নয়া দিল্লি: ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’! এই প্রথম ভারত নিজেই তৈরি করল এমআরআই মেশিন। বিশেষজ্ঞদের মতে, স্বাস্থ্য খাতে তা এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ। TV9 নেটওয়ার্কের হোয়াট ইন্ডিয়া থিঙ্কস টুডে-এর শীর্ষ সম্মেলনের মঞ্চে প্রথম দিনই বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
বিষয়টির কথা উল্লেখ করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আজ আমরা ভারতের উৎকর্ষতার আরেকটি নতুন দিক দেখতে পাচ্ছি।” তিনি জানান, মাত্র তিন দিন আগেই তিনি আপডেট পেয়েছেন, ভারত তার প্রথম এমআরআই মেশিন তৈরি করার কাজ সম্পন্ন করেছে। অনেক দিন ধরেই এই প্রক্রিয়া চলছিল। মোদী বলেন, “এত দিন আমাদের কাছে একটি বিদেশি এমআরআই মেশিন ছিল। এখন যদি ভারতে তৈরি এমআরআই মেশিন থাকে, তাহলে পরীক্ষার খরচও উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাবে।” আর সেক্ষেত্রেই ‘আত্মনির্ভর ভারত’ এবং ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ শব্দবন্ধের ব্যবহার করেন।
প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, “আগে বিশ্বের কাছে ভারতের পরিচিত ছিল আলাদা। বিশ্ব ভারতকে ‘বিশ্ববাজার’ হিসাবে দেখত। আজ একই বিশ্ব ভারতকে একটি উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে দেখছে। এই সাফল্য কতটা বড়, তার উদাহরণ প্রতিটি ক্ষেত্রেই দেখা যায়।”
বিশেষজ্ঞরাও মনে করছেন, আক্ষরিক অর্থেই ভারতে তৈরি এমআরআই মেশিন ভারতকে চিকিৎসা প্রযুক্তিতে আরও স্বনির্ভর করতে সাহায্য করবে। এই পদক্ষেপের লক্ষ্য চিকিৎসা খরচ এবং আমদানি করা চিকিৎসা সরঞ্জামের ওপর থেকে নির্ভরতা কমানো। বর্তমানে, ভারতকে ৮০-৮৫ শতাংশ সরঞ্জাম আমদানি করতে হয়। সেই শতাংশের হার বেশ খানিকটাই কমবে বলে আশাবাদী প্রধানমন্ত্রী।
দিল্লি এইমসের পরিচালক চিকিৎসক এম. শ্রীনিবাস বলেছেন, দেশে ক্রিটিক্যাল কেয়ার, পোস্ট অপারেটিভ কেয়ার, আইসিইউ, রোবোটিক্স, এমআরআই-সহ সমস্ত সরঞ্জাম আমদানি করা হয়। ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ গ্যাজেট ব্যয়বহুল এবং অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। তিনি বলেন, “আমাদের দেশে তো প্রতিভাবানের সংখ্যা কম নেই। তাই আমরা সব সময়েই ভেবে এসেছি, কীভাবে নির্ভরতা কমানো যায়। ভারত এবার সেটা করে দেখাল। এমআরআই স্ক্যানার হল একটি নন-ইনভেসিভ মেডিক্যাল ইমেজিং পরীক্ষা, যা নরম টিস্যু দেখার জন্য ব্যবহৃত হয়।”