেন নেটিজ়েনদের। তবে প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রিয়তাকে যে নাড়িয়ে দেওয়া যে কঠিন তা আবারও প্রমাণ করে দেয় প্রধানমন্ত্রীর ইউটিউবের সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা।
আরও পড়ুন : Rafael Fighter Jet : মঙ্গলে মঙ্গলবার্তা, আরও তিনটি রাফাল জেট ভারতীয় বায়ুসেনার হাতে তুলে দিল ফ্রান্স